Ajker Patrika

শীর্ষ ৫০ পত্রিকার প্রকৃত প্রচার সংখ্যা চায় সম্পাদক ফোরাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শীর্ষ ৫০ পত্রিকার প্রকৃত প্রচার সংখ্যা চায় সম্পাদক ফোরাম

প্রচারসংখ্যার শীর্ষে থাকা দেশের ৫০টি পত্রিকার প্রকৃত প্রচার সংখ্যা ঠিক করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সম্পাদক ফোরাম। জবাবে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।

তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ডিএফপির তালিকার ওপরে থাকা ইংরেজি ও বাংলা মিলিয়ে ৫০টি পত্রিকার ক্ষেত্রে একটা দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনার চিন্তায় যারা ভালো পত্রিকা, যারা জেনুইন টপ অর্ডারের পত্রিকা, আমরা আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করি টপে থাকা বাংলা-ইংরেজি পত্রিকাকে যার যার ন্যায্য অবস্থানে তালিকার মধ্যে আনার ব্যবস্থা করেন। টপ অর্ডারের ৫০টি পত্রিকা ঠিক করে দেন। মাথার যে পচন ওই জায়গাটা থেকে রক্ষা পাই। আমাদের ইজ্জত রক্ষা করুন। 

পত্রিকায় বিপজ্জনকভাবে সরকারি বিজ্ঞাপন কমে যাচ্ছে জানিয়ে নাঈমুল ইসলাম বলেন, ই-টেন্ডারিং চালু হওয়ায় তাঁরা এখন আর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়েজবোর্ড মেনে বিজ্ঞাপন বিল দিচ্ছে না। সরকারি বিজ্ঞাপনের সঙ্গে এজেন্সি জড়িয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা ৪০-৬০ শতাংশ কমিশন নেয়। অনেক সময় কাগজে লিখে কমিশন নেয়। আমাদের প্রফেশনে অমর্যাদাকর অবস্থানের চেয়ে চলে যাওয়ার সময় চলে এসেছে হয়তো। নিয়মিত যে বিজ্ঞাপন পাই সেখানেও এখন কমিশন দিতে হয়। এটা আসলে ঘুষ, আমরা বলি কমিশন। সরকারি অফিসে বিজ্ঞাপনের বিল বকেয়া আছে। বিশেষ করে কোর্টে। এসব জায়গায় অতিরিক্ত বরাদ্দ না দিলে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। 

সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক ও দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্য কয়েকজন সম্পাদক তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বৈঠক করেন। 

তাঁদের বক্তব্য শোনার পর হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম ১০০টি পত্রিকার আসল প্রচার সংখ্যার ভিত্তিতে ক্রম করা, আমি মনে করি এটি অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব। আমিও এটা করতে চাই, আপনারা বলাতে আমার সুবিধা হবে। 

মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞাপন যে এভাবে কমেছে আমি জানতাম না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব। বিজ্ঞাপন বিল বাকি থাকার বিষয়টি আমি জানি। কোর্টেও যে বাকি পড়ে আছে আমি জানলাম, দেশের মানুষও একটু জানলে ভালো হবে। কারণ এই বাকি থাকার তো কথা ছিল না। বিজ্ঞাপনের টাকা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রজেক্টের মধ্যে ধরা থাকে। কেন বাকি থাকছে সেটি একটি বিষয়। আমরা চিঠি দিয়ে তাগাদা দিয়েছি। পুনরায় তাগাদা দিতে পারি। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনলে আমার মনে হয় তিনি একটি নির্দেশনা দেবেন। 

ন্যায় ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কাজ করার চেষ্টা করছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন ধরে নীয়মনীতিহীন ভাবে এভাবে এই মাধ্যমটা চলতে পারে না। গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছি। ক্লিনফিড বাস্তবায়নে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখান থেকে এক চুলও সরবো না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত