নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনে ন্যায্য পাওনা থেকে বাংলাদেশকে বরাবরই বঞ্চিত করছে প্রতিবেশী ভারত। এর ফলে দেশের নদী শুকিয়ে শুকানোর পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। পানির হিস্যা বুঝে নিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে বলে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন।
আজ রোববার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত পানি বণ্টন: অভিজ্ঞতা, আশঙ্কা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলা হয়। এতে পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, রাজনীতি বিশ্লেষক ও আইন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সাংবাদিক মনি হায়দারের সঞ্চালনায় আয়োজনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে আগামী দুই বছর পরেই গঙ্গা নদীর পানি চুক্তিটা মেয়াদ শেষ হবে। এর প্রেক্ষিতে এই সভা। আমাদের ভারতের সঙ্গে শুধু ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে। এর মধ্যে একটা নদীর ক্ষেত্রে ফুল ফেজে এগ্রিমেন্ট আছে। সেটা হচ্ছে গঙ্গা নদী। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন যে তিস্তা নিয়ে অনেক বছর ধরে আলোচনা চলছে। ২০১১ সালে একটা চুক্তি হয়ে যাচ্ছিল। এখানে কমন একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে যে মমতা ব্যানার্জির জন্য চুক্তি হয়নি। আপনারা দয়া করে ভারতের সংবিধান দেখবেন। আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ইউনিয়ন গভর্নমেন্টের আওতাভুক্ত। মমতা ব্যানার্জি আপত্তি করলে ভারত সরকার চুক্তি করতে পারবে না—এট যদি কেউ বলে, ফেডারেল ফর্ম অব গভর্নমেন্ট নিয়ে আমার মনে হয় ধারণার অভাব আছে। মূল কথা হচ্ছে, তিস্তা চুক্তি ভারত সরকার যদি করতে চায়, মমতা অভ্যন্তরীণভাবে যতই আপত্তি জানাক ভারত সরকার করতে পারে। এটা ভারত সরকার চাচ্ছে না, তাই হচ্ছে না। এতে স্টেট মিনিস্টার কিছু করতে পারে না।’
ভারতের সঙ্গে দর–কষাকষির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ন্যায্য পানি বণ্টনে কোনো মিটিংয়ে নদীর বিষয়টি খুব একট গুরুত্ব পায় না বলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনো মিটিংয়েই আমরা মূল ইস্যু হিসেবে গঙ্গা ইস্যু দেখতে পাইনি। অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন হিসেবে মাঝে মাঝে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু মেইন অ্যাজেন্ডা হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবারও আমরা গঙ্গা বা তিস্তা ইস্যু দেখতে পাচ্ছি না।’
প্যানেল আলোচনায় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘আমরা পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কারিগরি ভিত্তিটাকে মূল ভাবি। কারিগরি লোকদের দোষারোপ করি বা চাপ সৃষ্টি করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যারা কারিগরি বিষয়ে তেমন কিছু বোঝেন না, তারা গম্ভীরভাবে মতামত প্রকাশ করেন। আমি মনে করি, মূল সিদ্ধান্ত হবে রাজনীতির ভিত্তিতে। রাজনীতির ভিত্তিতে শুধু নদী নিয়ে আলোচনা হবে, না নদীর সঙ্গে অন্য জিনিসকেও যুক্ত করা হবে। মূল কথা হচ্ছে পানি কতটা পাব, কীভাবে পাব, কী ধরনের প্রকল্প হবে, সারা বছরের পানির একটা হিসেব–নিকেশ হবে কি না সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সেটা পাওয়া যাবে কি না—এ ব্যাপারে প্রচুর সন্দেহ আছে। কারণ, ভারত তার নিজের স্বার্থ ষোলোআনা মেনটেন করতে চায়। আমরা কি আমাদের স্বার্থ রাজনৈতিক মহলে তুলে ধরতে পেরেছি। তারা এ ব্যাপারে সোচ্চার নন। তারা ভারতের কাছে কাঁচা মরিচের জন্য, পেঁয়াজের জন্য আবেদন করেন। পানির জন্য আবেদন করেন কি?’
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘ফারাক্কার কারণে আমাদের যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবেই প্রতিবাদ করেছিল। কাজেই ফারাক্কার কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার কোনো ডেটা আমাদের কাছে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু মাঠেঘাটে যাই। বলতে পারি, অন্তত ১০০ নদী মারা গিয়েছে ফারাক্কার কারণে। লবণপানি বহু আগেই সুন্দরবন ছাড়িয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে এসে পড়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় যে পরিমাণ পানি লাগবে তা তো ফারাক্কা থেকে প্রবাহিতই হয় না। কাজেই আগামীতে গঙ্গা বেসিনে পানি ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে বাংলাদেশ যে আলোচনা করছে—তা আমি যথেষ্ট বলে মনে করি না।’
ভারত কীভাবে বাংলাদেশ থেকে ন্যায্য পানি থেকে ঠকাচ্ছে তা প্রমাণ করতে একটি গবেষণাপত্র তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ভূতত্ত্ব ও পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পানি ডিপ্লোমেসিটাকে ডিপ্লোমেসির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে হবে। সব ডিপ্লোমেসি হবে পানিকে কেন্দ্র করে। ভারত যদি পানি না দেয়, ট্রানজিটসহ অন্য সবকিছু বন্ধ রাখা হবে। ভারত বাংলাদেশকে নাখোশ করে ঠিক থাকতে পারবে—এটা কখনোই সঠিক না।’
সমাপনী বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘একটা রাষ্ট্র গঠনের দুটো ভিত্তি থাকে। একটা হচ্ছে ম্যাটেরিয়াল বেসিস, আরেকটা হচ্ছে ইনস্টিটিউশনাল বেসিস। ইনস্টিটিউশনাল বেসিস হচ্ছে গভর্নেন্স। এই যে পার্লামেন্ট থাকে ইত্যাদি। ম্যাটেরিয়াল বেসিস তৈরি হয় তার রিসোর্স থেকে। বাংলাদেশের রিসোর্সের জায়গা হচ্ছে তার নদী, তার পানি। এটা যদি আপনি শুকিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে পঙ্গু করে ফেলতে পারবেন। এটা সম্ভব। শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। গোটা উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি কী আমরা জানি। বাংলাদেশের যে ন্যায্য অধিকার সেটা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের যে ম্যাটেরিয়াল বেসিস সেটা পরিবেশগতভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাতে বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট তৈরি হচ্ছে।’
অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনে ন্যায্য পাওনা থেকে বাংলাদেশকে বরাবরই বঞ্চিত করছে প্রতিবেশী ভারত। এর ফলে দেশের নদী শুকিয়ে শুকানোর পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। পানির হিস্যা বুঝে নিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে বলে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন।
আজ রোববার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত পানি বণ্টন: অভিজ্ঞতা, আশঙ্কা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলা হয়। এতে পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, রাজনীতি বিশ্লেষক ও আইন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সাংবাদিক মনি হায়দারের সঞ্চালনায় আয়োজনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে আগামী দুই বছর পরেই গঙ্গা নদীর পানি চুক্তিটা মেয়াদ শেষ হবে। এর প্রেক্ষিতে এই সভা। আমাদের ভারতের সঙ্গে শুধু ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে। এর মধ্যে একটা নদীর ক্ষেত্রে ফুল ফেজে এগ্রিমেন্ট আছে। সেটা হচ্ছে গঙ্গা নদী। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন যে তিস্তা নিয়ে অনেক বছর ধরে আলোচনা চলছে। ২০১১ সালে একটা চুক্তি হয়ে যাচ্ছিল। এখানে কমন একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে যে মমতা ব্যানার্জির জন্য চুক্তি হয়নি। আপনারা দয়া করে ভারতের সংবিধান দেখবেন। আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ইউনিয়ন গভর্নমেন্টের আওতাভুক্ত। মমতা ব্যানার্জি আপত্তি করলে ভারত সরকার চুক্তি করতে পারবে না—এট যদি কেউ বলে, ফেডারেল ফর্ম অব গভর্নমেন্ট নিয়ে আমার মনে হয় ধারণার অভাব আছে। মূল কথা হচ্ছে, তিস্তা চুক্তি ভারত সরকার যদি করতে চায়, মমতা অভ্যন্তরীণভাবে যতই আপত্তি জানাক ভারত সরকার করতে পারে। এটা ভারত সরকার চাচ্ছে না, তাই হচ্ছে না। এতে স্টেট মিনিস্টার কিছু করতে পারে না।’
ভারতের সঙ্গে দর–কষাকষির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ন্যায্য পানি বণ্টনে কোনো মিটিংয়ে নদীর বিষয়টি খুব একট গুরুত্ব পায় না বলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনো মিটিংয়েই আমরা মূল ইস্যু হিসেবে গঙ্গা ইস্যু দেখতে পাইনি। অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন হিসেবে মাঝে মাঝে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু মেইন অ্যাজেন্ডা হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবারও আমরা গঙ্গা বা তিস্তা ইস্যু দেখতে পাচ্ছি না।’
প্যানেল আলোচনায় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘আমরা পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কারিগরি ভিত্তিটাকে মূল ভাবি। কারিগরি লোকদের দোষারোপ করি বা চাপ সৃষ্টি করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যারা কারিগরি বিষয়ে তেমন কিছু বোঝেন না, তারা গম্ভীরভাবে মতামত প্রকাশ করেন। আমি মনে করি, মূল সিদ্ধান্ত হবে রাজনীতির ভিত্তিতে। রাজনীতির ভিত্তিতে শুধু নদী নিয়ে আলোচনা হবে, না নদীর সঙ্গে অন্য জিনিসকেও যুক্ত করা হবে। মূল কথা হচ্ছে পানি কতটা পাব, কীভাবে পাব, কী ধরনের প্রকল্প হবে, সারা বছরের পানির একটা হিসেব–নিকেশ হবে কি না সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সেটা পাওয়া যাবে কি না—এ ব্যাপারে প্রচুর সন্দেহ আছে। কারণ, ভারত তার নিজের স্বার্থ ষোলোআনা মেনটেন করতে চায়। আমরা কি আমাদের স্বার্থ রাজনৈতিক মহলে তুলে ধরতে পেরেছি। তারা এ ব্যাপারে সোচ্চার নন। তারা ভারতের কাছে কাঁচা মরিচের জন্য, পেঁয়াজের জন্য আবেদন করেন। পানির জন্য আবেদন করেন কি?’
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘ফারাক্কার কারণে আমাদের যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবেই প্রতিবাদ করেছিল। কাজেই ফারাক্কার কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার কোনো ডেটা আমাদের কাছে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু মাঠেঘাটে যাই। বলতে পারি, অন্তত ১০০ নদী মারা গিয়েছে ফারাক্কার কারণে। লবণপানি বহু আগেই সুন্দরবন ছাড়িয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে এসে পড়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় যে পরিমাণ পানি লাগবে তা তো ফারাক্কা থেকে প্রবাহিতই হয় না। কাজেই আগামীতে গঙ্গা বেসিনে পানি ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে বাংলাদেশ যে আলোচনা করছে—তা আমি যথেষ্ট বলে মনে করি না।’
ভারত কীভাবে বাংলাদেশ থেকে ন্যায্য পানি থেকে ঠকাচ্ছে তা প্রমাণ করতে একটি গবেষণাপত্র তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ভূতত্ত্ব ও পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পানি ডিপ্লোমেসিটাকে ডিপ্লোমেসির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে হবে। সব ডিপ্লোমেসি হবে পানিকে কেন্দ্র করে। ভারত যদি পানি না দেয়, ট্রানজিটসহ অন্য সবকিছু বন্ধ রাখা হবে। ভারত বাংলাদেশকে নাখোশ করে ঠিক থাকতে পারবে—এটা কখনোই সঠিক না।’
সমাপনী বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘একটা রাষ্ট্র গঠনের দুটো ভিত্তি থাকে। একটা হচ্ছে ম্যাটেরিয়াল বেসিস, আরেকটা হচ্ছে ইনস্টিটিউশনাল বেসিস। ইনস্টিটিউশনাল বেসিস হচ্ছে গভর্নেন্স। এই যে পার্লামেন্ট থাকে ইত্যাদি। ম্যাটেরিয়াল বেসিস তৈরি হয় তার রিসোর্স থেকে। বাংলাদেশের রিসোর্সের জায়গা হচ্ছে তার নদী, তার পানি। এটা যদি আপনি শুকিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে পঙ্গু করে ফেলতে পারবেন। এটা সম্ভব। শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। গোটা উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি কী আমরা জানি। বাংলাদেশের যে ন্যায্য অধিকার সেটা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের যে ম্যাটেরিয়াল বেসিস সেটা পরিবেশগতভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাতে বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট তৈরি হচ্ছে।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৪ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে