নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে আইন লঙ্ঘন করে তাঁকে বাঁচানো হয় বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার রোববারের (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান প্রতিবেদন ‘১০ কোটি অগ্রিম বিল দিয়েও লঘু দণ্ডে পার’-এর শুরুর অংশ সংসদে পাঠ করে শোনান।
আজকের পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজের আগেই ঠিকাদারকে অগ্রিম প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা পরিশোধ করার আলোচিত ঘটনায় লঘু দণ্ড দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। রাজধানীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল সম্প্রসারণ প্রকল্পে বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের শেরেবাংলা নগর ডিভিশনের তখনকার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল হক। বর্তমানে তিনি রাজশাহী সার্কেলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তাঁকে বর্তমান বেতন গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে আজকের পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন গত ২৫ জানুয়ারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিষয়ে এক অফিস আদেশ জারি করেন। বিভাগীয় মামলাটি দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রেখে সচিব অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে বেতন কমানোর মতো লঘু দণ্ড দিয়েছেন। অথচ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান সংক্রান্ত কাজে অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে পদাবনতি দেওয়া হয়।
বিষয়টি সংসদে তুলে ধরে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কাকে লঘু দণ্ড দিয়েছে সেটা বড় কথা না। এখানে কত বড় অনিয়ম করা হয়েছে সেটা। টাকা বাজেয়াপ্ত না করে সমন্বয় করা আইনের চরম লঙ্ঘন। একজন কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য টাকাটা বাজেয়াপ্ত না করে সমস্ত আইন-কানুন লঙ্ঘন করে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না। একজন সরকারি কর্মকর্তা ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিল, তাঁকে বাঁচানোর জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) চরম লঙ্ঘন করে বাঁচানো হলো।’
তিনি বলেন, ‘নতুন পূর্ত মন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এটা কনফার্ম দুর্নীতি। ওনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, একজন সচিব কি করে এত বড় দুর্নীতিকে উপেক্ষা করে, মন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া এ কাজটা করেছেন। তিনি একটি ঘটনায় বেতন এক গ্রেড কমিয়েছেন, আরেক ঘটনায় প্রকৌশলীকে পদাবনতি করেছেন। এ খাতিরটা কেন? এ সরকারের আমলে এত বড় অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে? আমরা এটা চেয়ে চেয়ে দেখব, তা কি হয়? তাই মন্ত্রীকে বলব, বিড়াল প্রথম রাতেই মারেন। এখনই ব্যবস্থা নেন।’
রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে আইন লঙ্ঘন করে তাঁকে বাঁচানো হয় বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার রোববারের (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান প্রতিবেদন ‘১০ কোটি অগ্রিম বিল দিয়েও লঘু দণ্ডে পার’-এর শুরুর অংশ সংসদে পাঠ করে শোনান।
আজকের পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজের আগেই ঠিকাদারকে অগ্রিম প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা পরিশোধ করার আলোচিত ঘটনায় লঘু দণ্ড দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। রাজধানীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল সম্প্রসারণ প্রকল্পে বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের শেরেবাংলা নগর ডিভিশনের তখনকার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল হক। বর্তমানে তিনি রাজশাহী সার্কেলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তাঁকে বর্তমান বেতন গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে আজকের পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন গত ২৫ জানুয়ারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিষয়ে এক অফিস আদেশ জারি করেন। বিভাগীয় মামলাটি দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রেখে সচিব অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে বেতন কমানোর মতো লঘু দণ্ড দিয়েছেন। অথচ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান সংক্রান্ত কাজে অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে পদাবনতি দেওয়া হয়।
বিষয়টি সংসদে তুলে ধরে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কাকে লঘু দণ্ড দিয়েছে সেটা বড় কথা না। এখানে কত বড় অনিয়ম করা হয়েছে সেটা। টাকা বাজেয়াপ্ত না করে সমন্বয় করা আইনের চরম লঙ্ঘন। একজন কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য টাকাটা বাজেয়াপ্ত না করে সমস্ত আইন-কানুন লঙ্ঘন করে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না। একজন সরকারি কর্মকর্তা ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিল, তাঁকে বাঁচানোর জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) চরম লঙ্ঘন করে বাঁচানো হলো।’
তিনি বলেন, ‘নতুন পূর্ত মন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এটা কনফার্ম দুর্নীতি। ওনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, একজন সচিব কি করে এত বড় দুর্নীতিকে উপেক্ষা করে, মন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া এ কাজটা করেছেন। তিনি একটি ঘটনায় বেতন এক গ্রেড কমিয়েছেন, আরেক ঘটনায় প্রকৌশলীকে পদাবনতি করেছেন। এ খাতিরটা কেন? এ সরকারের আমলে এত বড় অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে? আমরা এটা চেয়ে চেয়ে দেখব, তা কি হয়? তাই মন্ত্রীকে বলব, বিড়াল প্রথম রাতেই মারেন। এখনই ব্যবস্থা নেন।’
সরকার গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত মোহাম্মদ কাজল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
৪ ঘণ্টা আগে১৬ ডিসেম্বর জাতীয় বিজয় দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় হওয়ায় মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
৫ ঘণ্টা আগে