উবায়দুল্লাহ বাদল, সৌদি আরব থেকে
প্রথমবারের মতো হাজিদের সেবায় সৌদি আরবে অধ্যয়নরত প্রবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশ সরকার সাশ্রয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। এর আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে জনবল নেওয়া হতো, গুনতে হতো ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা। এবার প্রবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়ায় খরচ হচ্ছে জনপ্রতি মাত্র দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।
সৌদি আরবে অবস্থানরত ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এবারই প্রথমবারের মতো হজযাত্রীদের সহায়তা করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে জনবল না নিয়ে সৌদি আরবে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দিলে তাঁদের মূল বেতন অনুযায়ী কমবেশি জনপ্রতি ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা দিতে হয়। এছাড়া তাঁরা নতুন বলে নিজেরাই মক্কা-মদিনার পথঘাট চেনে না। ফলে হাজিদের সেবার উদ্দেশ্য সফল হতো না। এসব শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের সর্বোচ্চ বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে জনপ্রতি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে সরকারের। সেবাও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের প্রবাসী সন্তানেরাও এ টাকায় টিউশন ফি দেওয়াসহ তাঁদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে।’
গাজীপুরের আবু হাফসা শফিকুল ইসলাম। সৌদি সরকারের বৃত্তি নিয়ে কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া বিভাগে পড়ছেন। এবার হজযাত্রীদের সেবা দিতে ৪৫ দিনের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। হাজিদের সেবার বিনিময়ে প্রতিদিন তাঁকে দেওয়া হবে অন্তত ১৩০ রিয়াল। সেই হিসেবে চলতি হজ মৌসুমে বাংলাদেশি মুদ্রায় তিনি প্রায় দুই লাখ টাকা পাবেন। শফিকুলের সহপাঠী আব্দুল আওয়ালও হজ মিশনে অনুবাদকের কাজ করছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
শফিকুল ও আওয়ালের মতো সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা ও জেদ্দার হজ মিশনে হাজিদের সহায়তা করতে সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় ও মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২৯ জন শিক্ষার্থীকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মক্কায় ২৯৫ জন, মদিনায় ৮৭ জন ও জেদ্দায় ৪৭ জন। এতে সরকারের অন্তত ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথমবারের মতো নিজস্ব জনবল দিয়ে হজ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। হজের অহেতুক খরচ কমাতে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও নাগরিকদের মধ্য থেকে হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী দল গঠন করতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তাই সহায়তাকারী দলে এবার অন্য মন্ত্রণালয়-বিভাগ কিংবা দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নেওয়া হয়নি। তবে হজ কারিগরি ও চিকিৎসক দল স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হয়েছে।
ধর্ম সচিব মু. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পবিত্র হজের সময় সৌদিতে অবস্থানরত আরবি ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন এবং মক্কা-মদিনার রাস্তাঘাট সম্পর্কে ভালোভাবে জানা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, কর্মী ও নাগরিকদের মধ্য থেকে হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।’
জানা গেছে, প্রতিবছরই হজে বেশ কয়েকটি দল গঠন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে আছে—হজ প্রতিনিধিদল, হজ প্রশাসনিক দল, হজ চিকিৎসক দল, হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী দল, হজ কারিগরি দল ইত্যাদি। ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে হজ প্রতিনিধিদলের সদস্য হন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, হাব নেতা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ আরও অনেকে। হজ প্রশাসনিক দলে থাকেন ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, দপ্তর বা সংস্থার প্রধান, যুগ্ম সচিব, উপসচিবসহ ক্যাডার কর্মকর্তারা। হজ চিকিৎসক দলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসক, নার্স ও আয়া থাকেন।
কারিগরি দলে থাকেন—কম্পিউটার অপারেটর ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকে। হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী দলে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, গাড়িচালক, পাম্পচালক, মন্ত্রী-সচিবদের গানম্যান, ক্লিনার, অফিস সহায়ক, সরকারি বিভিন্ন বাহিনী এবং এজেন্সির সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী দলে প্রতিটি মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং অন্যান্য দপ্তর-সংস্থার কমবেশি ৪৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী সৌদিতে যান।
