ডোনাল্ড লুর সফরে র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি প্রত্যাহার চাইবে সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ১৯: ৪২

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফরে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ মে থেকে ছয় দিনে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফরের শেষ দিকে আগামীকাল কলম্বো থেকে তাঁর ঢাকা আসার কথা রয়েছে। 

ডোনাল্ড লুর মূল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। এর বাইরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। 

সরকারের বাইরে নাগরিক সমাজ ও শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কাজ করেন, এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও লু মতবিনিময় করবেন। 

লু তাঁর সফরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, শ্রমমান, মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজের কাজের পরিসরসহ বিভিন্ন বিষয় তুলবেন, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো। 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন সরকার ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে গত জুলাই মাসে ডোনাল্ড লু সর্বশেষ ঢাকা সফর করেন। এরপর শ্রমমান বিষয়েও শক্ত অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেয় মার্কিনরা। এতে দুই সরকারের মধ্যকার সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দেয়। 

এমন পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে র‍্যাবের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি প্রত্যাহার চাইবে বাংলাদেশ সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ সোমবার এমনটাই বললেন সাংবাদিকদের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। 

শেখ হাসিনা এবার চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে দেওয়া এক চিঠিতে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া ডোনাল্ড লুর সফর টানাপোড়েনের মধ্যেই কাজের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পথ খোঁজার চেষ্টা বলে মনে করছেন স্থানীয় কূটনীতিকেরা। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত বদলের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। 

বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ওয়াশিংটনে। ঢাকায় রাষ্ট্রদূত পদে চীন থেকে আনা হচ্ছে সেখানকার মার্কিন দূতাবাসের উপপ্রধান ডেভিড মিলকে। এই মিল এর আগে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সম্পর্কে টানাপোড়েন কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই মার্কিনরা দূতাবাসের শীর্ষ পদে এমন রদবদল আনছে। এমনটা মনে করছেন বাংলাদেশের কূটনীতিকরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত