বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়, রহস্য উদ্ঘাটন হয় না। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয় না। তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য শুধু তারিখ পরিবর্তন হয়। আজ বুধবার ৯১টি তারিখ পার হলো। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। ঘটনাটি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার।
সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ১০ বছর পূর্তি হয়েছে গত ১১ ফেব্রুয়ারি। আরও ছয় মাস পার হয়েছে। আদালত থেকে দফায় দফায় সময় বেঁধে দেওয়ার পরও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন সকালে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ওই দিন রাতে নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর দেশব্যাপী সাংবাদিক সমাজে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করার আশ্বাস দেন।
শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মোচনের বিষয়ে। যদিও তা মেলেনি।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম। ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিবি উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলম নতুন করে তদন্তভার নেন। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম।
২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তার নিয়ে জনস্বার্থে রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। জারি করা রুলে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
গোয়েন্দা বিভাগের তদন্ত ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, র্যাবের তদন্ত মনিটরিং করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করতে হবে ৷ প্রথম পর্যায়ে থানা-পুলিশের তদন্তে কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে৷
তবে গত ১০ বছরের বেশি সময়ে প্রমাণ হয়েছে তদন্তে থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব সবাই ব্যর্থ।
মামলার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের সাত মাসের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব আসামিদের অচিরেই শনাক্ত করার আভাস দিয়েছিল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার র্যাবের হাতে হস্তান্তরের পর প্রথম প্রথম প্রতি ধার্য তারিখে তদন্তের একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হতো। এখন আর ওই ধরনের কোনো প্রতিবেদনও দাখিল করা হয় না। প্রতিটি ধার্য তারিখে নথি আদালতে উপস্থাপন করার পর আদালত নতুন তারিখ কার্য করেন। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে মামলার কার্যক্রম।
এই মামলার নথি থেকে দেখা যায়, গত বছরের ৫ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম আদালতে অগ্রগতি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মামলাটি ২০১৯ সালের ৭ জুলাই থেকে আমি তদন্ত করে আসছি। মামলাটি যথাযথভাবে তদন্তের লক্ষ্যে জব্দকৃত আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতিক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের আইএফএস (ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস) বরাবর পাঠানো হয়। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, পূর্বে পাঠানো আলামতগুলো এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বুকাল সোয়াব পর্যালোচনায় অজ্ঞাতনামা দুই পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। তদন্তকালে ওই অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তিকে (পুরুষ) চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে প্যারাবন স্ন্যাপশট নামে মার্কিন অপর একটি ডিএনএ ল্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ডিএনএ থেকে অপরাধী বা জড়িত ব্যক্তির ছবি প্রস্তুত করার সক্ষমতা রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের।’
তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পূর্বের প্রতিষ্ঠান আইএফএসের সমন্বয়পূর্বক ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ছবি প্রস্তুতের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
আইএফএসে সংরক্ষিত ও বর্ণিত ডিএনএ প্যারাবন স্ন্যাপশট নামের প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহের সার্ভিস চার্জ হিসেবে ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার ফি নির্ধারণ করায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আইএফএসকে ব্যাব কর্তৃপক্ষ থেকে উল্লিখিত পরীক্ষার অগ্রগতির বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য ই-মেইল পাঠানো হয়। আইএফএস ল্যাব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো মতামত প্রদান করেনি। ডিএনএ প্রযুক্তির মাধ্যমে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের প্রচেষ্টাসহ মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
আইএফএস ল্যাব কর্তৃপক্ষ থেকে জড়িত দুই ব্যক্তির ছবি না পাওয়া পর্যন্ত এই মামলার তদন্তে আর কোনো অগ্রগতি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে অথবা দেশীয় তদন্তে খুনিদের শনাক্ত করার আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই ছবি সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জালাল উদ্দিন জানান, সম্প্রতি তদন্ত কর্মকর্তা কোন অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
মামলার অগ্রগতি বিষয়ে ঢাকা মহানগর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এখনো পর্যন্ত কোনো হত্যার ক্লু পাচ্ছেন না। তবে জানামতে, তদন্ত সংস্থা চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
ঘটনার কিছুদিনের মধ্যে এই মামলায় মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মামুন, মো. কামরুল হাসান অরুণ, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ, এনাম আহাম্মদ ওরফে হুমায়ুন কবির, পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান জামিনে ছাড়া পান।
ঢাকার আদালতের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হচ্ছে না। অথচ সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আদৌ জড়িত কি না, তা শনাক্ত না হাওয়ায় তারাও হয়রানির শিকার হচ্ছে যা অমানবিক।’
দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়, রহস্য উদ্ঘাটন হয় না। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয় না। তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য শুধু তারিখ পরিবর্তন হয়। আজ বুধবার ৯১টি তারিখ পার হলো। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। ঘটনাটি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার।
সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ১০ বছর পূর্তি হয়েছে গত ১১ ফেব্রুয়ারি। আরও ছয় মাস পার হয়েছে। আদালত থেকে দফায় দফায় সময় বেঁধে দেওয়ার পরও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন সকালে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ওই দিন রাতে নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর দেশব্যাপী সাংবাদিক সমাজে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করার আশ্বাস দেন।
শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মোচনের বিষয়ে। যদিও তা মেলেনি।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম। ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিবি উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলম নতুন করে তদন্তভার নেন। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম।
২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তার নিয়ে জনস্বার্থে রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। জারি করা রুলে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
গোয়েন্দা বিভাগের তদন্ত ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, র্যাবের তদন্ত মনিটরিং করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করতে হবে ৷ প্রথম পর্যায়ে থানা-পুলিশের তদন্তে কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে৷
তবে গত ১০ বছরের বেশি সময়ে প্রমাণ হয়েছে তদন্তে থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব সবাই ব্যর্থ।
মামলার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের সাত মাসের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব আসামিদের অচিরেই শনাক্ত করার আভাস দিয়েছিল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার র্যাবের হাতে হস্তান্তরের পর প্রথম প্রথম প্রতি ধার্য তারিখে তদন্তের একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হতো। এখন আর ওই ধরনের কোনো প্রতিবেদনও দাখিল করা হয় না। প্রতিটি ধার্য তারিখে নথি আদালতে উপস্থাপন করার পর আদালত নতুন তারিখ কার্য করেন। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে মামলার কার্যক্রম।
এই মামলার নথি থেকে দেখা যায়, গত বছরের ৫ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম আদালতে অগ্রগতি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মামলাটি ২০১৯ সালের ৭ জুলাই থেকে আমি তদন্ত করে আসছি। মামলাটি যথাযথভাবে তদন্তের লক্ষ্যে জব্দকৃত আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতিক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের আইএফএস (ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস) বরাবর পাঠানো হয়। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, পূর্বে পাঠানো আলামতগুলো এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বুকাল সোয়াব পর্যালোচনায় অজ্ঞাতনামা দুই পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। তদন্তকালে ওই অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তিকে (পুরুষ) চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে প্যারাবন স্ন্যাপশট নামে মার্কিন অপর একটি ডিএনএ ল্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ডিএনএ থেকে অপরাধী বা জড়িত ব্যক্তির ছবি প্রস্তুত করার সক্ষমতা রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের।’
তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পূর্বের প্রতিষ্ঠান আইএফএসের সমন্বয়পূর্বক ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ছবি প্রস্তুতের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
আইএফএসে সংরক্ষিত ও বর্ণিত ডিএনএ প্যারাবন স্ন্যাপশট নামের প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহের সার্ভিস চার্জ হিসেবে ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার ফি নির্ধারণ করায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আইএফএসকে ব্যাব কর্তৃপক্ষ থেকে উল্লিখিত পরীক্ষার অগ্রগতির বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য ই-মেইল পাঠানো হয়। আইএফএস ল্যাব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো মতামত প্রদান করেনি। ডিএনএ প্রযুক্তির মাধ্যমে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের প্রচেষ্টাসহ মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
আইএফএস ল্যাব কর্তৃপক্ষ থেকে জড়িত দুই ব্যক্তির ছবি না পাওয়া পর্যন্ত এই মামলার তদন্তে আর কোনো অগ্রগতি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে অথবা দেশীয় তদন্তে খুনিদের শনাক্ত করার আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই ছবি সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জালাল উদ্দিন জানান, সম্প্রতি তদন্ত কর্মকর্তা কোন অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
মামলার অগ্রগতি বিষয়ে ঢাকা মহানগর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এখনো পর্যন্ত কোনো হত্যার ক্লু পাচ্ছেন না। তবে জানামতে, তদন্ত সংস্থা চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
ঘটনার কিছুদিনের মধ্যে এই মামলায় মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মামুন, মো. কামরুল হাসান অরুণ, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ, এনাম আহাম্মদ ওরফে হুমায়ুন কবির, পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান জামিনে ছাড়া পান।
ঢাকার আদালতের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হচ্ছে না। অথচ সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আদৌ জড়িত কি না, তা শনাক্ত না হাওয়ায় তারাও হয়রানির শিকার হচ্ছে যা অমানবিক।’
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে নেওয়ার আইন বাতিল চেয়েছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেসরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিশেষ দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিশেষ দায়িত্বশীল...
১ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৫০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবারের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগেপ্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের বিচ ভ্যালি, কিংশুক এবং সায়রি ইকো রিসোর্টে অগ্নিনির্বাপণে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সহযোগিতা করেছে। পরে নৌসদস্যদের সঙ্গে যুক্ত হন কোস্ট গার্ড, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, বিজিবি...
২ ঘণ্টা আগে