নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটাবিরোধী যে আন্দোলন চলছে, সেটি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, খুঁজে দেখতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সেই সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এসএসসি-এইচএসসি ২০২৩ ও ২০২৪ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এই আহ্বান জানান। এসবিএসি ব্যাংকের সহযোগিতায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিআরইউ।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একের পর এক কর্মসূচি দিচ্ছেন, সমাধানের পথ কোথায়? এই আন্দোলন যৌক্তিক কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই দেশের বাইরে অপপ্রচার করে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা সংগঠন করতে দেওয়া হয় না। আজকে যারাই এই আন্দোলন করছেন, রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে যে তাঁরা এটি করতে পারছেন, এটা কি প্রমাণ করে না? বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে, বাক্স্বাধীনতা চর্চার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কারও ওপরই কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাক্স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। তবে যে বিষয়টি নিয়ে এখানে আন্দোলন হচ্ছে বা একটি চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে বা সেটাকে বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হচ্ছে সড়ক অবরোধ বা ব্লকেড কর্মসূচির মাধ্যমে। যেহেতু আমরা সরকারে আছি, আইনের শাসনের প্রতি আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং এটা যেহেতু উচ্চ আদালতে এখনো বিচারাধীন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রায় আমাদের সর্বোচ্চ আদালত থেকে না এলে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল হবে। যেকোনো ব্যক্তি এ বিষয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হয়তো মন্তব্য করতে পারে, কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই—অনেক সময় জনপ্রিয় অনেক বিষয়কে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সেই ফাঁদে যেন আমরা পা না দিই। প্রথমত এটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে, আদালতের সিদ্ধান্তের পরে নির্বাহী বিভাগের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্লেক্সিবিলিটি থাকে। সেটার জন্য অবশ্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে, সেটি সমাধান না হওয়ার আগেই হঠাৎ করে আমি রাস্তায় নেমে এলাম, রাস্তাঘাট সব ব্লক করে দিলাম, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রশ্ন থাকতে পারে, এর পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না! কারণ স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার জন্য অনেকেই অনেকভাবে অনেক জায়গায় উসকানি দেয়। আমরা দেখেছি, ’৭৫-পরবর্তী সময় থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বারংবার এমন একটা অবস্থার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, যেখানে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীরা বারবার এগিয়ে যায়। সেই ধরনের কোনো প্রচেষ্টা হচ্ছে কি না, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’
ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর সভাপতিত্বে ও কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এসবিএসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আজিম।
অনুষ্ঠানে এসএসসি-এইচএসসি ২০২৩ ও ২০২৪ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারা ডিআরইউর সদস্যদের সন্তান। পাশাপাশি ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের হাতেও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
কোটাবিরোধী যে আন্দোলন চলছে, সেটি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, খুঁজে দেখতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সেই সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এসএসসি-এইচএসসি ২০২৩ ও ২০২৪ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এই আহ্বান জানান। এসবিএসি ব্যাংকের সহযোগিতায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিআরইউ।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একের পর এক কর্মসূচি দিচ্ছেন, সমাধানের পথ কোথায়? এই আন্দোলন যৌক্তিক কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই দেশের বাইরে অপপ্রচার করে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা সংগঠন করতে দেওয়া হয় না। আজকে যারাই এই আন্দোলন করছেন, রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে যে তাঁরা এটি করতে পারছেন, এটা কি প্রমাণ করে না? বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে, বাক্স্বাধীনতা চর্চার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কারও ওপরই কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাক্স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। তবে যে বিষয়টি নিয়ে এখানে আন্দোলন হচ্ছে বা একটি চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে বা সেটাকে বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হচ্ছে সড়ক অবরোধ বা ব্লকেড কর্মসূচির মাধ্যমে। যেহেতু আমরা সরকারে আছি, আইনের শাসনের প্রতি আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং এটা যেহেতু উচ্চ আদালতে এখনো বিচারাধীন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রায় আমাদের সর্বোচ্চ আদালত থেকে না এলে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল হবে। যেকোনো ব্যক্তি এ বিষয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হয়তো মন্তব্য করতে পারে, কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই—অনেক সময় জনপ্রিয় অনেক বিষয়কে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সেই ফাঁদে যেন আমরা পা না দিই। প্রথমত এটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে, আদালতের সিদ্ধান্তের পরে নির্বাহী বিভাগের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্লেক্সিবিলিটি থাকে। সেটার জন্য অবশ্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে, সেটি সমাধান না হওয়ার আগেই হঠাৎ করে আমি রাস্তায় নেমে এলাম, রাস্তাঘাট সব ব্লক করে দিলাম, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রশ্ন থাকতে পারে, এর পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না! কারণ স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার জন্য অনেকেই অনেকভাবে অনেক জায়গায় উসকানি দেয়। আমরা দেখেছি, ’৭৫-পরবর্তী সময় থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বারংবার এমন একটা অবস্থার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, যেখানে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীরা বারবার এগিয়ে যায়। সেই ধরনের কোনো প্রচেষ্টা হচ্ছে কি না, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’
ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর সভাপতিত্বে ও কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এসবিএসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আজিম।
অনুষ্ঠানে এসএসসি-এইচএসসি ২০২৩ ও ২০২৪ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারা ডিআরইউর সদস্যদের সন্তান। পাশাপাশি ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের হাতেও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে ৫৪ জন কর্মকর্তাকে বদলি ও নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ২৩ জন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন। গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন বিদায়ী পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, বাংলাদেশে আগের সরকারের সময় মানবাধিকার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান যা ছিল, বর্তমান সরকারের সময়ও সেটাই আছে। স্থানীয় গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার...
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকেরা। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকেরা এসব সুপারিশ করেন
৩ ঘণ্টা আগেআইনজীবী জেড আই খান পান্না মানবিক বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গণমামলা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে