নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নবনির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসাব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি ঋণী আছেন ৭৫ জন। গত সংসদীয় নির্বাচনে এ ধরনের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। শতাংশের হারে যা ছিল প্রায় ১৪ ভাগ। গতবারের তুলনায় এবার সংসদে ঋণগ্রস্ত সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩২ ভাগ।
আজ মঙ্গলবার সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
গত তিন মেয়াদে প্রতিবারই নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের এমন দশজন সংসদ সদস্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদ বাড়ার তথ্য দিয়েছে সুজন। বিগত ১৫ বছরের সব থেকে বেশি সম্পদ বেড়েছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৩ টাকা, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫ টাকায়। সেই হিসাবে সম্পদ বাড়ার হার ৯৫৯৬ শতাংশ।
জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৫ টাকা যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ২০ লাখ ৮৪৩ টাকায়। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২৩৯ শতাংশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ ছিল। তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২২৪ শতাংশ।
সংসদের আরেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ আসন থেকে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬২৬ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
প্রথমবার অর্থাৎ ২০০৮ সালে যখন নাটোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জুনাইদ আহমেদ পলক, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৩ টাকা। পলক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
নওগাঁ-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৯ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১০ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা।
ঢাকা-২ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কামরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, বর্তমানে তাঁর সম্পদ ৫ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪ টাকা।
২০০৮ সালে নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খানের সম্পদ ছিল ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৫ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৭ টাকা।
দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যখন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদ ছিল ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৮ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৮ টাকা।
সর্বশেষ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালে যখন নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৭ টাকা।
এসব তথ্য তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে সম্পদের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। কেননা, অনেক প্রার্থীই সম্পদের মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।’
এ ছাড়া এবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ২৯৯ জনের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নবনির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসাব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি ঋণী আছেন ৭৫ জন। গত সংসদীয় নির্বাচনে এ ধরনের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। শতাংশের হারে যা ছিল প্রায় ১৪ ভাগ। গতবারের তুলনায় এবার সংসদে ঋণগ্রস্ত সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩২ ভাগ।
আজ মঙ্গলবার সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
গত তিন মেয়াদে প্রতিবারই নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের এমন দশজন সংসদ সদস্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদ বাড়ার তথ্য দিয়েছে সুজন। বিগত ১৫ বছরের সব থেকে বেশি সম্পদ বেড়েছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৩ টাকা, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫ টাকায়। সেই হিসাবে সম্পদ বাড়ার হার ৯৫৯৬ শতাংশ।
জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৫ টাকা যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ২০ লাখ ৮৪৩ টাকায়। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২৩৯ শতাংশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ ছিল। তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২২৪ শতাংশ।
সংসদের আরেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ আসন থেকে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬২৬ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
প্রথমবার অর্থাৎ ২০০৮ সালে যখন নাটোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জুনাইদ আহমেদ পলক, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৩ টাকা। পলক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
নওগাঁ-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৯ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১০ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা।
ঢাকা-২ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কামরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, বর্তমানে তাঁর সম্পদ ৫ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪ টাকা।
২০০৮ সালে নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খানের সম্পদ ছিল ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৫ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৭ টাকা।
দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যখন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদ ছিল ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৮ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৮ টাকা।
সর্বশেষ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালে যখন নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৭ টাকা।
এসব তথ্য তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে সম্পদের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। কেননা, অনেক প্রার্থীই সম্পদের মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।’
এ ছাড়া এবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ২৯৯ জনের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে, তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ম
৩ ঘণ্টা আগে‘আওয়ামী লীগও অন্য যে কোনো দলের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আমরা তাঁদের রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। তবে এর আগে তাদের আচরণ এবং অতীতে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায় মেনে নিতে হবে। একবার তাঁরা আইনি বাধাগুলো কাটিয়ে উঠলে নির্বাচনে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’
৫ ঘণ্টা আগেমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন করতে দিলে এই আইন সম্পর্কে ধারণা ও বাস্তবায়ন বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
৫ ঘণ্টা আগেপুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে ৫৪ জন কর্মকর্তাকে বদলি ও নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ২৩ জন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন। গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন বিদায়ী পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
৭ ঘণ্টা আগে