নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জন প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাদ পড়া প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত জানায়। এর আগে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বাদ পড়া প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারির মধ্যে তাঁদের গেজেটভুক্ত করে ১৫ জানুয়ারি যোগদান নিশ্চিত করার দাবি জানান।
গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
এতে আগে প্রকাশ করা গেজেটের ২৬৭ জন প্রার্থী বাদ পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২২৭ জন বাদ পড়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। তাঁরা নিয়োগের দাবিতে গত বুধবার সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একই দাবিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ইতিমধ্যে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই আবেদনের সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত।
এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাক্-চরিত্র যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জনসহ মোট ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির পর বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। এ জন্য সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে ‘ক্লিন ইমেজের’ প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এবং ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে প্রাক্-চরিত্র আবার অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২৭ প্রার্থীর প্রাক্-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি বা অসুপারিশ করা) পাওয়া যায়। এ কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাঁদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে বাদ পড়া প্রার্থীরা বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে সাড়া দিয়ে তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন করবেন। তাঁদের একজন এম এ হান্নান রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাদ পড়া সব প্রার্থী রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দেব। আবেদন নিয়ে নতুন করে ভেরিফিকেশন করা হবে, না কীভাবে সরকার পর্যালোচনা করবে, সে বিষয়ে আমরা ধারণা করতে পারছি না। আবেদন জমা দেওয়ার সময় আমরা এ বিষয়ে কথা বলব। এরপর আমরা আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।’
বাদ পড়া আরেক প্রার্থী মাসুমা আক্তার বলেন, আজ শুক্র এবং আগামীকাল শনিবার তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এম এ হান্নান জানান, তাঁদের কয়েকজন মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তরে আবেদন জমা দিলেও রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি। তাঁরাও রোববার আবেদন জমা দেবেন। সবাই রিসিভ কপি নেবেন।
বাদ পড়া প্রার্থীরা দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ৫ জানুয়ারির মধ্যে তাঁদের গেজেটভুক্ত করে ১৫ জানুয়ারি যোগদান নিশ্চিতের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বাদ পড়া প্রার্থী মো. রায়হান ভুইয়া বলেন, ‘কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, প্রশাসন তা স্পষ্ট করেনি। নানাভাবে সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে জানতে চেয়েও কোনো সাড়া পাইনি। সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে বলে আশা রাখি।’
আরেক প্রার্থী মাসুমা আক্তার বলেন, ‘যোগদানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব প্রস্তুতি নেই। আমাদের অনেকে আগের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পর অনেকে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি একাধিক চাকরির সুযোগ পেয়েও যোগ দেননি।’
৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জন প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাদ পড়া প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত জানায়। এর আগে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বাদ পড়া প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারির মধ্যে তাঁদের গেজেটভুক্ত করে ১৫ জানুয়ারি যোগদান নিশ্চিত করার দাবি জানান।
গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
এতে আগে প্রকাশ করা গেজেটের ২৬৭ জন প্রার্থী বাদ পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২২৭ জন বাদ পড়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। তাঁরা নিয়োগের দাবিতে গত বুধবার সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একই দাবিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ইতিমধ্যে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই আবেদনের সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত।
এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাক্-চরিত্র যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জনসহ মোট ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির পর বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। এ জন্য সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে ‘ক্লিন ইমেজের’ প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এবং ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে প্রাক্-চরিত্র আবার অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২৭ প্রার্থীর প্রাক্-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি বা অসুপারিশ করা) পাওয়া যায়। এ কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাঁদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে বাদ পড়া প্রার্থীরা বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে সাড়া দিয়ে তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন করবেন। তাঁদের একজন এম এ হান্নান রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাদ পড়া সব প্রার্থী রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দেব। আবেদন নিয়ে নতুন করে ভেরিফিকেশন করা হবে, না কীভাবে সরকার পর্যালোচনা করবে, সে বিষয়ে আমরা ধারণা করতে পারছি না। আবেদন জমা দেওয়ার সময় আমরা এ বিষয়ে কথা বলব। এরপর আমরা আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।’
বাদ পড়া আরেক প্রার্থী মাসুমা আক্তার বলেন, আজ শুক্র এবং আগামীকাল শনিবার তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এম এ হান্নান জানান, তাঁদের কয়েকজন মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তরে আবেদন জমা দিলেও রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি। তাঁরাও রোববার আবেদন জমা দেবেন। সবাই রিসিভ কপি নেবেন।
বাদ পড়া প্রার্থীরা দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ৫ জানুয়ারির মধ্যে তাঁদের গেজেটভুক্ত করে ১৫ জানুয়ারি যোগদান নিশ্চিতের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বাদ পড়া প্রার্থী মো. রায়হান ভুইয়া বলেন, ‘কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, প্রশাসন তা স্পষ্ট করেনি। নানাভাবে সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে জানতে চেয়েও কোনো সাড়া পাইনি। সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে বলে আশা রাখি।’
আরেক প্রার্থী মাসুমা আক্তার বলেন, ‘যোগদানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব প্রস্তুতি নেই। আমাদের অনেকে আগের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পর অনেকে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি একাধিক চাকরির সুযোগ পেয়েও যোগ দেননি।’
সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তি ও দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপি ও নেতার দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ এসেছে।
২৪ মিনিট আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৯টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এই বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বাতিল করে। এগুলোর মধ্যে ৪০টি কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। ১০টি কেন্দ্রের জন্য গত ডিসেম্বরে দরপত্র আহ্বান করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু দরপত্রের শর্তের কারণ
২৯ মিনিট আগেতথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম ব্যবহার করে কোনো তদবির করা হলে তা আমলে না নিয়ে তাঁর একান্ত সচিবকে জানাতে বলেছেন তিনি। আজ শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে বিবৃতি দেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন জনগণ কতটা সংস্কার চান তার ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার ব্রিটিশ এমপি রূপা হকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। তবে সেই সঙ্গে দুটি সম্ভাব্য সময়সীমার কথাও বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
৯ ঘণ্টা আগে