Ajker Patrika

তিস্তায় বড় প্রকল্প নিয়ে সতর্ক থাকার তাগিদ

সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা 
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনায় চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এবারের সফরে। তবে বিশ্লেষকেরা তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর তাগিদ দিয়েছেন।

ঢাকাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বলেন, তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে একটি প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের আগে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। এবার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে বিষয়টি আসায় প্রকল্পটি গুরুত্ব পাবে।

সিইজিআইএস কর্মকর্তা বলেন, ‘তিস্তায় সুনির্দিষ্ট প্রকল্প নিয়ে এগোনোর আগে তার কারিগরি দিকগুলো খতিয়ে দেখতে হবে—কী উদ্দেশে প্রকল্প নেওয়া হবে? কেন করা হবে? তিস্তায় ব্যারাজ আছে। এর ভাটিতে বাংলাদেশ কী করতে চায়—এসব বিষয় পরিষ্কার হতে হবে।’

এই নদী বিশেষজ্ঞ বলেন, তিস্তা ব্যারাজ মূলত একটি সেচ প্রকল্প। তাই এর উজানে বড় ধরনের কোনো প্রকল্প নেওয়ার সুযোগ নেই।

নদীর ওপর অবকাঠামো বেশি হলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এটা উল্লেখ করে মালিক ফিদা এ খান বলেন, নদীকে নদীর মতো চলতে দেওয়া উচিত; তা না হলে নদী বিগড়ে যেতে পারে। যেকোনো প্রকল্পই নেওয়া হোক না কেন, তা নদীর বৈশিষ্ট্যের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে কী প্রভাব ফেলবে, তাও দেখতে হবে। ক্ষণস্থায়ী লাভের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনা যাবে না।

ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী তিস্তার পানি ভাগাভাগির জন্য একটি চুক্তি করার বিষয়ে ১৯৬৫ সাল থেকে বর্তমান বাংলাদেশে আলোচনা চলছে। ২০১১ সালে চুক্তিটি সই হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

তিস্তা প্রকল্পে চীনকে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে ভারত বিষয়টি কীভাবে নিতে পারে, এমন প্রশ্নে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে এখন সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে, এ কারণে তারা কিছু মনে করলেও করতে পারে। তা না হলে বিষয়টি ‘নতুন না’।

ভারত পানি দেবে না—এটা ধরে নিয়েই এগোতে হবে; এমনটা উল্লেখ করে চীনে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, একই সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতাও থাকতে হবে। এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে ভারতের চিন্তিত হওয়ার সত্যি সত্যি কোনো কারণ থাকে।

মুন্সি ফয়েজ বলেন, এবারের সফরের একটি নেতিবাচক দিক হলো চীনের কাছে পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা চাওয়া। এটা ‘অবিবেচকের মতো’ কাজ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশেরই করা উচিত। অন্যরা সেখানে সহায়তা দিতে পারে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের

পরিবারের সামনে পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ নেতা-কর্মী আটক

গ্রেপ্তার আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী আটক

তখন অন্য একটা সংগঠন করতাম, এখন বলতে লজ্জা হয়: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশে-ভারত সম্পর্কের অবনতিতে দায়ী মোদি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা: কংগ্রেস

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত