নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের কি সম্পর্ক সেটি জানতে চাওয়া হয়। নগদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ‘নগদ’-এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সহায়তায় পরিচালিত নগদ সম্পর্কে বিরূপ তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে বৈঠকে বলা হয়। আর সংসদীয় কমিটির সদস্যরা তাদের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে। এছাড়া নগদ থাকায় মোবাইল ব্যাংকের একচেটিয়া প্রভাব বন্ধ হয়েছে। যাতে গ্রাহক সুবিধা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সংসদীয় কমিটির সদস্যরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসটিকে জনপ্রিয় করে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি ও উপবৃত্তিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব ধরনের ভাতা নগদের মাধ্যমে প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর মাধ্যমে সরকারের সকল লেনদেন পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে নগদ-এর নাম ভাঙিয়ে কোনো প্রকার অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত তথ্য মতে, নগদ-এর গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ। উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার। পরিবেশক সংখ্যা ২০৮ টি। প্রায় ৯৫৩ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন হয়। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ৬ হাজার ২৩১ জন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ২ লাখ ৫৫ হাজার। দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৬০২টি নগদ সেবা কেন্দ্র। দেশব্যাপী ৪৬ ‘নগদ’ সেবা সেন্টার রয়েছে।
ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে রাজস্ব শেয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত সরকারি বিভিন্ন নিয়ম মেনে নগদ ডাক বিভাগকে ৫১ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার প্রদান করছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নগদ থেকে ডাক বিভাগ মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। ডাক বিভাগ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাত লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার ৩১১ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৮ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
নগদ বর্তমানে ১৭ ধরনের সেবা প্রদান করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সেগুলো হলো-ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, করোনা টেস্টের ফি, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি প্রদান, অ্যাড মানি (ব্যাংক ও কার্ড থেকে), জিটুপি, মোবাইল রিচার্জ, আয়কর প্রদান, ডোনেশান, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট, ইএমআই কালেকশন, ই-কমার্স পেমেন্ট, রেলওয়ে টিকিট ফি পেমেন্ট ও ইন্ডিয়ান ভিসা ফি পেমেন্ট।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং গ্রাহক ও পরিবেশবান্ধব নানাবিধ কৌশলের কারণে ‘নগদ’ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় সেবা হিসেবে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা; ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য রয়েছে হটলাইন নম্বর ১৬১৬৭। এ সেবাগুলোকে নগদের অর্জন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
গ্রাহকের লেনদেন ব্যয় হ্রাস: ‘নগদ’ সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ড মানি ও বিল পেমেন্ট ফ্রি’সহ নানাবিধ সেবাসমূহের কারণে দেশের প্রান্তিক জনসাধারণ এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়ন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা এক কোটি চল্লিশ লাখ মায়ের ‘নগদ’ মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এতে নারীর ক্ষমতায়নে ‘নগদ’ সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে।
ভাতা বিতরণে সরকারের ব্যয় হ্রাস: সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন উপহার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কার্যক্রমে ডাক অধিদপ্তরের ‘নগদ’ সেবার ব্যবহারে ভাতা বিতরণ খরচ প্রতি হাজারে ২০ টাকার স্থলে ৭ টাকায় নেমে এসেছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সরকারি সকল বিতরণ কার্যক্রম ‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে সম্পাদিত হলে শুধুমাত্র বিতরণ ব্যয় থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা ‘নগদ’ এর কার্যকরী ও আধুনিকতর ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ এর মাধ্যমে যেকোনো লেনদেনে ‘অস্বাভাবিকতা’ পরিলক্ষিত হলে, তার ব্যাপারে ‘ফ্ল্যাগ রেইজ’ এর মাধ্যমে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি সুচারুরূপে পালন করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ‘সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম’ ও ‘আলাদীনের প্রদীপ’ নামক প্রতিষ্ঠান দুইটির অস্বাভাবিক ‘রিফান্ড রিকোয়েস্ট’-এর বিষয়টিকে সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের গচ্ছিত অর্থের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্দেহজনক লেনদেনসমূহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর রিপোর্ট করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি: ‘নগদ’ সেবার প্রবর্তনের পর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রাহক, এজেন্টসহ সকল ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাভবান হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ভূমিকা পালনঃ করোনা টেস্টের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর একমাত্র পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে ‘নগদ’ কাজ করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জনঃ ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশের ডাক সেবা সমূহ নিজেদের দেশে ‘নগদ’ এর আদলে সেবা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে এবং সে সমস্ত ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা প্রাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
২০১৯ সালের ২৬ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা প্রেরণের মাধ্যমে ‘নগদ’ সেবার উদ্বোধন করেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা এবং অপরাজিতা হক।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের কি সম্পর্ক সেটি জানতে চাওয়া হয়। নগদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ‘নগদ’-এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সহায়তায় পরিচালিত নগদ সম্পর্কে বিরূপ তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে বৈঠকে বলা হয়। আর সংসদীয় কমিটির সদস্যরা তাদের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে। এছাড়া নগদ থাকায় মোবাইল ব্যাংকের একচেটিয়া প্রভাব বন্ধ হয়েছে। যাতে গ্রাহক সুবিধা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সংসদীয় কমিটির সদস্যরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসটিকে জনপ্রিয় করে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি ও উপবৃত্তিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব ধরনের ভাতা নগদের মাধ্যমে প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর মাধ্যমে সরকারের সকল লেনদেন পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে নগদ-এর নাম ভাঙিয়ে কোনো প্রকার অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত তথ্য মতে, নগদ-এর গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ। উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার। পরিবেশক সংখ্যা ২০৮ টি। প্রায় ৯৫৩ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন হয়। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ৬ হাজার ২৩১ জন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ২ লাখ ৫৫ হাজার। দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৬০২টি নগদ সেবা কেন্দ্র। দেশব্যাপী ৪৬ ‘নগদ’ সেবা সেন্টার রয়েছে।
ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে রাজস্ব শেয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত সরকারি বিভিন্ন নিয়ম মেনে নগদ ডাক বিভাগকে ৫১ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার প্রদান করছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নগদ থেকে ডাক বিভাগ মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। ডাক বিভাগ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাত লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার ৩১১ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৮ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
নগদ বর্তমানে ১৭ ধরনের সেবা প্রদান করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সেগুলো হলো-ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, করোনা টেস্টের ফি, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি প্রদান, অ্যাড মানি (ব্যাংক ও কার্ড থেকে), জিটুপি, মোবাইল রিচার্জ, আয়কর প্রদান, ডোনেশান, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট, ইএমআই কালেকশন, ই-কমার্স পেমেন্ট, রেলওয়ে টিকিট ফি পেমেন্ট ও ইন্ডিয়ান ভিসা ফি পেমেন্ট।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং গ্রাহক ও পরিবেশবান্ধব নানাবিধ কৌশলের কারণে ‘নগদ’ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় সেবা হিসেবে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা; ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য রয়েছে হটলাইন নম্বর ১৬১৬৭। এ সেবাগুলোকে নগদের অর্জন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
গ্রাহকের লেনদেন ব্যয় হ্রাস: ‘নগদ’ সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ড মানি ও বিল পেমেন্ট ফ্রি’সহ নানাবিধ সেবাসমূহের কারণে দেশের প্রান্তিক জনসাধারণ এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়ন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা এক কোটি চল্লিশ লাখ মায়ের ‘নগদ’ মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এতে নারীর ক্ষমতায়নে ‘নগদ’ সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে।
ভাতা বিতরণে সরকারের ব্যয় হ্রাস: সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন উপহার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কার্যক্রমে ডাক অধিদপ্তরের ‘নগদ’ সেবার ব্যবহারে ভাতা বিতরণ খরচ প্রতি হাজারে ২০ টাকার স্থলে ৭ টাকায় নেমে এসেছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সরকারি সকল বিতরণ কার্যক্রম ‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে সম্পাদিত হলে শুধুমাত্র বিতরণ ব্যয় থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা ‘নগদ’ এর কার্যকরী ও আধুনিকতর ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ এর মাধ্যমে যেকোনো লেনদেনে ‘অস্বাভাবিকতা’ পরিলক্ষিত হলে, তার ব্যাপারে ‘ফ্ল্যাগ রেইজ’ এর মাধ্যমে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি সুচারুরূপে পালন করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ‘সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম’ ও ‘আলাদীনের প্রদীপ’ নামক প্রতিষ্ঠান দুইটির অস্বাভাবিক ‘রিফান্ড রিকোয়েস্ট’-এর বিষয়টিকে সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের গচ্ছিত অর্থের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্দেহজনক লেনদেনসমূহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর রিপোর্ট করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি: ‘নগদ’ সেবার প্রবর্তনের পর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রাহক, এজেন্টসহ সকল ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাভবান হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ভূমিকা পালনঃ করোনা টেস্টের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর একমাত্র পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে ‘নগদ’ কাজ করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জনঃ ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশের ডাক সেবা সমূহ নিজেদের দেশে ‘নগদ’ এর আদলে সেবা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে এবং সে সমস্ত ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা প্রাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
২০১৯ সালের ২৬ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা প্রেরণের মাধ্যমে ‘নগদ’ সেবার উদ্বোধন করেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা এবং অপরাজিতা হক।
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
৬ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
৮ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
৮ ঘণ্টা আগে