তাসনিম মহসিন
ঢাকা: করোনাকালে মহামারি ঠেকাতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বৈধভাবে প্রবেশে অনেকটাই কড়াকড়ি ইউরোপের দেশগুলোতে। ফলে এ সময়ে ইউরোপে যেতে অবৈধ পথ বেছে নিয়েছে বাংলাদেশিরা। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় বাংলাদেশিদের অবস্থান চতুর্থ।
সম্প্রতি প্রকাশিত ইউএনএইচসিআরের পরিচালন তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৬০ জন বাংলাদেশিকে ভূমধ্য সাগর থেকে উদ্ধার করেছে সংস্থাটি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ৬৪৯ জন তিউনিসিয়ার নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে আলজেরিয়ার ৯ হাজার ৪৬৬ জন এবং মরক্কোর ৫ হাজার ৩৯৯ জন। বাংলাদেশের অবস্থান চারে। এ ছাড়া এ অঞ্চল থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় শীর্ষ দেশগুলো হচ্ছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, আইভরিকোস্ট এবং মালি।
২০১৫ সাল থেকে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। দেশটিতে বর্তমানে বৈধ-অবৈধ কয়েকটি শাসন ব্যবস্থা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি থাকার কারণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢিলেঢালা। তাই লিবিয়া দিয়েই ইউরোপে প্রবেশ অন্যান্য গন্তব্যের তুলনায় সহজ। তবে এতে ঝুঁকি অনেক বেশি নিতে হয়। ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে ভিন্ন ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশে সক্ষম হয় বাংলাদেশিরা। আর ইউরোপ প্রবেশের জন্য এসব বাংলাদেশিদের পাড়ি দিতে হয় ভূমধ্য সাগর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ অঞ্চলে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সিংহ ভাগই ইতালি প্রবেশের উদ্দেশ্যে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দেয়। লিবিয়া গমনে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পর্যন্ত কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করে থাকে। একবার চার বাংলাদেশি অনাপত্তিপত্র নিতে এলে নথি পর্যাপ্ত ও সন্তোষজনক না থাকায় তাদের আবেদন খারিজ করা হয়। এর কিছুদিন পরই তাদের তুরস্ক থেকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তুরস্ক থেকে তাদের ফেরত নিয়ে আসতে হয়। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র ছাড়া এ মানুষগুলো বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পার করল কীভাবে?
এদের অনিয়মিত অভিবাসন বলা হলেও আইনের ভাষায় আসলে এরা মানব পাচারের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, গত এক যুগে প্রায় ৫৫ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইতালি প্রবেশ করেছে। যে দেশগুলোর পাশে বাংলাদেশের নাম আসছে তা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। মধ্য আয়ের দেশসহ বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করা হলেও যুদ্ধ চলমান দেশগুলোর মানুষের অবৈধ ভাবে প্রবেশের সঙ্গে বাংলাদেশিরা কেন প্রবেশ করছে আন্তর্জাতিক ফোরামে তার উত্তর দিতে আমাদের বেগ পেতে হয়।
জানা যায়, কয়েকটি পথ ধরে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে বাংলাদেশিরা। এর প্রথমটি হলো ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে লিবিয়া। তারপর সেখান থেকে ইউরোপ। দ্বিতীয়টি হলও তুরস্ক হয়ে সরাসরি ইউরোপ প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে আবার লিবিয়া হয়ে যাওয়ার চেষ্টা। আরেকটি হলও দক্ষিণ সুদানের মরুভূমি থেকে লিবিয়া হয়ে ইউরোপ প্রবেশ।
এ পথগুলো দিয়ে গমনেচ্ছুকদের ঢাকা পার করার সময় একটি চক্রের অধীনে রাখা হয়। এরপর দুবাই বা ইস্তাম্বুল অথবা সুদানে তাদের হস্তান্তর করা হয় দ্বিতীয় চক্রের হাতে। সেখান থেকে উড়োজাহাজে করে লিবিয়া যাওয়ার পর তৃতীয় চক্রের হাতে যায় বাংলাদেশিরা। সেখান থেকে নৌকায় উঠিয়ে দেওয়ার পর চতুর্থ চক্র ও সর্বশেষ ইউরোপ নেমে পঞ্চম চক্রের হাতে পড়ে বাংলাদেশিরা। এ পথগুলো দিয়ে লিবিয়া পৌঁছতে জনপ্রতি পাঁচ থেকে নয় লাখ টাকা করে খরচ হয়।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব স্থানে অর্থ পরিশোধ করা না হলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মুক্তিপণ ও অপহরণের মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। আবার কখনো কখনো মানব পাচারকারী চক্রের হাতে নির্দয়-নিষ্ঠুর পরিণতি বরণ করে নিতে হয় অভিবাসন প্রত্যাশীদের।
ঢাকা: করোনাকালে মহামারি ঠেকাতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বৈধভাবে প্রবেশে অনেকটাই কড়াকড়ি ইউরোপের দেশগুলোতে। ফলে এ সময়ে ইউরোপে যেতে অবৈধ পথ বেছে নিয়েছে বাংলাদেশিরা। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় বাংলাদেশিদের অবস্থান চতুর্থ।
