নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলমান পরিস্থিতিতে পদত্যাগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন তাহলে তিনি পদত্যাগে রাজি আছেন।
আজ শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন পদত্যাগ করতে রাজি আছি। প্রয়োজন হলে, যদি এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, আমরা সেটা করব। আমরা সব সময় দেশের জন্য কাজ করি।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘যেসব ছাত্র আটক হয়েছেন, তাদের ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে, যেমন যাত্রাবাড়ীতে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল যে ছেলেটি, এসব ক্ষেত্রে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাকি সবগুলোকে আমরা জামিনে ছেড়ে দিচ্ছি।’
‘আমরা কোটা আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নিয়েছি। পরবর্তীতে তারা যা যা দাবি করেছিল, পুলিশকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। মনে হয়, এখন সময় এসেছে আমাদের প্রিয় ছাত্রদের, যেহেতু তাদের আর কোনো দাবির অবশিষ্ট নেই, তাদের আন্দোলন থেকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে চলে যাবেন। এখন আন্দোলন যে জায়গায় গিয়েছে, এটা কখনোই তাদের কাম্য ছিল না বলে আমরা মনে করি, ’ যোগ করেন আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক দলের কাছে, যারা সব সময় রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজে ব্যস্ত থাকত, জামায়াত–বিএনপি, ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল, শুরু থেকেই তারা চেষ্টা করছিল, আজকে তাদেরই ইশের মধ্যে তারা পড়ে গেছে বলে আমরা মনে করি। ছাত্ররা যাতে লেখাপড়ায় ফিরে যান, আমরা সেই আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এরপরও যদি তাদের কিছু বলার থাকে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দরজা সব সময় খোলা আছে। সেটা তিনি ঘোষণাও দিয়েছেন। তাদের কিছু বলার থাকলে তারা বলতে পারেন।’
আন্দোলন মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাদের ভুল আন্দোলন, আমরা সব সময় বলে এসেছি। কারণ তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। কাজেই তাদের অসহযোগ আন্দোলন তুলে নেওয়া উচিত।’
ছাত্র আন্দোলন উত্তপ্ত পরিস্থিতি এবং সরকারকে হটাও এক দফা আন্দোলন এ নিয়ে কী ভাবছে সরকার? অসহযোগ আন্দোলন নস্যাৎ করতে আপনাদের কী পরিকল্পনা—এক সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নস্যাৎ করতে চাই না। আন্দোলন যদি এ দেশের জনগণ যুক্ত হয়, হবে। সেগুলো আমরা নস্যাৎ করতে চাই না।’
তাহলে আন্দোলনকারীরা কোনো আক্রমণের শিকার হবে না, নিশ্চিত—এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন আপনাকে যদি কেউ মার দেয়, আপনি তাকে মার দেবেন না? আপনি কি বসে থাকবেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আত্মরক্ষার অধিকার দেওয়া আছে। আপনাকেও অধিকার দেওয়া আছে। আপনাকে যদি কেউ হামলা করে, তাহলে প্রাণ ও সম্পদ রক্ষায় আত্মরক্ষা করতে পারেন। এটা আইনগত অধিকার।’
আন্দোলনকারীদের সরকার পতনের একদফা দাবি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা এখন আর কোটা আন্দোলনে নেই, ছাত্রদের আন্দোলনে নেই। এটা এখন রাজনৈতিক আন্দোলনে চলে গেছে। কাজেই ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা চেষ্টা করেছেন, তারাই এই কাজগুলো করেছেন।’
দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আগামীতে করণীয় সম্পর্কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত চলে বৈঠক।
চলমান পরিস্থিতিতে পদত্যাগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন তাহলে তিনি পদত্যাগে রাজি আছেন।
আজ শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন পদত্যাগ করতে রাজি আছি। প্রয়োজন হলে, যদি এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, আমরা সেটা করব। আমরা সব সময় দেশের জন্য কাজ করি।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘যেসব ছাত্র আটক হয়েছেন, তাদের ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে, যেমন যাত্রাবাড়ীতে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল যে ছেলেটি, এসব ক্ষেত্রে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাকি সবগুলোকে আমরা জামিনে ছেড়ে দিচ্ছি।’
‘আমরা কোটা আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নিয়েছি। পরবর্তীতে তারা যা যা দাবি করেছিল, পুলিশকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। মনে হয়, এখন সময় এসেছে আমাদের প্রিয় ছাত্রদের, যেহেতু তাদের আর কোনো দাবির অবশিষ্ট নেই, তাদের আন্দোলন থেকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে চলে যাবেন। এখন আন্দোলন যে জায়গায় গিয়েছে, এটা কখনোই তাদের কাম্য ছিল না বলে আমরা মনে করি, ’ যোগ করেন আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক দলের কাছে, যারা সব সময় রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজে ব্যস্ত থাকত, জামায়াত–বিএনপি, ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল, শুরু থেকেই তারা চেষ্টা করছিল, আজকে তাদেরই ইশের মধ্যে তারা পড়ে গেছে বলে আমরা মনে করি। ছাত্ররা যাতে লেখাপড়ায় ফিরে যান, আমরা সেই আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এরপরও যদি তাদের কিছু বলার থাকে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দরজা সব সময় খোলা আছে। সেটা তিনি ঘোষণাও দিয়েছেন। তাদের কিছু বলার থাকলে তারা বলতে পারেন।’
আন্দোলন মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাদের ভুল আন্দোলন, আমরা সব সময় বলে এসেছি। কারণ তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। কাজেই তাদের অসহযোগ আন্দোলন তুলে নেওয়া উচিত।’
ছাত্র আন্দোলন উত্তপ্ত পরিস্থিতি এবং সরকারকে হটাও এক দফা আন্দোলন এ নিয়ে কী ভাবছে সরকার? অসহযোগ আন্দোলন নস্যাৎ করতে আপনাদের কী পরিকল্পনা—এক সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নস্যাৎ করতে চাই না। আন্দোলন যদি এ দেশের জনগণ যুক্ত হয়, হবে। সেগুলো আমরা নস্যাৎ করতে চাই না।’
তাহলে আন্দোলনকারীরা কোনো আক্রমণের শিকার হবে না, নিশ্চিত—এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন আপনাকে যদি কেউ মার দেয়, আপনি তাকে মার দেবেন না? আপনি কি বসে থাকবেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আত্মরক্ষার অধিকার দেওয়া আছে। আপনাকেও অধিকার দেওয়া আছে। আপনাকে যদি কেউ হামলা করে, তাহলে প্রাণ ও সম্পদ রক্ষায় আত্মরক্ষা করতে পারেন। এটা আইনগত অধিকার।’
আন্দোলনকারীদের সরকার পতনের একদফা দাবি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা এখন আর কোটা আন্দোলনে নেই, ছাত্রদের আন্দোলনে নেই। এটা এখন রাজনৈতিক আন্দোলনে চলে গেছে। কাজেই ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা চেষ্টা করেছেন, তারাই এই কাজগুলো করেছেন।’
দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আগামীতে করণীয় সম্পর্কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত চলে বৈঠক।
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে সরকার। স্ক্যাম চক্রের প্রতারণা এড়াতে নিয়োগ যাচাই এবং সাইবার নিরাপত্তা মেনে চলার পরামর্শ।
১৯ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৭ ঘণ্টা আগে