অনলাইন ডেস্ক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার, সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি, সেগুলো করার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এটা নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নাই।’
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। পাঁচ সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় সুপারিশ তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। তবে সংবাদ সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয় সুপারিশ করেননি। তিনি বলেন, তাদের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন থাকায় সংবিধান সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয়ের সুপারিশ করেননি।
সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলেরই সংস্কার ভাবনা আছে। কাজেই আমরা মনে করি ওনাদের মধ্যে যদি এই সংশয়টা দূর হয়, যে এই সংস্কারগুলো করা হচ্ছে আমাদের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করার জন্য না। তাহলে বহু কিছুই বাস্তবায়িত হবে। দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে বলেও জানান আসিফ নজরুল।’
আশু করণীয়, মধ্যম মেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি তিন ধরনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশনগুলো। আশু করণীয় সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা শুরু করতে চাই। ওনারা চাইলে আমরা এই আলোচনা রোজার মধ্যেও করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের সহনশীলতা, অবাধ মতপ্রকাশের পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারের অসীম শ্রদ্ধাবোধের কারণে এগুলো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আশু করণীয় কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আর কিছু সুপারিশ মামুলি যা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে করা যাবে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মতৈক্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।
সংস্কার কমিশনের অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আইন করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে না-ও হতে পারে। যেমন—উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইনের কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেনি। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ নির্বাচিত সরকার বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আশু করণীয় বিষয়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য সাপেক্ষে নির্বাচনের আগেই করা হবে। মধ্যম মেয়াদির বিষয়টি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের বিষয়ে।’
সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঐকমত্য তৈরির প্রচেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সংস্কার নিজেরাও করেছেন। গত ৫৫ বছরে তারা অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু সমালোচনার সময় তা আমরা ভুলে যাই।’
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় সরকার, ভ্যাট প্রচলন, ই-প্রযুক্তিসহ অনেক কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের মূল সুর হচ্ছে তিন দলীয় জোটের রূপরেখার মধ্যেও ছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করব জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলো প্রক্রিয়াটা বেগবান করার চেষ্টা করবেন। এটা আমাদের ঐক্যের দলিল, রাজনৈতিক দলিল, আইনি দলিল নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার, সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি, সেগুলো করার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এটা নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নাই।’
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। পাঁচ সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় সুপারিশ তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। তবে সংবাদ সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয় সুপারিশ করেননি। তিনি বলেন, তাদের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন থাকায় সংবিধান সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয়ের সুপারিশ করেননি।
সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলেরই সংস্কার ভাবনা আছে। কাজেই আমরা মনে করি ওনাদের মধ্যে যদি এই সংশয়টা দূর হয়, যে এই সংস্কারগুলো করা হচ্ছে আমাদের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করার জন্য না। তাহলে বহু কিছুই বাস্তবায়িত হবে। দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে বলেও জানান আসিফ নজরুল।’
আশু করণীয়, মধ্যম মেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি তিন ধরনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশনগুলো। আশু করণীয় সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা শুরু করতে চাই। ওনারা চাইলে আমরা এই আলোচনা রোজার মধ্যেও করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের সহনশীলতা, অবাধ মতপ্রকাশের পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারের অসীম শ্রদ্ধাবোধের কারণে এগুলো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আশু করণীয় কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আর কিছু সুপারিশ মামুলি যা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে করা যাবে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মতৈক্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।
সংস্কার কমিশনের অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আইন করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে না-ও হতে পারে। যেমন—উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইনের কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেনি। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ নির্বাচিত সরকার বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আশু করণীয় বিষয়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য সাপেক্ষে নির্বাচনের আগেই করা হবে। মধ্যম মেয়াদির বিষয়টি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের বিষয়ে।’
সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঐকমত্য তৈরির প্রচেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সংস্কার নিজেরাও করেছেন। গত ৫৫ বছরে তারা অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু সমালোচনার সময় তা আমরা ভুলে যাই।’
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় সরকার, ভ্যাট প্রচলন, ই-প্রযুক্তিসহ অনেক কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের মূল সুর হচ্ছে তিন দলীয় জোটের রূপরেখার মধ্যেও ছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করব জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলো প্রক্রিয়াটা বেগবান করার চেষ্টা করবেন। এটা আমাদের ঐক্যের দলিল, রাজনৈতিক দলিল, আইনি দলিল নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর উদ্যোগে গুমের শিকার মানুষের স্বজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেনারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পিছিয়েছে। কমিশনের কার্যক্রমের মেয়াদ বৃদ্ধি করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক।
১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের এক লাখের বেশি নেতা-কর্মী দিল্লিতে আশ্রয় নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা এখনো ভারতে বসে চক্রান্ত করছে। আওয়ামী লীগ দল ছিল না, তারা ছিল মাফিয়া। তাদের কোনো দিন রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেবো না
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’–এ ‘অ্যাজ বাংলাদেশ রিইনভেন্ট ইটসেলফ, ইসলামিস্ট হার্ড–লাইনারস সি অ্যান ওপেনিং’ বা বাংলাদেশের নতুন পরিস্থিতিকে কট্টর ইসলামপন্থীরা মতাদর্শ কায়েমের সুযোগ হিসেবে দেখছে—এমন শিরোনামে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই নিবন্ধকে বিভ্রান্তিকর ও এটি একপক্ষীয় ধারণা তৈরি করছে
৩ ঘণ্টা আগে