অনলাইন ডেস্ক
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, বরিশাল, মাদারীপুর ও কুড়িগ্রামে হাসপাতালগুলোয় শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ মাসের প্রথম ১১ দিনে ২৪৫ শিশুরোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৪১ এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩০৬ জন। একই সময়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে আরও ১ হাজার ৮০৫ শিশু চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, শয্যাসংখ্যার বিপরীতে তিন গুণ রোগী দুটি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। রোগীর স্বজনদের অনেকেই অতিরিক্ত ভিড় এবং চিকিৎসাসেবায় কিছুটা ধীরগতির অভিযোগ করেছেন।
পৌর শহরের বাসিন্দা সুলতানা বেগম তাঁর ১০ মাস বয়সী শিশু সায়রাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা কম। সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর পুরোনো রোগীদের ছুটি হলে মেয়ের জন্য একটি বেড পেয়েছি।’ সুলতানা বেগম আরও বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও ডাক্তার ভালোভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন, এতে আমরা খুশি। কিন্তু বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৬ মাস বয়সী শিশু আরাফাত কাকনের বাবা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে তিন দিন ধরে এখানে ভর্তি রয়েছে। ওকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেলাইন ছাড়া বেশির ভাগ ওষুধই বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেহানা পারভীন বলেন, ‘১৩ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ৫০-৬০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। শীতের কারণে নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের ভর্তি হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের কাজের চাপ অনেক বেড়েছে।’
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিউলী পারভীন বলেন, ‘গত ১০ দিনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। এই ওয়ার্ডে পাঁচজন রোগীকে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও ৬০-৮০ জন রোগী ভর্তি থাকছে। আক্রান্তদের ৯০ ভাগই শিশু।’ তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৭৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল।
হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘শীতের সময় শিশুরা বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। শীতে ধুলা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। প্রতিদিন শিশুদের শরীর মুছে দেওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি খাওয়ানোও গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, টিকা দেওয়া থাকলে অনেক রোগ এড়ানো সম্ভব।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. রকিব সাদী বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা বাড়ায় ওষুধ সরবরাহে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তবে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধের চাহিদা জানিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে জরুরি বেশির ভাগ ওষুধ সরবরাহ রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাগুরা: মাগুরায়ও ঠান্ডাজনিত রোগে সদর হাসপাতালসহ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে রোগী। বিশেষ করে সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে সদর হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ২৫০ জনের বেশি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালে বুধবার গিয়ে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত তিন দিনে হাসপাতালের বহির্বিভাগে মোট রোগী দেখা হয়েছে ৭০০-এর বেশি। এর মধ্যে অর্ধেক ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
চিকিৎসা নিতে আসা নিজনান্দুয়ালী গ্রামের নিলুফার বেগম জানান, তার পাঁচ বছরের মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়েছে দুদিন হলো। চিকিৎসা চলছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুদের এই সময়ে বেশি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা থেকে রক্ষা করতে পারলে, এসব ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হবে না।
মাগুরার সিভিল সার্জন শামীম কবির জানান, রোগীদের সেবা যেন ঠিকভাবে দেওয়া হয়, সে নির্দেশনা রয়েছে।
বরিশাল: বরিশালেও বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগী। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যমতে, প্রতিদিন কয়েক শ রোগী হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। বুধবার হাসপাতালে কথা হয় সদর উপজেলার চরকাউয়া থেকে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে আসা সুমন হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, হাসপাতালে এত রোগী যে সেবা পাওয়া কঠিন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দিনে গড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৮১ জন নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু। যাদের বেশির ভাগের বয়স ১ মাস থেকে ৬ বছর।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক সবই আছে। পাশাপাশি আমাদের ৫টা শিশু আইসিইউ বেডের কাজ চলছে।’
মাদারীপুর: প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার শিশু ওয়ার্ড ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৭০ জন রোগী ভর্তি ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৭০-৮০ জন শিশুরোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়াও বহির্বিভাগেও প্রায় প্রতিদিন অর্ধশত শিশু ও বৃদ্ধ চিকিৎসা নিচ্ছে।
মাদারীপুরের রাস্তি এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের ঠান্ডা লেগেছে। বুকে কফ জমে গেছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
মাদারীপুরের লঞ্চঘাট এলাকার লাইজু বেগম বলেন, হাসপাতালে বেডের সমস্যা। এক বেডে দুজন রোগীকে থাকতে হচ্ছে। এতে করে কেউ ঘুমাতে পারে না। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছি। এ ছাড়া হাসপাতালের জনবলসংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
কুড়িগ্রাম: মধ্য ডিসেম্বরের পর কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল বুধবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের সর্দি ও জ্বর বাড়ছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. আল-আমিন মাসুদ বলেন, শীতে সর্দি-জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক বলে তাঁর দাবি।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, বরিশাল, মাদারীপুর ও কুড়িগ্রামে হাসপাতালগুলোয় শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ মাসের প্রথম ১১ দিনে ২৪৫ শিশুরোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৪১ এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩০৬ জন। একই সময়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে আরও ১ হাজার ৮০৫ শিশু চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, শয্যাসংখ্যার বিপরীতে তিন গুণ রোগী দুটি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। রোগীর স্বজনদের অনেকেই অতিরিক্ত ভিড় এবং চিকিৎসাসেবায় কিছুটা ধীরগতির অভিযোগ করেছেন।
পৌর শহরের বাসিন্দা সুলতানা বেগম তাঁর ১০ মাস বয়সী শিশু সায়রাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা কম। সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর পুরোনো রোগীদের ছুটি হলে মেয়ের জন্য একটি বেড পেয়েছি।’ সুলতানা বেগম আরও বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও ডাক্তার ভালোভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন, এতে আমরা খুশি। কিন্তু বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৬ মাস বয়সী শিশু আরাফাত কাকনের বাবা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে তিন দিন ধরে এখানে ভর্তি রয়েছে। ওকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেলাইন ছাড়া বেশির ভাগ ওষুধই বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেহানা পারভীন বলেন, ‘১৩ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ৫০-৬০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। শীতের কারণে নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের ভর্তি হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের কাজের চাপ অনেক বেড়েছে।’
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিউলী পারভীন বলেন, ‘গত ১০ দিনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। এই ওয়ার্ডে পাঁচজন রোগীকে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও ৬০-৮০ জন রোগী ভর্তি থাকছে। আক্রান্তদের ৯০ ভাগই শিশু।’ তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৭৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল।
হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘শীতের সময় শিশুরা বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। শীতে ধুলা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। প্রতিদিন শিশুদের শরীর মুছে দেওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি খাওয়ানোও গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, টিকা দেওয়া থাকলে অনেক রোগ এড়ানো সম্ভব।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. রকিব সাদী বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা বাড়ায় ওষুধ সরবরাহে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তবে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধের চাহিদা জানিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে জরুরি বেশির ভাগ ওষুধ সরবরাহ রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাগুরা: মাগুরায়ও ঠান্ডাজনিত রোগে সদর হাসপাতালসহ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে রোগী। বিশেষ করে সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে সদর হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ২৫০ জনের বেশি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালে বুধবার গিয়ে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত তিন দিনে হাসপাতালের বহির্বিভাগে মোট রোগী দেখা হয়েছে ৭০০-এর বেশি। এর মধ্যে অর্ধেক ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
চিকিৎসা নিতে আসা নিজনান্দুয়ালী গ্রামের নিলুফার বেগম জানান, তার পাঁচ বছরের মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়েছে দুদিন হলো। চিকিৎসা চলছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুদের এই সময়ে বেশি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা থেকে রক্ষা করতে পারলে, এসব ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হবে না।
মাগুরার সিভিল সার্জন শামীম কবির জানান, রোগীদের সেবা যেন ঠিকভাবে দেওয়া হয়, সে নির্দেশনা রয়েছে।
বরিশাল: বরিশালেও বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগী। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যমতে, প্রতিদিন কয়েক শ রোগী হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। বুধবার হাসপাতালে কথা হয় সদর উপজেলার চরকাউয়া থেকে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে আসা সুমন হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, হাসপাতালে এত রোগী যে সেবা পাওয়া কঠিন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দিনে গড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৮১ জন নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু। যাদের বেশির ভাগের বয়স ১ মাস থেকে ৬ বছর।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক সবই আছে। পাশাপাশি আমাদের ৫টা শিশু আইসিইউ বেডের কাজ চলছে।’
মাদারীপুর: প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার শিশু ওয়ার্ড ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৭০ জন রোগী ভর্তি ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৭০-৮০ জন শিশুরোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়াও বহির্বিভাগেও প্রায় প্রতিদিন অর্ধশত শিশু ও বৃদ্ধ চিকিৎসা নিচ্ছে।
মাদারীপুরের রাস্তি এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের ঠান্ডা লেগেছে। বুকে কফ জমে গেছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
মাদারীপুরের লঞ্চঘাট এলাকার লাইজু বেগম বলেন, হাসপাতালে বেডের সমস্যা। এক বেডে দুজন রোগীকে থাকতে হচ্ছে। এতে করে কেউ ঘুমাতে পারে না। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছি। এ ছাড়া হাসপাতালের জনবলসংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
কুড়িগ্রাম: মধ্য ডিসেম্বরের পর কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল বুধবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের সর্দি ও জ্বর বাড়ছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. আল-আমিন মাসুদ বলেন, শীতে সর্দি-জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক বলে তাঁর দাবি।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
৪৩ মিনিট আগেগত ৫ মাসে (৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে) সারা দেশের ৪০টি মাজারে ৪৪টি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে...
৪ ঘণ্টা আগেলেবাননে আটকে পড়া আরও ৪৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তাদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়...
৫ ঘণ্টা আগে