Ajker Patrika

বিমসটেকে ইউনূস-মোদি বৈঠক অনিশ্চিত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, ২১: ১৭
ড. ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের বিষয়টি বিবেচনার করছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত
ড. ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের বিষয়টি বিবেচনার করছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের সফরে আগামী বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাবেন। তাঁরা পরদিন শুক্রবার সেখানে সাত দেশের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলনে দেখা হওয়া এবং শুভেচ্ছা বিনিময়ের বাইরে তাঁদের মধ্যে আলাদা করে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে কি না, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা আছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাংককে মোদির যে কর্মসূচি প্রকাশ করেছে, তাতে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের উল্লেখ নেই। এ কর্মসূচিতে কেবল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ আছে।

সম্মেলনের পাশে থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের আগামী শুক্রবার একটি বৈঠক হবে, এমনটি জানিয়েছে একটি কূটনৈতিক সূত্র।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এর আগে ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের পাশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একটি বৈঠকের জন্য দিল্লিকে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত দিল্লির কাছ থেকে কোনো জবাব পায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের একজন কূটনীতিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ সম্মেলনের দিন একই কক্ষে অনেকক্ষণ থাকবেন। তাঁদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগ আছে। তবে আলাদা করে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না।

ইউনূস ও মোদি—দুজনেরই সম্মেলনে যোগদান শেষে আগামী শুক্রবার ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে। ইউনূস ফিরবেন ঢাকায়, আর মোদি যাবেন দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফরে শ্রীলঙ্কায়।

বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা বলছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারপ্রধানেরা একই বহুপক্ষীয় সম্মেলনে যোগ দিলে সময় করে সংক্ষিপ্ত বৈঠক অথবা আলাদা করে সৌজন্য সাক্ষাতের বহু নজির আছে। দেড় দশক ধরে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিয়েছেন, এমন বহুপক্ষীয় সম্মেলনে ভারতের সরকার প্রধান অংশ নিলে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অথবা আলাদা করে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ‘পতনের’ পর মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকায় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ব্যাংককে ইউনূস ও মোদির মধ্যে আলাদা করে সাক্ষাৎ না হলে তার মাধ্যমে একটি ব্যতিক্রম নজির দেখা যেতে পারে।

অবশ্য গতকাল শুক্রবার মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কারণে ব্যাংকককে ‘দুর্যোগের এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত বিমসটেক সম্মেলন দেশটি স্থগিত করলেও করতে পারে, এমনটা মনে করছেন কূটনীতিকেরা। থাইল্যান্ড বর্তমানে বিমসটেকের চেয়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত