নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে ইইউ-এর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের পথে যত ধরনের সহায়তা দরকার তাঁরা নিশ্চিত করেছেন...সময়টা একটু কম হয়ে যাচ্ছে বলে (ইইউ) মনে করছে সংস্কারের জন্য। তাঁরা সংস্কারের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এটা তাঁদের সাজেশন।’
এ সময় সিইসি বলেন, ‘ভোট কবে হবে সেভাবে আলোচনা হয়নি। তাঁরা তো জানেন, হয় ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের শুরুতে। আমি তো এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।’
সিইসি বলেন, ‘তাঁরা আসলে জানতে চেয়েছেন, ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের (গণতান্ত্রিক রূপান্তর) জন্য যে নির্বাচন হবে, তার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত? কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি? ভোটার রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার জন্য টাইমলাইন কি রকম হবে—সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ (ইইউ প্রতিনিধিরা) বলেছেন, বাংলাদেশে এ অগ্রযাত্রায় তাঁরা সাহায্য করতে প্রস্তুত। সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তাঁরা চান, যে একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন হোক এবং এটা হলে এটার পথে যত ধরনের সহায়তা দরকার, তাঁরা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এ প্রক্রিয়ায়।’
ইসিকে সহায়তার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের কোথায় কোথায় সহায়তা দরকার তার “নিড অ্যাসেসমেন্ট” (কী কী প্রয়োজন তা মূল্যায়ন) করতে লোক পাঠাবেন। কোথায় সাহায্য করতে পারেন, দেখবেন। তারপর জানাবেন। তাঁদের মিশন আসবে। তারপর নির্বাচন হলে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা অনুরোধ করলে, তাঁরা প্রতিনিধি পাঠাবেন।’
সিইসি আরও বলেন, ‘ (আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার বিষয়ে) আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। কারণ, আমরা তো সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য। আমরা বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের প্রতিশ্রুতি (কমিটমেন্ট) সেটা অর্জন করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছি। তাঁরা খুশি হয়েছেন। আমরা যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি এটা তাঁরা মূল্যায়ন করতে পেরেছেন, উপলব্ধি করতে পেরেছেন।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সুপারিশের বিষয়ে কমিশন ইসির স্বাধীনতার বিষয়ে জোর দিয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের মতামত আমরা দিয়েছি। একটা বিষয় আমি জোর দিয়ে বলেছি, আপনাদেরও বলেছি যে, ইসির যে স্বাধীনতা সংবিধান দিয়েছে, সেটা যেন গ্র্যান্টেড (অক্ষুণ্ন) থাকে। এটাই আসল কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইসির কোনো স্বাধীনতা কম্প্রোমাইজ হোক—এটা চাই না। তাঁরাও জানিয়েছেন, এটার প্রশংসা তাঁরা করেছেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, ইসির স্বাধীনতা থাকতে হবে। তা না হলে জাতি ইসির কাছে যা প্রত্যাশা করেছে তা ডেলিভার করতে পারবে না।’
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘সিইসির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। আমরা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার জন্য এসেছিলাম। আমাদের মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে।’
মাইকেল মিলার আরও বলেন, ‘আমি এখানে সহায়তার বার্তা নিয়ে এসেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বচ্ছ নির্বাচন, ইসিকে কী সহায়তা করতে পারে ইইউ, সিইসির কাছে সেটাও জানতে চেয়েছি।’
ইইউ প্রতিনিধিদের মঙ্গলবারের বৈঠকে আলোচ্যসূচি ছিল—নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী সংস্কার ও অগ্রাধিকার, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, নির্বাচনী সময়সীমা, নির্বাচনী প্রশাসন, ভোটার নিবন্ধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, নির্বাচনী প্রযুক্তি, প্রচার ও ব্যয়, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং সহায়তা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সফররত দুজন গণতন্ত্র বিশেষজ্ঞও সিইসির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে ইইউ-এর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের পথে যত ধরনের সহায়তা দরকার তাঁরা নিশ্চিত করেছেন...সময়টা একটু কম হয়ে যাচ্ছে বলে (ইইউ) মনে করছে সংস্কারের জন্য। তাঁরা সংস্কারের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এটা তাঁদের সাজেশন।’
এ সময় সিইসি বলেন, ‘ভোট কবে হবে সেভাবে আলোচনা হয়নি। তাঁরা তো জানেন, হয় ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের শুরুতে। আমি তো এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।’
সিইসি বলেন, ‘তাঁরা আসলে জানতে চেয়েছেন, ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের (গণতান্ত্রিক রূপান্তর) জন্য যে নির্বাচন হবে, তার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত? কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি? ভোটার রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার জন্য টাইমলাইন কি রকম হবে—সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ (ইইউ প্রতিনিধিরা) বলেছেন, বাংলাদেশে এ অগ্রযাত্রায় তাঁরা সাহায্য করতে প্রস্তুত। সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তাঁরা চান, যে একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন হোক এবং এটা হলে এটার পথে যত ধরনের সহায়তা দরকার, তাঁরা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এ প্রক্রিয়ায়।’
ইসিকে সহায়তার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের কোথায় কোথায় সহায়তা দরকার তার “নিড অ্যাসেসমেন্ট” (কী কী প্রয়োজন তা মূল্যায়ন) করতে লোক পাঠাবেন। কোথায় সাহায্য করতে পারেন, দেখবেন। তারপর জানাবেন। তাঁদের মিশন আসবে। তারপর নির্বাচন হলে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা অনুরোধ করলে, তাঁরা প্রতিনিধি পাঠাবেন।’
সিইসি আরও বলেন, ‘ (আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার বিষয়ে) আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। কারণ, আমরা তো সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য। আমরা বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের প্রতিশ্রুতি (কমিটমেন্ট) সেটা অর্জন করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছি। তাঁরা খুশি হয়েছেন। আমরা যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি এটা তাঁরা মূল্যায়ন করতে পেরেছেন, উপলব্ধি করতে পেরেছেন।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সুপারিশের বিষয়ে কমিশন ইসির স্বাধীনতার বিষয়ে জোর দিয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের মতামত আমরা দিয়েছি। একটা বিষয় আমি জোর দিয়ে বলেছি, আপনাদেরও বলেছি যে, ইসির যে স্বাধীনতা সংবিধান দিয়েছে, সেটা যেন গ্র্যান্টেড (অক্ষুণ্ন) থাকে। এটাই আসল কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইসির কোনো স্বাধীনতা কম্প্রোমাইজ হোক—এটা চাই না। তাঁরাও জানিয়েছেন, এটার প্রশংসা তাঁরা করেছেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, ইসির স্বাধীনতা থাকতে হবে। তা না হলে জাতি ইসির কাছে যা প্রত্যাশা করেছে তা ডেলিভার করতে পারবে না।’
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘সিইসির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। আমরা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার জন্য এসেছিলাম। আমাদের মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে।’
মাইকেল মিলার আরও বলেন, ‘আমি এখানে সহায়তার বার্তা নিয়ে এসেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বচ্ছ নির্বাচন, ইসিকে কী সহায়তা করতে পারে ইইউ, সিইসির কাছে সেটাও জানতে চেয়েছি।’
ইইউ প্রতিনিধিদের মঙ্গলবারের বৈঠকে আলোচ্যসূচি ছিল—নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী সংস্কার ও অগ্রাধিকার, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, নির্বাচনী সময়সীমা, নির্বাচনী প্রশাসন, ভোটার নিবন্ধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, নির্বাচনী প্রযুক্তি, প্রচার ও ব্যয়, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং সহায়তা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সফররত দুজন গণতন্ত্র বিশেষজ্ঞও সিইসির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
আজকের দিনজুড়ে দেশ-বিদেশে ঘটেছে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ওয়াশিংটনে সামরিক হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, বাংলাদেশসহ তিন দেশে সুইস উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের ঘোষণা, সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের গণ অবসরের হুমকি, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ, এবং চীনের নতুন এআই মডেল ডিপসিকের সাফল্যসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত
২ মিনিট আগেশীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী জেনট্রি বিচ আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁরা বাংলাদেশকে আবার মহান করে তুলতে চান। প্রধান উপদেষ্টা...
৯ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক দল গঠন করছে বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ লক্ষ্যে তারা দেশজুড়ে লোকজনকে সংগঠিত করছে।
৩৯ মিনিট আগেহাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত দুই বিচারপতিকে স্থায়ী করেনি সরকার। তাঁরা হলেন বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন।
২ ঘণ্টা আগে