সম্প্রতি প্রকাশিত ইউএনএইচসিআরের পরিচালন তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৬০ জন বাংলাদেশিকে ভূমধ্য সাগর থেকে উদ্ধার করেছে সংস্থাটি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ৬৪৯ জন তিউনিসিয়ার নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে আলজেরিয়ার ৯ হাজার ৪৬৬ জন এবং মরক্কোর ৫ হাজার ৩৯৯ জন। বাংলাদেশের অবস্থান চারে। এ ছাড়া এ অঞ্চল থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় শীর্ষ দেশগুলো হচ্ছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, আইভরিকোস্ট এবং মালি।
২০১৫ সাল থেকে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। দেশটিতে বর্তমানে বৈধ-অবৈধ কয়েকটি শাসন ব্যবস্থা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি থাকার কারণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢিলেঢালা। তাই লিবিয়া দিয়েই ইউরোপে প্রবেশ অন্যান্য গন্তব্যের তুলনায় সহজ। তবে এতে ঝুঁকি অনেক বেশি নিতে হয়। ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে ভিন্ন ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশে সক্ষম হয় বাংলাদেশিরা। আর ইউরোপ প্রবেশের জন্য এসব বাংলাদেশিদের পাড়ি দিতে হয় ভূমধ্য সাগর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ অঞ্চলে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সিংহ ভাগই ইতালি প্রবেশের উদ্দেশ্যে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দেয়। লিবিয়া গমনে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পর্যন্ত কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করে থাকে। একবার চার বাংলাদেশি অনাপত্তিপত্র নিতে এলে নথি পর্যাপ্ত ও সন্তোষজনক না থাকায় তাদের আবেদন খারিজ করা হয়। এর কিছুদিন পরই তাদের তুরস্ক থেকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তুরস্ক থেকে তাদের ফেরত নিয়ে আসতে হয়। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র ছাড়া এ মানুষগুলো বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পার করল কীভাবে?
এদের অনিয়মিত অভিবাসন বলা হলেও আইনের ভাষায় আসলে এরা মানব পাচারের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, গত এক যুগে প্রায় ৫৫ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইতালি প্রবেশ করেছে। যে দেশগুলোর পাশে বাংলাদেশের নাম আসছে তা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। মধ্য আয়ের দেশসহ বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করা হলেও যুদ্ধ চলমান দেশগুলোর মানুষের অবৈধ ভাবে প্রবেশের সঙ্গে বাংলাদেশিরা কেন প্রবেশ করছে আন্তর্জাতিক ফোরামে তার উত্তর দিতে আমাদের বেগ পেতে হয়।
জানা যায়, কয়েকটি পথ ধরে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে বাংলাদেশিরা। এর প্রথমটি হলো ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে লিবিয়া। তারপর সেখান থেকে ইউরোপ। দ্বিতীয়টি হলও তুরস্ক হয়ে সরাসরি ইউরোপ প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে আবার লিবিয়া হয়ে যাওয়ার চেষ্টা। আরেকটি হলও দক্ষিণ সুদানের মরুভূমি থেকে লিবিয়া হয়ে ইউরোপ প্রবেশ।
এ পথগুলো দিয়ে গমনেচ্ছুকদের ঢাকা পার করার সময় একটি চক্রের অধীনে রাখা হয়। এরপর দুবাই বা ইস্তাম্বুল অথবা সুদানে তাদের হস্তান্তর করা হয় দ্বিতীয় চক্রের হাতে। সেখান থেকে উড়োজাহাজে করে লিবিয়া যাওয়ার পর তৃতীয় চক্রের হাতে যায় বাংলাদেশিরা। সেখান থেকে নৌকায় উঠিয়ে দেওয়ার পর চতুর্থ চক্র ও সর্বশেষ ইউরোপ নেমে পঞ্চম চক্রের হাতে পড়ে বাংলাদেশিরা। এ পথগুলো দিয়ে লিবিয়া পৌঁছতে জনপ্রতি পাঁচ থেকে নয় লাখ টাকা করে খরচ হয়।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব স্থানে অর্থ পরিশোধ করা না হলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মুক্তিপণ ও অপহরণের মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। আবার কখনো কখনো মানব পাচারকারী চক্রের হাতে নির্দয়-নিষ্ঠুর পরিণতি বরণ করে নিতে হয় অভিবাসন প্রত্যাশীদের।
জিএসপির জন্য শ্রম অধিকারের ১১ দফা বাস্তবায়ন করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজের নেতৃত্বে
৬ মিনিট আগেহেফাজতের আন্দোলনের সময় ২০১৩ সালের ৫ মে পুলিশের গুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্র রেহান আহসান নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে রেহানের মা এই অভিযোগ দায়ের করেন।
২ ঘণ্টা আগেসিভিল সোসাইটির সদস্যদের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সংবিধান সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মতবিনিময় সভায় ৬ জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশকে টুনা মাছ আহরণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মালদ্বীপের হাইকমিশনারের শিউনিন রশীদ। আজ রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশ্বাস দেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে
২ ঘণ্টা আগে