ঢাবি প্রতিনিধি
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। আজ বুধবার বেলা আড়াইটায় ঢাবির আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এই সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ‘সরকারকে আহত করবে’ অজুহাত দেখিয়ে সেই আলোচনায় বাধা দিয়েছে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা।
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১: আমরা কেন উদ্বিগ্ন?’ শীর্ষক সভা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আলোচনা সভা করা যাবে না বলে শিক্ষক নেটওয়ার্কের অন্যতম সংগঠক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খানকে ফোন করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। পরবর্তী সময় এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেন প্রগতিশীল এই শিক্ষকেরা।
বাধা দেওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক তানজীম বলেন, ‘কলা অনুষদের ডিন অনুষ্ঠান শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ফোন করে জানান, আমরা যেন প্রোগ্রাম না করি, আমাদের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ আমাকে উনি (বাছির) বলেননি। শুধু বলেছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন এসেছে, আমরা যেন প্রোগ্রাম না করি।’
বাধা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে অবহিত হয়েছি যে তারা যে ধরনের আলোচনা করবেন বা বক্তব্য রাখবেন—সেটা কোনো না কোনোভাবে আমাদের দেশ, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আহত করবে। যেহেতু একটি নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে অডিটরিয়ামটি বরাদ্দ দিই—যেখানে রাষ্ট্র, সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়কে আঘাত করে এমন কোনো গ্রুপকে এটি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। ফলে আয়োজকদের প্রোগ্রাম না করার জন্য অনুরোধ করি।’
এদিকে আর সি মজুমদারে আলোচনা সভা করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলার সামনে সমাবেশ করেন প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতারা। ঢাবির উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিবাদী এই সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দীন আহমেদ, লেখক ও সম্পাদক রাখাল রাহা প্রমুখ।
উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে যে নিপীড়ন চলছে, কথা বলতে দিচ্ছে না, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, বাক্স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে—তারই নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ও তা থেকে খালি নয়। বিশ্ববিদ্যালয় যে অধ্যাদেশের মাধ্যমে চলার কথা তা চলছে না, এটা নামমাত্র রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থার মূল সমস্যা কারিকুলাম নয়। বরং অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাব, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত বেতন না দেওয়া, স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে রাজনীতির প্রবেশ শিক্ষাব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। কোনো সরকার শিক্ষার মান পরিবর্তনে ব্যবস্থা নেয়নি। কয়েকটি মিশনারি স্কুল বাংলাদেশ ছেড়ে গেলে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পাতালে চলে যাবে। আমরা কি সেগুলো নিয়ে কথা বলতে পারব না?’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন কারিকুলামের জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন, তা বাংলাদেশে গড়ে ওঠেনি। আগে আপনারা (সরকার) পরিবেশ তৈরি করুন, তারপর কারিকুলাম তৈরি করুন।’ নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়ে চরম অবহেলা করা হয়েছে। প্রচ্ছদ তৈরি, কাগজের মান, বইয়ের কনটেন্ট সবকিছুতেই অবহেলা করা হয়েছে।
তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের বিতর্ককে ভয় পাওয়া রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকাশ। শিক্ষাক্রম মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার ভালো-খারাপ দিক নিয়ে আলোচনা করা দরকার। শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে কথা বলার নাগরিক ও নৈতিক অধিকার রয়েছে। দেশের সংবিধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী আমি কথা বলতে পারি। কিন্তু আমাদের মতপ্রকাশে বাধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কজনক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।’
সমাবেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। আজ বুধবার বেলা আড়াইটায় ঢাবির আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এই সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ‘সরকারকে আহত করবে’ অজুহাত দেখিয়ে সেই আলোচনায় বাধা দিয়েছে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা।
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১: আমরা কেন উদ্বিগ্ন?’ শীর্ষক সভা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আলোচনা সভা করা যাবে না বলে শিক্ষক নেটওয়ার্কের অন্যতম সংগঠক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খানকে ফোন করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। পরবর্তী সময় এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেন প্রগতিশীল এই শিক্ষকেরা।
বাধা দেওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক তানজীম বলেন, ‘কলা অনুষদের ডিন অনুষ্ঠান শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ফোন করে জানান, আমরা যেন প্রোগ্রাম না করি, আমাদের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ আমাকে উনি (বাছির) বলেননি। শুধু বলেছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন এসেছে, আমরা যেন প্রোগ্রাম না করি।’
বাধা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে অবহিত হয়েছি যে তারা যে ধরনের আলোচনা করবেন বা বক্তব্য রাখবেন—সেটা কোনো না কোনোভাবে আমাদের দেশ, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আহত করবে। যেহেতু একটি নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে অডিটরিয়ামটি বরাদ্দ দিই—যেখানে রাষ্ট্র, সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়কে আঘাত করে এমন কোনো গ্রুপকে এটি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। ফলে আয়োজকদের প্রোগ্রাম না করার জন্য অনুরোধ করি।’
এদিকে আর সি মজুমদারে আলোচনা সভা করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলার সামনে সমাবেশ করেন প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতারা। ঢাবির উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিবাদী এই সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দীন আহমেদ, লেখক ও সম্পাদক রাখাল রাহা প্রমুখ।
উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে যে নিপীড়ন চলছে, কথা বলতে দিচ্ছে না, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, বাক্স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে—তারই নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ও তা থেকে খালি নয়। বিশ্ববিদ্যালয় যে অধ্যাদেশের মাধ্যমে চলার কথা তা চলছে না, এটা নামমাত্র রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থার মূল সমস্যা কারিকুলাম নয়। বরং অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাব, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত বেতন না দেওয়া, স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে রাজনীতির প্রবেশ শিক্ষাব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। কোনো সরকার শিক্ষার মান পরিবর্তনে ব্যবস্থা নেয়নি। কয়েকটি মিশনারি স্কুল বাংলাদেশ ছেড়ে গেলে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পাতালে চলে যাবে। আমরা কি সেগুলো নিয়ে কথা বলতে পারব না?’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন কারিকুলামের জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন, তা বাংলাদেশে গড়ে ওঠেনি। আগে আপনারা (সরকার) পরিবেশ তৈরি করুন, তারপর কারিকুলাম তৈরি করুন।’ নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়ে চরম অবহেলা করা হয়েছে। প্রচ্ছদ তৈরি, কাগজের মান, বইয়ের কনটেন্ট সবকিছুতেই অবহেলা করা হয়েছে।
তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের বিতর্ককে ভয় পাওয়া রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকাশ। শিক্ষাক্রম মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার ভালো-খারাপ দিক নিয়ে আলোচনা করা দরকার। শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে কথা বলার নাগরিক ও নৈতিক অধিকার রয়েছে। দেশের সংবিধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী আমি কথা বলতে পারি। কিন্তু আমাদের মতপ্রকাশে বাধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কজনক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।’
সমাবেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
৯ ঘণ্টা আগেশুধু রাত নয়, দিনদুপুরেও মহাসড়কে বাসে ডাকাতি হয়েছে। রাতে সড়ক-মহাসড়কে বাসসহ যানবাহনে একের পর এক ডাকাতিতে তৈরি হওয়া আতঙ্কে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে গত রোববার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বেলা দুইটায় সাভারের রেডিও কলোনি এলাকার এই ডাকাতি। রাতের মতো দিনেও যেন অরক্ষিত মহাসড়ক।
৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভোট সম্ভবত এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একটি সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে কোনো বেওয়ারিশ লাশ থাকবে না। তিনি বলেছেন, ‘এমন এক সমাজ চাই, যেখানে বেওয়ারিশ লাশ যেন না থাকে। আমাদের লক্ষ্যও সেটি।’
১৩ ঘণ্টা আগে