নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার ছিল আলোচনার শেষ পর্ব। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ ১৪টি দল আমন্ত্রণ পেলেও অংশ নেয় ১০টি। অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ সাতটিই ইভিএমে ভোট গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছে।
এর আগে দুই দফায় অংশ নেওয়া দলগুলো বেশির ভাগই ইভিএম ব্যবহারে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছিল। ওই সব রাজনৈতিক দলের নেতারা কৌশলে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার পরামর্শও দিয়েছেন।
আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইসির মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দলগুলোর সঙ্গে কারিগরি বিষয়ে ভোটদান নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ইসির দায়িত্বশীল নিরপেক্ষ আচরণ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ইভিএমে ভোট গ্রহণের পদ্ধতি বৃদ্ধি করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। আগেও আমরা ইসিকে এসে বলেছিলাম। এখানে রাখঢাক করার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য হারে ইভিএম বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইসির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনেপ্রাণে, চেতনায় ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ হোক, তা চাই।’
এই সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী। তিনি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। তথ্যপ্রযুক্তির এই আধুনিকায়নের সময় প্রযুক্তির ব্যবহার যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। দলটির পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশন যত সংলাপই করুক না কেন তাদের মনে রাখতে হবে ভোট গ্রহণে ইভিএমের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরাইয়া বেগম জানান, ‘বাংলার মানুষ ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় না। আমরা মনে করি জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানিয়ে ইভিএম প্রত্যাহার করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে।’
ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটও। বিকল্প ধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই ইভিএম চাই। তবে প্রশ্ন হলো, এই পদ্ধতিতে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না।’ সব কটি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সক্ষমতা আছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন এই রাজনীতিক।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল। দলটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চাই। সেই সঙ্গে ইভিএম ব্যবহারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশাও ইভিএমের পক্ষে মত দিয়েছেন।
ইভিএম আধুনিক ব্যবস্থা বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন ভুইয়া। তিনি বলেন, ‘ইভিএমকে পরিচিত করানো উচিত কমিশনের। ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে এখনই ইসির প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।’
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেনও ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের পরামর্শ দেন।
সবার বক্তব্য শোনার পর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবরের মতো বলেছেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলগুলোর মতামত তাঁরা লিপিবদ্ধ করেছেন। কতগুলো আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সামর্থ্য আছে, সেটি পর্যালোচনা করবেন, এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সেই সময় (নির্বাচনকালীন) সরকার থাকবে কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকবে না। সরকার আর আওয়ামী লীগ এক নয়। নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছ থেকে হেল্প (সাহায্য) নেবে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোনো সহায়তা নেবে না, সেটার প্রশ্নই আসে না।’
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার ছিল আলোচনার শেষ পর্ব। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ ১৪টি দল আমন্ত্রণ পেলেও অংশ নেয় ১০টি। অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ সাতটিই ইভিএমে ভোট গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছে।
এর আগে দুই দফায় অংশ নেওয়া দলগুলো বেশির ভাগই ইভিএম ব্যবহারে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছিল। ওই সব রাজনৈতিক দলের নেতারা কৌশলে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার পরামর্শও দিয়েছেন।
আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইসির মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দলগুলোর সঙ্গে কারিগরি বিষয়ে ভোটদান নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ইসির দায়িত্বশীল নিরপেক্ষ আচরণ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ইভিএমে ভোট গ্রহণের পদ্ধতি বৃদ্ধি করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। আগেও আমরা ইসিকে এসে বলেছিলাম। এখানে রাখঢাক করার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য হারে ইভিএম বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইসির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনেপ্রাণে, চেতনায় ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ হোক, তা চাই।’
এই সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী। তিনি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। তথ্যপ্রযুক্তির এই আধুনিকায়নের সময় প্রযুক্তির ব্যবহার যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। দলটির পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশন যত সংলাপই করুক না কেন তাদের মনে রাখতে হবে ভোট গ্রহণে ইভিএমের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরাইয়া বেগম জানান, ‘বাংলার মানুষ ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় না। আমরা মনে করি জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানিয়ে ইভিএম প্রত্যাহার করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে।’
ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটও। বিকল্প ধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই ইভিএম চাই। তবে প্রশ্ন হলো, এই পদ্ধতিতে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না।’ সব কটি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সক্ষমতা আছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন এই রাজনীতিক।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল। দলটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চাই। সেই সঙ্গে ইভিএম ব্যবহারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশাও ইভিএমের পক্ষে মত দিয়েছেন।
ইভিএম আধুনিক ব্যবস্থা বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন ভুইয়া। তিনি বলেন, ‘ইভিএমকে পরিচিত করানো উচিত কমিশনের। ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে এখনই ইসির প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।’
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেনও ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের পরামর্শ দেন।
সবার বক্তব্য শোনার পর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবরের মতো বলেছেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলগুলোর মতামত তাঁরা লিপিবদ্ধ করেছেন। কতগুলো আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সামর্থ্য আছে, সেটি পর্যালোচনা করবেন, এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সেই সময় (নির্বাচনকালীন) সরকার থাকবে কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকবে না। সরকার আর আওয়ামী লীগ এক নয়। নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছ থেকে হেল্প (সাহায্য) নেবে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোনো সহায়তা নেবে না, সেটার প্রশ্নই আসে না।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
১ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৩ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে