Ajker Patrika

শেখ হাসিনা ভারতে থাকলেও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৪, ২০: ১৮
শেখ হাসিনা ভারতে থাকলেও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে গেছেন। তিনি সেখানে অবস্থান করলে তাতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না, এমনটাই মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ সোমবার বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা ভারতে থাকলে তাতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন ব্যক্তি কোনো এক দেশে থাকলে তাতে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। দুই দেশের সম্পর্ক স্বার্থের সম্পর্ক। দেশের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না, সেটাই বড় বিষয়।’ 

পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। 

আজ রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশনপ্রধানদের জন্য কূটনৈতিক ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৬৫ জন বিদেশি কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। 

কূটনীতিকদের জন্য দেওয়া লিখিত বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘মৌলিক অধিকার, সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এর বাইরে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।’ 

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য নীতি ও কাঠামোগত সংস্কার শুরু হবে।’ 

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতার চান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘কোনো বৈধ বিদেশি ব্যবসা এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।’ 

বিদেশি দূতদের তিনি জানান, দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেসব চুক্তি ও অঙ্গীকার বাংলাদেশ করেছে, তা অবশ্যই রক্ষা করা হবে। 

এ বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানে স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে বা যথেষ্ট স্বার্থ রক্ষা হয়নি, সেগুলো (খতিয়ে) দেখা হবে।’ 

কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কূটনীতিকেরা মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরাপত্তা ও দেশে–বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার পদত্যাগের আগে ও পরে সংঘটিত সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে।’ 

তবে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতেরা কিছু জানতে চাননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত