নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারের প্রক্রিয়া নিয়ে উভয়সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাহাজের মালিকপক্ষও এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। দস্যুদের পক্ষ থেকেও কোনো যোগাযোগ করা হচ্ছে না। এ দিকে থেকেও যোগাযোগের সূত্র মিলছে না।
চরম উৎকণ্ঠায় আট দিন ধরে জিম্মি জাহাজের নাবিকদের পরিবারের লোকজন। কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার তৎপরতাকে বিপজ্জনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার ও মালিকপক্ষও অভিযানের বিপক্ষে। কারণ হিসেবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়ানোর কথা উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমালি দস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের বিষয়ে নতুন করে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম কোম্পানির মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।
তথ্যমতে, জলদস্যুদের কবলে পড়া চট্টগ্রাম বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিকের জিম্মি দশার আট দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু সমঝোতার বিষয়ে কোনো আলোচনাই এখনো শুরু হয়নি। এখনো দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি জাহাজ মালিকপক্ষের। গত শনিবার (১৬ মার্চ) রাত ৮টায় সর্বশেষ এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলাপের বরাত কেএসআরএমের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজের সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যাল মাইল সমান ১ দশমিক ৮৫২ কিলোমিটার) দূরে দস্যুরা ছিনতাইয়ের পর প্রথমে জাহাজটি নোঙর করেছিল। গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ৪৫ থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে জাহাজটি অবস্থান শনাক্ত করা হয়। উপকূলবর্তী গদবজিরান নামক স্থান থেকে মাত্র ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল গত ১৫ মার্চ রাত ৮টায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮ টা) জাহাজের অবস্থানের আর কোনো তথ্য মেলেনি।
তথ্যমতে, গত শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করেন। গত ডিসেম্বরে জলদস্যুরা ওই জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাতে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ১৭ নাবিককে মুক্ত এবং ৩৫ জলদস্যুকে আটক করা হয়।
এরপর এমভি আব্দুল্লাহকেও উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌসেনা ও সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশের যৌথ অভিযানের প্রস্তুতির কথা গণমাধ্যমে আসে। এতে নড়েচড়ে বসে জাহাজ মালিকপক্ষ ও সরকার। এ ধরনের অভিযানকে বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নৌ বিশেষজ্ঞরাও একই মত দিয়েছেন। দস্যুদের সঙ্গে যেকোনো উপায়ে সমঝোতাই জাহাজ ও জিম্মি মুক্তির একমাত্র উপায় বলছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী জানান, দস্যুদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা হিতে বিপরীত হতে পারে। এ অভিযান যদি দস্যুদের প্রথম আক্রমণের সময় কিংবা দস্যুরা জাহাজটি জিম্মি করার পরপরই গভীর সমুদ্রে চালানো যেত, তাহলে ফল পাওয়া যেত।
একই বিষয়ে ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান বলেন, ‘এখন জাহাজটি পুরোপুরি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। জাহাজটি বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও নাবিকেরা সবাই বাংলাদেশি। এ কারণে আমাদের ঝুঁকিটাও বেশি। জাহাজটি গভীর সমুদ্রে থাকলে অভিযান চালানো যেত। কিন্তু এখন দস্যুদের সুরক্ষিত ডেরায় জাহাজের অবস্থান।’
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারের প্রক্রিয়া নিয়ে উভয়সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাহাজের মালিকপক্ষও এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। দস্যুদের পক্ষ থেকেও কোনো যোগাযোগ করা হচ্ছে না। এ দিকে থেকেও যোগাযোগের সূত্র মিলছে না।
চরম উৎকণ্ঠায় আট দিন ধরে জিম্মি জাহাজের নাবিকদের পরিবারের লোকজন। কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার তৎপরতাকে বিপজ্জনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার ও মালিকপক্ষও অভিযানের বিপক্ষে। কারণ হিসেবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়ানোর কথা উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমালি দস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের বিষয়ে নতুন করে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম কোম্পানির মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।
তথ্যমতে, জলদস্যুদের কবলে পড়া চট্টগ্রাম বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিকের জিম্মি দশার আট দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু সমঝোতার বিষয়ে কোনো আলোচনাই এখনো শুরু হয়নি। এখনো দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি জাহাজ মালিকপক্ষের। গত শনিবার (১৬ মার্চ) রাত ৮টায় সর্বশেষ এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলাপের বরাত কেএসআরএমের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজের সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যাল মাইল সমান ১ দশমিক ৮৫২ কিলোমিটার) দূরে দস্যুরা ছিনতাইয়ের পর প্রথমে জাহাজটি নোঙর করেছিল। গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ৪৫ থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে জাহাজটি অবস্থান শনাক্ত করা হয়। উপকূলবর্তী গদবজিরান নামক স্থান থেকে মাত্র ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল গত ১৫ মার্চ রাত ৮টায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮ টা) জাহাজের অবস্থানের আর কোনো তথ্য মেলেনি।
তথ্যমতে, গত শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করেন। গত ডিসেম্বরে জলদস্যুরা ওই জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাতে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ১৭ নাবিককে মুক্ত এবং ৩৫ জলদস্যুকে আটক করা হয়।
এরপর এমভি আব্দুল্লাহকেও উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌসেনা ও সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশের যৌথ অভিযানের প্রস্তুতির কথা গণমাধ্যমে আসে। এতে নড়েচড়ে বসে জাহাজ মালিকপক্ষ ও সরকার। এ ধরনের অভিযানকে বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নৌ বিশেষজ্ঞরাও একই মত দিয়েছেন। দস্যুদের সঙ্গে যেকোনো উপায়ে সমঝোতাই জাহাজ ও জিম্মি মুক্তির একমাত্র উপায় বলছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী জানান, দস্যুদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা হিতে বিপরীত হতে পারে। এ অভিযান যদি দস্যুদের প্রথম আক্রমণের সময় কিংবা দস্যুরা জাহাজটি জিম্মি করার পরপরই গভীর সমুদ্রে চালানো যেত, তাহলে ফল পাওয়া যেত।
একই বিষয়ে ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান বলেন, ‘এখন জাহাজটি পুরোপুরি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। জাহাজটি বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও নাবিকেরা সবাই বাংলাদেশি। এ কারণে আমাদের ঝুঁকিটাও বেশি। জাহাজটি গভীর সমুদ্রে থাকলে অভিযান চালানো যেত। কিন্তু এখন দস্যুদের সুরক্ষিত ডেরায় জাহাজের অবস্থান।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাসে দেশে গণপিটুনিতে ১১৯ জন নিহত এবং ৭৪ জন আহত হয়েছেন। এ সময় সারা দেশে গণপিটুনির অন্তত ১১৪টি ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট
১২ মিনিট আগেরমজান মাসে দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকা রাজধানীর সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে...
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে গত ১৫ বছরে সংঘটিত জোরপূর্বক গুম ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সমাজের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম আজ বুধবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের লাখো শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৩তম অধিবেশনের আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর
১ ঘণ্টা আগে