Ajker Patrika

পানিসংক্রান্ত দুই অপরাধের বিচার হবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২: ২৭
পানিসংক্রান্ত দুই অপরাধের বিচার হবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে

পানিসংক্রান্ত অপরাধের জন্য সরকারি কর্মকর্তাকে তথ্য-উপাত্ত না দিলে বা কাউকে তাঁর সামনে হাজির হতে বাধা দিলে এবং মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সেসবের বিচার করা হবে।

এমন নিয়ম রেখে মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে বাংলাদেশ পানি আইনের ৩০ (২) ও ৩১ ধারা সংযোজন করে গতকাল সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

অর্থাৎ, এখন থেকে বাংলাদেশ পানি আইনের ৩০ (২) ও ৩১ ধারার অপরাধের বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হবে।

বাধা প্রদানের দণ্ডসংক্রান্ত বাংলাদেশ পানি আইনের ৩০ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এ উল্লিখিত দায়িত্ব পালনরত কোনো কর্মকর্তার তলব অনুযায়ী তাঁর সামনে কোনো রেজিস্ট্রার, নথি বা দলিল-দস্তাবেজ উপস্থাপন করতে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকার করলে বা ব্যর্থ হলে অথবা উক্ত রূপ দায়িত্ব পালনরত কোনো কর্মকর্তার সম্মুখে কোনো ব্যক্তিকে হাজির হতে বা তার জবানবন্দি নিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান করলে বা বাধা প্রদানের চেষ্টা করলে, তিনি অনধিক তিন মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ব্যাখ্যা: এই ধারায়, ‘বাধা’ অর্থে হুমকিও অন্তর্ভুক্ত হবে।

আর মিথ্যা তথ্য প্রদানের দণ্ডসংক্রান্ত ৩১ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করেন, তাহলে তিনি অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত