নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ঢাকা
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম লঞ্চ সার্ভিসের জৌলুশ ফেরেনি। এ বছর অর্ধেক যাত্রীতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থার মূল কারণ পদ্মা সেতু।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে চলাচল শুরু করেছে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস। ঈদযাত্রার প্রথম দিনের তুলনায় আজ দ্বিতীয় দিনে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চযাত্রী কিছুটা বেশি হলেও আশানুরূপ চাপ নেই। নিয়মিত রোটেশন ভেঙে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলাচল করছে প্রায় ১৮০টি লঞ্চ।
নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হলেও আশানুরূপ যাত্রী হচ্ছে না বলে দাবি লঞ্চমালিকদের। অন্যদিকে লঞ্চ টার্মিনালে বাড়তি চাপ না থাকায় ঘরমুখী যাত্রীরাও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল থেকে প্রায় ৬০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ৬৫টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ছেড়ে যাওয়া লঞ্চে পর্যাপ্ত যাত্রী হলেও কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হয়নি।
সদরঘাট টার্মিনালে বরগুনাগামী যাত্রী আহসান উল্লাহ বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় সদরঘাট টার্মিনালে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। তবে এবার টার্মিনালে তেমন চাপ নেই।’ পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে লঞ্চে উঠতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি।
অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল ও যাত্রী পরিবহন (যাপ) সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম পদ্মা সেতু হলে লঞ্চে যাত্রী কিছুটা কম হবে, তবে ভরা মৌসুমে এ রকম যাত্রীখরা হবে, তা ভাবিনি। সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়ে গেলেও লঞ্চে যাত্রী হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস ছুটি হলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যাত্রী চাপ বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। সে অনুযায়ী যাত্রী বহনের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ‘গতকাল অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী কিছুটা বেড়েছে, তবে এটাকে যাত্রী চাপ বলা যাবে না। বিআইডব্লিউটিএর সঠিক ব্যবস্থাপনায় যাত্রীরা নিরাপদে ও স্বস্তিতে লঞ্চ ভ্রমণ করতে পারছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দুদিন যাত্রী চাপ বাড়বে।’
এদিকে বরিশাল নৌবন্দরের একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানান, ছাদ ভরে যায় এমন অবস্থা না। এটি একসময়ের স্বাভাবিক যাত্রী চাপ। বন্দরে অবশ্য চলছে শেষ মুহূর্তে মেরামতের কাজ। কিন্তু সেই যাত্রী কোথায়। সর্বত্র খাঁ খাঁ করছে।
কথা হয় ঢাকা থেকে ফেরা চরকাউয়ার ছাত্র মো. শাওনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে আমরা বন্ধুরা জায়গা না পেয়ে ছাদে চড়ে আসতাম। কিন্তু সেই ভিড় নেই। কারণ, সবাই বাসে ছুটছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার পেছনে সেবার অভাব রয়েছে।’ অপর যাত্রী নগরের কাশিপুরের বাসিন্দা আ. রহমান বলেন, ‘ঈদে যে চাপ থাকার কথা, সেই চাপ নেই।’
ঘাটে বাঁধা সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের কর্মচারী দেবাশীষ বলেন, ‘তাদের লঞ্চে যাত্রী ভালোই হয়েছে। কিন্তু অন্যগুলোতে কম।’ সুরভি-৯ লঞ্চের কেরানি মো. মিজান বলেন, ‘ঈদের যাত্রী আসায় তাদের সব কেবিন বুকিং হয়ে গেছে। এখন থেকে আরও বাড়বে যাত্রী।’ তিনি দাবি করেন আগের চেয়ে যাত্রী বেড়েছে।
বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টুও জানান, এবার লঞ্চে তেমন চাপ নেই।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আ. রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের ২০টি লঞ্চ আছে। যাত্রী চাপের ওপর ভিত্তি করে লঞ্চ চলবে। মানুষ ঈদে বাড়ি আসা শুরু করেছে। নৌবন্দরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত আছে।’
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম লঞ্চ সার্ভিসের জৌলুশ ফেরেনি। এ বছর অর্ধেক যাত্রীতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থার মূল কারণ পদ্মা সেতু।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে চলাচল শুরু করেছে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস। ঈদযাত্রার প্রথম দিনের তুলনায় আজ দ্বিতীয় দিনে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চযাত্রী কিছুটা বেশি হলেও আশানুরূপ চাপ নেই। নিয়মিত রোটেশন ভেঙে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলাচল করছে প্রায় ১৮০টি লঞ্চ।
নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হলেও আশানুরূপ যাত্রী হচ্ছে না বলে দাবি লঞ্চমালিকদের। অন্যদিকে লঞ্চ টার্মিনালে বাড়তি চাপ না থাকায় ঘরমুখী যাত্রীরাও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল থেকে প্রায় ৬০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ৬৫টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ছেড়ে যাওয়া লঞ্চে পর্যাপ্ত যাত্রী হলেও কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হয়নি।
সদরঘাট টার্মিনালে বরগুনাগামী যাত্রী আহসান উল্লাহ বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় সদরঘাট টার্মিনালে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। তবে এবার টার্মিনালে তেমন চাপ নেই।’ পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে লঞ্চে উঠতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি।
অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল ও যাত্রী পরিবহন (যাপ) সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম পদ্মা সেতু হলে লঞ্চে যাত্রী কিছুটা কম হবে, তবে ভরা মৌসুমে এ রকম যাত্রীখরা হবে, তা ভাবিনি। সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়ে গেলেও লঞ্চে যাত্রী হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস ছুটি হলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যাত্রী চাপ বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। সে অনুযায়ী যাত্রী বহনের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ‘গতকাল অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী কিছুটা বেড়েছে, তবে এটাকে যাত্রী চাপ বলা যাবে না। বিআইডব্লিউটিএর সঠিক ব্যবস্থাপনায় যাত্রীরা নিরাপদে ও স্বস্তিতে লঞ্চ ভ্রমণ করতে পারছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দুদিন যাত্রী চাপ বাড়বে।’
এদিকে বরিশাল নৌবন্দরের একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানান, ছাদ ভরে যায় এমন অবস্থা না। এটি একসময়ের স্বাভাবিক যাত্রী চাপ। বন্দরে অবশ্য চলছে শেষ মুহূর্তে মেরামতের কাজ। কিন্তু সেই যাত্রী কোথায়। সর্বত্র খাঁ খাঁ করছে।
কথা হয় ঢাকা থেকে ফেরা চরকাউয়ার ছাত্র মো. শাওনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে আমরা বন্ধুরা জায়গা না পেয়ে ছাদে চড়ে আসতাম। কিন্তু সেই ভিড় নেই। কারণ, সবাই বাসে ছুটছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার পেছনে সেবার অভাব রয়েছে।’ অপর যাত্রী নগরের কাশিপুরের বাসিন্দা আ. রহমান বলেন, ‘ঈদে যে চাপ থাকার কথা, সেই চাপ নেই।’
ঘাটে বাঁধা সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের কর্মচারী দেবাশীষ বলেন, ‘তাদের লঞ্চে যাত্রী ভালোই হয়েছে। কিন্তু অন্যগুলোতে কম।’ সুরভি-৯ লঞ্চের কেরানি মো. মিজান বলেন, ‘ঈদের যাত্রী আসায় তাদের সব কেবিন বুকিং হয়ে গেছে। এখন থেকে আরও বাড়বে যাত্রী।’ তিনি দাবি করেন আগের চেয়ে যাত্রী বেড়েছে।
বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টুও জানান, এবার লঞ্চে তেমন চাপ নেই।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আ. রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের ২০টি লঞ্চ আছে। যাত্রী চাপের ওপর ভিত্তি করে লঞ্চ চলবে। মানুষ ঈদে বাড়ি আসা শুরু করেছে। নৌবন্দরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত আছে।’
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
৯ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
১০ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
১১ ঘণ্টা আগে