উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
উপ সচিব থেকে যুগ্ম সচিবে পদোন্নতি পেলেন আরও ২২১ জন। এর মধ্যে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে বিসিএস ২২তম ব্যাচের পদোন্নতি পেলেন ১৮২ জন। পদোন্নতি পাওয়া বাকি কর্মকর্তারা আগের বঞ্চিত ও সদ্য বিলুপ্ত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের, যারা প্রশাসন ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপনে ২২১ জনের নাম প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছয়জন বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনে কর্মরত। এছাড়া পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে মন্ত্রী ও সচিবদের বর্তমান ও সাবেক ১৪ জন একান্ত সচিব (পিএস) এবং বেশ কয়েকটি জেলার সাবেক ডিসি রয়েছেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদানপত্র ই–মেইলে ([email protected]) পাঠাতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত ৭২৫ কর্মকর্তা। এ পরিস্থিতিতে আরও ২২১ জনকে যুগ্ম সচিব করা হলো। এর ফলে এ পদে কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪৬–এ। অথচ অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৩৩২। সে হিসাবে পদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ যুগ্ম সচিব হলেন প্রশাসনে।
পদ না থাকায় পদোন্নতি পাওয়া অধিকাংশ কর্মকর্তাকে আগের পদেই (ইন সিটু) কাজ করতে হবে অথবা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে থাকতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রেওয়াজ অনুযায়ী পদোন্নতিপ্রাপ্তদের এরই মধ্যে ওএসডি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিসিএস ২০ ব্যাচের ৩ জন, ২১ ব্যাচের ১১ জন এবং নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ২২তম ব্যাচের ১৮২ জন এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে উপসচিব হওয়া ২৫ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিসিএস ২২তম ব্যাচের ২৭৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে ২৪৫ জন পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এ ছাড়া সদ্য বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের ৩৯ কর্মকর্তাও পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতিবঞ্চিত (লেফট আউট) ১০০–এর মতো কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডারের অর্ধশত কর্মকর্তাকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল।
ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, যাদের পদোন্নতি হয়নি তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রয়েছে। কারও বিষয়ে নানা অসংগতিও রয়েছে। এমনকি অনেকের বিরুদ্ধে মাঠে কাজ করার সময় অসদাচরণের অভিযোগও রয়েছে। এসব কারণে অনেকের পদোন্নতি হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, স্থায়ী পদ না থাকায় এমনিতেই অনেক যুগ্ম সচিবকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে, তার ওপর নতুন করে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশির ভাগ যুগ্ম সচিবকে বর্তমান কর্মস্থলে ইন সিটু (উপ–সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার স্থানে) থাকতে হবে। পদের চেয়ে বেশি কর্মকর্তা হওয়ায় পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ইন সিটু (আগের পদে রাখা) করা হবে। অর্থাৎ এই কর্মকর্তাদের আগের পদেই কাজ করতে হবে। ফলে পদোন্নতি পাওয়ার পরও তাঁরা নতুন ডেস্ক পাচ্ছেন না, সেটি প্রায় নিশ্চিত।
অতীতেও পদোন্নতির পর পদের চেয়ে কর্মকর্তা বেশি হওয়ায় আগের পদেই কাজ করতে হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২ নভেম্বর ১১৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার। মাত্র নয় মাসের মাথায় আবারও ২২১ কর্মকর্তাকে একই পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
‘সরকারের উপ সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ –এ বলা হয়েছে, যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের উপ সচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে। বিধিমালা অনুযায়ী, উপ সচিব পদে কমপক্ষে পাঁচ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা উপ সচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে কোনো কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।
উপ সচিব থেকে যুগ্ম সচিবে পদোন্নতি পেলেন আরও ২২১ জন। এর মধ্যে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে বিসিএস ২২তম ব্যাচের পদোন্নতি পেলেন ১৮২ জন। পদোন্নতি পাওয়া বাকি কর্মকর্তারা আগের বঞ্চিত ও সদ্য বিলুপ্ত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের, যারা প্রশাসন ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপনে ২২১ জনের নাম প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছয়জন বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনে কর্মরত। এছাড়া পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে মন্ত্রী ও সচিবদের বর্তমান ও সাবেক ১৪ জন একান্ত সচিব (পিএস) এবং বেশ কয়েকটি জেলার সাবেক ডিসি রয়েছেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদানপত্র ই–মেইলে ([email protected]) পাঠাতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত ৭২৫ কর্মকর্তা। এ পরিস্থিতিতে আরও ২২১ জনকে যুগ্ম সচিব করা হলো। এর ফলে এ পদে কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪৬–এ। অথচ অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৩৩২। সে হিসাবে পদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ যুগ্ম সচিব হলেন প্রশাসনে।
পদ না থাকায় পদোন্নতি পাওয়া অধিকাংশ কর্মকর্তাকে আগের পদেই (ইন সিটু) কাজ করতে হবে অথবা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে থাকতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রেওয়াজ অনুযায়ী পদোন্নতিপ্রাপ্তদের এরই মধ্যে ওএসডি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিসিএস ২০ ব্যাচের ৩ জন, ২১ ব্যাচের ১১ জন এবং নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ২২তম ব্যাচের ১৮২ জন এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে উপসচিব হওয়া ২৫ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিসিএস ২২তম ব্যাচের ২৭৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে ২৪৫ জন পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এ ছাড়া সদ্য বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের ৩৯ কর্মকর্তাও পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতিবঞ্চিত (লেফট আউট) ১০০–এর মতো কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডারের অর্ধশত কর্মকর্তাকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল।
ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, যাদের পদোন্নতি হয়নি তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রয়েছে। কারও বিষয়ে নানা অসংগতিও রয়েছে। এমনকি অনেকের বিরুদ্ধে মাঠে কাজ করার সময় অসদাচরণের অভিযোগও রয়েছে। এসব কারণে অনেকের পদোন্নতি হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, স্থায়ী পদ না থাকায় এমনিতেই অনেক যুগ্ম সচিবকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে, তার ওপর নতুন করে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশির ভাগ যুগ্ম সচিবকে বর্তমান কর্মস্থলে ইন সিটু (উপ–সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার স্থানে) থাকতে হবে। পদের চেয়ে বেশি কর্মকর্তা হওয়ায় পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ইন সিটু (আগের পদে রাখা) করা হবে। অর্থাৎ এই কর্মকর্তাদের আগের পদেই কাজ করতে হবে। ফলে পদোন্নতি পাওয়ার পরও তাঁরা নতুন ডেস্ক পাচ্ছেন না, সেটি প্রায় নিশ্চিত।
অতীতেও পদোন্নতির পর পদের চেয়ে কর্মকর্তা বেশি হওয়ায় আগের পদেই কাজ করতে হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২ নভেম্বর ১১৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার। মাত্র নয় মাসের মাথায় আবারও ২২১ কর্মকর্তাকে একই পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
‘সরকারের উপ সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ –এ বলা হয়েছে, যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের উপ সচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে। বিধিমালা অনুযায়ী, উপ সচিব পদে কমপক্ষে পাঁচ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা উপ সচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে কোনো কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।
নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) দেশের সংবাদমাধ্যমের ওপর চলমান আক্রমণ ও হুমকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো
৪ মিনিট আগেনির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বেশ চাপ এসেছিল। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের ট্রেন চলছে, এমন ধারণা দেওয়ার জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।’
৩০ মিনিট আগেসংবিধান সংস্কার বিষয়ে ওয়েবসাইটে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৯৭ জন মতামত দিয়েছে। একই সঙ্গে কমিশন ২৮টি সংগঠন, ২৩ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ৫ জন সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং ১০ জন তরুণ চিন্তাবিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। সোমবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেঅনেক মিত্রই আজ হঠকারীর ভূমিকায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ সোমবার ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন
১ ঘণ্টা আগে