অভিযোগ আছে, রাষ্ট্রীয় টাকায় হাজিদের সেবার জন্য সরকারি কর্মচারীদের পাঠানো হলেও অনেকে সেবা না দিয়ে নিজের কেনাকাটা ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। হজ না করার শর্তে হাজিদের সেবার জন্য পাঠানো হলেও তাঁরা সবাই হজও করে থাকেন। এ ছাড়া হজ চিকিৎসক ও প্রশাসনিক সহায়তাকারী দলে নাম লেখাতে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগও ওঠে কারও কারও বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার হজ প্রক্রিয়ার শুরুতেই হজ সহায়ক দলে সৌদি আরবে বসবাসরত শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও প্রবাসীদের মধ্য থেকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দিতে নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সৌদি আরবের কাউন্সেলর হজ মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার সৌদিতে অবস্থানরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৪২৯ জনকে হজকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে হাজিদের অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। আরবি ভাষা ও রাস্তাঘাট জানাশোনা থাকায় তাঁরা অন্যবারের তুলনায় ভালো সেবা দিচ্ছেন। একদিকে ভালো সেবা মিলছে অন্যদিকে সরকারের কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।’
হাজিদের সেবা দিতে পারাকে সৌভাগ্য বলছেন সেবাদাতা শিক্ষার্থীরা। তাঁদের একজন আবু হাফসা মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হজের সময় আমাদের লেখাপড়ার তেমন চাপ থাকে না। এ সময় হাজিদের সেবার সুযোগ পেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি। ধর্ম মন্ত্রণালয়কেও ধন্যবাদ এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। এতে যেমন আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি তেমনি হাজিদের সেবা দেওয়ায় আখিরাতেও এর প্রতিদান মিলবে।’
আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সারা বিশ্বের ২০ লাখের বেশি মুসলিম হজ পালন করবেন বলে আশা করছে সৌদি আরব।
প্রথমবারের মতো হাজিদের সেবায় সৌদি আরবে অধ্যয়নরত প্রবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশ সরকার সাশ্রয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। এর আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে জনবল নেওয়া হতো, গুনতে হতো ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা। এবার প্রবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়ায় খরচ হচ্ছে জনপ্রতি মাত্র দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।
সৌদি আরবে অবস্থানরত ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এবারই প্রথমবারের মতো হজযাত্রীদের সহায়তা করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে জনবল না নিয়ে সৌদি আরবে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দিলে তাঁদের মূল বেতন অনুযায়ী কমবেশি জনপ্রতি ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা দিতে হয়। এছাড়া তাঁরা নতুন বলে নিজেরাই মক্কা-মদিনার পথঘাট চেনে না। ফলে হাজিদের সেবার উদ্দেশ্য সফল হতো না। এসব শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের সর্বোচ্চ বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে জনপ্রতি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে সরকারের। সেবাও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের প্রবাসী সন্তানেরাও এ টাকায় টিউশন ফি দেওয়াসহ তাঁদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে।’
গাজীপুরের আবু হাফসা শফিকুল ইসলাম। সৌদি সরকারের বৃত্তি নিয়ে কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া বিভাগে পড়ছেন। এবার হজযাত্রীদের সেবা দিতে ৪৫ দিনের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। হাজিদের সেবার বিনিময়ে প্রতিদিন তাঁকে দেওয়া হবে অন্তত ১৩০ রিয়াল। সেই হিসেবে চলতি হজ মৌসুমে বাংলাদেশি মুদ্রায় তিনি প্রায় দুই লাখ টাকা পাবেন। শফিকুলের সহপাঠী আব্দুল আওয়ালও হজ মিশনে অনুবাদকের কাজ করছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
শফিকুল ও আওয়ালের মতো সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা ও জেদ্দার হজ মিশনে হাজিদের সহায়তা করতে সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় ও মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২৯ জন শিক্ষার্থীকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মক্কায় ২৯৫ জন, মদিনায় ৮৭ জন ও জেদ্দায় ৪৭ জন। এতে সরকারের অন্তত ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথমবারের মতো নিজস্ব জনবল দিয়ে হজ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। হজের অহেতুক খরচ কমাতে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও নাগরিকদের মধ্য থেকে হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী দল গঠন করতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তাই সহায়তাকারী দলে এবার অন্য মন্ত্রণালয়-বিভাগ কিংবা দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নেওয়া হয়নি। তবে হজ কারিগরি ও চিকিৎসক দল স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হয়েছে।
ধর্ম সচিব মু. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পবিত্র হজের সময় সৌদিতে অবস্থানরত আরবি ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন এবং মক্কা-মদিনার রাস্তাঘাট সম্পর্কে ভালোভাবে জানা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, কর্মী ও নাগরিকদের মধ্য থেকে হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।’
জানা গেছে, প্রতিবছরই হজে বেশ কয়েকটি দল গঠন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে আছে—হজ প্রতিনিধিদল, হজ প্রশাসনিক দল, হজ চিকিৎসক দল, হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী দল, হজ কারিগরি দল ইত্যাদি। ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে হজ প্রতিনিধিদলের সদস্য হন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, হাব নেতা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ আরও অনেকে। হজ প্রশাসনিক দলে থাকেন ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, দপ্তর বা সংস্থার প্রধান, যুগ্ম সচিব, উপসচিবসহ ক্যাডার কর্মকর্তারা। হজ চিকিৎসক দলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসক, নার্স ও আয়া থাকেন।
কারিগরি দলে থাকেন—কম্পিউটার অপারেটর ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকে। হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী দলে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, গাড়িচালক, পাম্পচালক, মন্ত্রী-সচিবদের গানম্যান, ক্লিনার, অফিস সহায়ক, সরকারি বিভিন্ন বাহিনী এবং এজেন্সির সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী দলে প্রতিটি মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং অন্যান্য দপ্তর-সংস্থার কমবেশি ৪৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী সৌদিতে যান।
অভিযোগ আছে, রাষ্ট্রীয় টাকায় হাজিদের সেবার জন্য সরকারি কর্মচারীদের পাঠানো হলেও অনেকে সেবা না দিয়ে নিজের কেনাকাটা ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। হজ না করার শর্তে হাজিদের সেবার জন্য পাঠানো হলেও তাঁরা সবাই হজও করে থাকেন। এ ছাড়া হজ চিকিৎসক ও প্রশাসনিক সহায়তাকারী দলে নাম লেখাতে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগও ওঠে কারও কারও বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার হজ প্রক্রিয়ার শুরুতেই হজ সহায়ক দলে সৌদি আরবে বসবাসরত শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও প্রবাসীদের মধ্য থেকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দিতে নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সৌদি আরবের কাউন্সেলর হজ মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার সৌদিতে অবস্থানরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৪২৯ জনকে হজকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে হাজিদের অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। আরবি ভাষা ও রাস্তাঘাট জানাশোনা থাকায় তাঁরা অন্যবারের তুলনায় ভালো সেবা দিচ্ছেন। একদিকে ভালো সেবা মিলছে অন্যদিকে সরকারের কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।’
হাজিদের সেবা দিতে পারাকে সৌভাগ্য বলছেন সেবাদাতা শিক্ষার্থীরা। তাঁদের একজন আবু হাফসা মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হজের সময় আমাদের লেখাপড়ার তেমন চাপ থাকে না। এ সময় হাজিদের সেবার সুযোগ পেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি। ধর্ম মন্ত্রণালয়কেও ধন্যবাদ এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। এতে যেমন আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি তেমনি হাজিদের সেবা দেওয়ায় আখিরাতেও এর প্রতিদান মিলবে।’
আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সারা বিশ্বের ২০ লাখের বেশি মুসলিম হজ পালন করবেন বলে আশা করছে সৌদি আরব।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
১ ঘণ্টা আগেগত ৫ মাসে (৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে) সারা দেশের ৪০টি মাজারে ৪৪টি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে...
৪ ঘণ্টা আগেলেবাননে আটকে পড়া আরও ৪৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তাদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়...
৫ ঘণ্টা আগে