Ajker Patrika

২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েন হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২: ৪৪
২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েন হতে পারে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েন হবে, এটি মোটামুটি আলোচনা হয়েছে। 

লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হোক, সেটা নির্বাচন কমিশন চায়। এটা প্রারম্ভিক আলোচনা। কীভাবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে, কোথায় কোথায় তারা কীভাবে কাজ করবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবে, এর ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিলে অবশ্যই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে। আমি নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি, তাঁরা যেভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চাইবেন, সেভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চায় সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হোক। এ ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই। একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন খুবই সিরিয়াস। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হলে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব, যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে।’ 

তিনি বলেন, অতীতের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়েছে, এবারও রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে ইনশা আল্লাহ সেনা মোতায়েন হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবারও ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে। 

কত দিনের জন্য সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য মোতায়েনের জন্য মোটামুটি আলোচনা হয়েছে। 
 
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা নামছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এত বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৩৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন ছিল। এবারের নির্বাচনে যদি বেশি প্রয়োজন হয়, তাহলে বেশিসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করব। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সেনাসদস্য মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতীতে যেভাবে মোতায়েন হয়েছে, সেভাবেই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী হবে।

সেনাসদস্যরা কীভাবে মোতায়েন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়নি। আমরা প্রারম্ভিক আলোচনা করেছি। রাষ্ট্রপতি সেনা মোতায়েনে সম্মতি দিলে আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব। সেনা মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ 

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কীভাবে সহায়তা করতে পারবেন, সে বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেই প্রাথমিক আলোচনায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে সার্বিক সহায়তার একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুরোধ জানিয়েছে। 

এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বৈঠক বসে। এ ছাড়া বৈঠকে সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত