সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা ও জেলা আদালতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রধান বিচারপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ৫৭
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ১০
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ । ছবি: আজকের পত্রিকা

সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা ও জেলা আদালতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি ২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যে নজিরবিহীন অনভিপ্রেত ঘটনাবলি সংঘটিত হয়েছে এবং দেশের জেলা আদালতসমূহে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে—সেসব বিষয় সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশের আদালতসমূহ যাতে বিচারপ্রার্থীদের নির্বিঘ্নে বিচারসেবা দিতে পারে, সে লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সামগ্রিক বিষয়াবলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

এতে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট এই মর্মে আশ্বস্ত করছে যে, সব প্রতিকূলতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও দেশের আদালতসমূহে বিচারসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। প্রধান বিচারপতি দেশের আদালতগুলো এরূপ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং দেশের সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালকে তাঁদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রেখে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারসেবা দেওয়ার ধারা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে হট্টগোল হয় গতকাল বুধবার। এমনকি রায়ে বিরূপ মন্তব্যকারী ওই বিচারপতিকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন এক আইনজীবী। এর আগে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবীকে হত্যার অভিযোগ উঠে উগ্রপন্থী সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা। পরে বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা শুধু সুপ্রিম কোর্ট নয়, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা প্রতি একটা হুমকি। এটা কঠিনভাবে দেখা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি।’

খোকন বলেন, ‘আমরা (সুপ্রিম কোর্ট বার) একটা তদন্ত কমিটি করব। সিসিটিভি ফুটেজ আছে। কোর্টে আইনজীবীও ছিলেন। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে তাদের মেম্বারশিপ বাতিল হতে পারে। এমনকি বার কাউন্সিলের সনদও বাতিল হতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত