কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
সাংবাদিকেরাই পশ্চিমাদের উৎসাহ দেন বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমাদের মাতব্বরি তো দেখছেনই। আর আপনারা (সাংবাদিকেরা) তাদের উৎসাহ দেন। পশ্চিমারা প্রতিদিন এক একটি ইস্যু নিয়ে আসে। আমরা তাদের বলতাম উন্নয়ন অংশীদার। এখন উন্নয়নের এক পয়সাও দেয় না। কিন্তু উপদেশ দিয়েই যাচ্ছে। আর উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে, তার জন্য যত ধরনের ফরমাশ রয়েছে সব দিচ্ছে।’
ভারতের নদী সম্মেলন থেকে ফিরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে আজ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে এসব কথা বলেন।
পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্ত দিচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তো গ্রহণযোগ্য নয়। এ জন্য ভারতের সঙ্গে আলাপ করেছি, আঞ্চলিক কিছু সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে। যাতে আমাদের সমস্যা আমরা ব্যবস্থাপনা করতে পারি। এটি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা আঞ্চলিকভাবে কীভাবে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারি।’
আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যখন রাষ্ট্র প্রধানেরা এসেছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। বাংলাদেশ একা উন্নতি করলে হবে না, এটি টেকসই হবে না। এ জন্য সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল গম। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। শুধু সরকারি কেনা নয়, বেসরকারি খাতের কেনা গমও ভারত রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। তবে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ বাদে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে চাইলে সেটি করতে দেবে না ভারত।’
বন্যা নিয়ে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি যে বন্যার আগে বাংলাদেশকে সতর্ক করতে। এমনকি সেখানে সম্মেলনে বক্তৃতায় প্রস্তাব রেখেছি, আমাদের প্রযুক্তি উন্নত। হিমালয়ে কখন পানি বেশি হচ্ছে, কখন অতিবৃষ্টি হচ্ছে, এর ফলে নদীর পানির উচ্চতা কত হবে, এ গুলো আগে তথ্য পেলে, নদীর পানি আগে ব্যবস্থাপনা করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজ করতে ভারত একমত, আলোচনা হবে এ নিয়ে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মানুষে চলাচল নিয়ে বৈঠকের আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের আসামের মানুষেরা যদি বাংলাদেশে আসতে চায়, তাহলে কলকাতা হয়ে আসতে হয়। এ ক্ষেত্রে আসাম বাংলাদেশ মিশন থেকে ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থায় বিষয়ে প্রস্তাব দিলে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজি হয়েছেন।’
তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ে প্রশ্ন করলে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা সকল নদী নিয়ে আলোচনা করেছি। শুধু তিস্তা নয়, সকল অভিন্ন নদী সচল চাই। নদী অববাহিকার সকল মানুষের উন্নয়ন চাই। এ নদী ঘিরে আমরা প্রতিযোগিতা চাই না, সহযোগিতা চাই। আর যৌথভাবে এগুলো করতে হবে।’
চীনের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের অভিযোগ, চীন অভিন্ন নদীতে বাঁধ নির্মাণ করছে। সেই অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেরও। কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ব্রহ্মপুত্র নদের তিন ভাগ অংশ চীনে, ৬ ভাগ ভারতে আর ২৭ ভাগ অংশ বাংলাদেশে। এ নদীতে বাঁধ দিলে আমাদের ৫৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়। অন্যদের অনেক কম হয়। এ অঞ্চলের নদী অববাহিকার মানুষের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে নীতি নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করার কথা বলেছি। এ বিষয়ে ভারত একমত হয়েছে। ভারতের মতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকলে এটি সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ভারত আশিয়ান দেশগুলোকে সম্পৃক্ত করতে চায়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা না পাঠাতে বলা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারি ভাবে এটি স্বীকার করে না।’
সাংবাদিকেরাই পশ্চিমাদের উৎসাহ দেন বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমাদের মাতব্বরি তো দেখছেনই। আর আপনারা (সাংবাদিকেরা) তাদের উৎসাহ দেন। পশ্চিমারা প্রতিদিন এক একটি ইস্যু নিয়ে আসে। আমরা তাদের বলতাম উন্নয়ন অংশীদার। এখন উন্নয়নের এক পয়সাও দেয় না। কিন্তু উপদেশ দিয়েই যাচ্ছে। আর উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে, তার জন্য যত ধরনের ফরমাশ রয়েছে সব দিচ্ছে।’
ভারতের নদী সম্মেলন থেকে ফিরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে আজ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে এসব কথা বলেন।
পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্ত দিচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তো গ্রহণযোগ্য নয়। এ জন্য ভারতের সঙ্গে আলাপ করেছি, আঞ্চলিক কিছু সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে। যাতে আমাদের সমস্যা আমরা ব্যবস্থাপনা করতে পারি। এটি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা আঞ্চলিকভাবে কীভাবে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারি।’
আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যখন রাষ্ট্র প্রধানেরা এসেছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। বাংলাদেশ একা উন্নতি করলে হবে না, এটি টেকসই হবে না। এ জন্য সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল গম। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। শুধু সরকারি কেনা নয়, বেসরকারি খাতের কেনা গমও ভারত রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। তবে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ বাদে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে চাইলে সেটি করতে দেবে না ভারত।’
বন্যা নিয়ে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি যে বন্যার আগে বাংলাদেশকে সতর্ক করতে। এমনকি সেখানে সম্মেলনে বক্তৃতায় প্রস্তাব রেখেছি, আমাদের প্রযুক্তি উন্নত। হিমালয়ে কখন পানি বেশি হচ্ছে, কখন অতিবৃষ্টি হচ্ছে, এর ফলে নদীর পানির উচ্চতা কত হবে, এ গুলো আগে তথ্য পেলে, নদীর পানি আগে ব্যবস্থাপনা করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজ করতে ভারত একমত, আলোচনা হবে এ নিয়ে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মানুষে চলাচল নিয়ে বৈঠকের আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের আসামের মানুষেরা যদি বাংলাদেশে আসতে চায়, তাহলে কলকাতা হয়ে আসতে হয়। এ ক্ষেত্রে আসাম বাংলাদেশ মিশন থেকে ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থায় বিষয়ে প্রস্তাব দিলে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজি হয়েছেন।’
তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ে প্রশ্ন করলে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা সকল নদী নিয়ে আলোচনা করেছি। শুধু তিস্তা নয়, সকল অভিন্ন নদী সচল চাই। নদী অববাহিকার সকল মানুষের উন্নয়ন চাই। এ নদী ঘিরে আমরা প্রতিযোগিতা চাই না, সহযোগিতা চাই। আর যৌথভাবে এগুলো করতে হবে।’
চীনের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের অভিযোগ, চীন অভিন্ন নদীতে বাঁধ নির্মাণ করছে। সেই অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেরও। কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ব্রহ্মপুত্র নদের তিন ভাগ অংশ চীনে, ৬ ভাগ ভারতে আর ২৭ ভাগ অংশ বাংলাদেশে। এ নদীতে বাঁধ দিলে আমাদের ৫৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়। অন্যদের অনেক কম হয়। এ অঞ্চলের নদী অববাহিকার মানুষের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে নীতি নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করার কথা বলেছি। এ বিষয়ে ভারত একমত হয়েছে। ভারতের মতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকলে এটি সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ভারত আশিয়ান দেশগুলোকে সম্পৃক্ত করতে চায়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা না পাঠাতে বলা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারি ভাবে এটি স্বীকার করে না।’
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে বিভক্তি, কার্যকর নেতৃত্বের অভাব ও রাখাইনে নিবর্তনমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে না ওঠা তাঁদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এমনটাই মনে করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ।
১২ মিনিট আগেসরকারি পর্যায়ে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের বরাদ্দ করা বাজেটের খুব কমই পায় দরিদ্ররা। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে ও ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর মানুষ যে নগদ অর্থ পায়, তার পরিমাণ খুবই সামান্য। দেখা গেছে, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের বাজেটের অর্ধেক বা তারও বেশি সুব
৩২ মিনিট আগেবাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মতামত জানতে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার তত্ত্বাবধানে একটি জনমত জরিপ পরিচালিত হয়েছে। টেলিফোনে এই জরিপে অংশ নিয়েছেন দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেগত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে থানায় মামলা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁদের গ্রেপ্তারে আলাদা টিমও গঠন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে