Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র–কানাডার জন্য লজ্জার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ৫৬
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র–কানাডার জন্য লজ্জার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো দেশ, যারা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের জন্য সব সময় সোচ্চার, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। খুনিদের এই আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি দুই দেশের জন্য লজ্জার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এসব কথা বলেন। এ সময় একাডেমিতে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বৃক্ষরোপণ করেন মন্ত্রী। 

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৫ আগস্টের খুনিরা যেসব দেশে অবস্থান করছেন, সরকার কি তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হচ্ছে যে, ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কেন ফেরানো দরকার—এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে আছেন। একজন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। আরেকজন কানাডায় আছেন। বাকি তিনজনের অবস্থানের বিষয়ে কোনো কিছু সরকারের জানা নেই। 

মন্ত্রী বলেন, আত্মস্বীকৃত খুনিকে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকারের কথা বলা ঠিক মেলে না। দেশগুলোকে জানানো হয়েছে, যাঁদের আশ্রয় দিয়েছে, তাঁরা কী ধরনের অপরাধী। দেশগুলো হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। বিচারের পুরো প্রক্রিয়ার কথা তাদের জানানো হয়েছে। এতসব করার পর দেশগুলো এখন বিভিন্ন অজুহাত দেয়। তারা খুনিদের ফেরত দেয়নি। এটা খুবই দুঃখের বিষয়। খুনিরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখানে সরকারি ব্যবস্থার মধ্যে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন—এমন অভিযোগ করে মোমেন বলেন, তাঁদের ফেরত না দিয়ে অজুহাত দেওয়ার ব্যাপারটি ওইসব দেশের জন্য লজ্জার। 

বাংলাদেশের আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ব্যক্তিদের মধ্যে এসএইচএমবি নূর চৌধুরী কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সরকার তাঁকে ফেরত চেয়েছে, এমনটি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডা একটা না একটা বাহানা দেয়। একটি বড় বাহানা হচ্ছে, আদালত তাঁকে (নূর) ফাঁসির রায় দিয়েছে। কিন্তু তাঁর সুযোগ আছে, তিনি এখানে এসে ক্ষমা চাইতে পারেন। কিন্তু কানাডা বলছে, যেসব দেশে ফাঁসির বিধান আছে, সেসব দেশে তারা পাঠায় না। তিনি কানাডার নাগরিক বা অবৈধ অভিবাসী কি না, সেটাও তারা ঠিক করে বলে না। 

আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ব্যক্তিদের মধ্যে এমএ রাশেদ চৌধুরী আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। মন্ত্রী বলেন, দেশটি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চেয়েছিল। তাদের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার কথা জানানো হয়েছে। রাশেদ চৌধুরীর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে আছে বলে দেশটি জানায়। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেয় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত