অনলাইন ডেস্ক
হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে শায়েস্তা করতে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দিল্লির কাশ্মীরি গেট মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দিল্লির অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনয় নারাং বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে ও আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। তাই কাশ্মীরি গেট মার্কেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরি গেট মার্কেটে ২০ হাজার দোকান আছে। এর মধ্যে ২ হাজার দোকান বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি করত। তবে এই সিদ্ধান্তের পর তাঁরা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ রাখবে।
নারাং বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। গাড়ির যন্ত্রাংশ না পেলে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যাবে। তখন তাঁরা তাদের ভুল বুঝতে পারবে। আমাদের অনেকের টাকা বাংলাদেশে আটকে আছে। তবে আমরা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন নই। প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত আরও দীর্ঘায়িত করা হবে।’
গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু এরপর দুই দেশের মধ্যে চলছে সম্পর্কের টানাপড়েন। এর মধ্যে ব্যবসা ব্যাহত হলেও একেবারে বন্ধ হয়নি।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দিল্লির গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসা সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে যন্ত্রাংশ রপ্তানির সঙ্গে জড়িত কাশ্মীরি গেট ও করোল বাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট মারাত্মক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
ভারতের ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি চেম্বারের (সিটিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার কোটি মূল্যের গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি করে। বাংলাদেশে ভারতীয় ব্র্যান্ডের গাড়ির চাহিদার কারণে এই বাণিজ্য দ্রুত বিকশিত হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বিষ্ণু ভার্গব জানিয়েছেন, এর আগে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতা এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। রপ্তানি করা পণ্যের দাম আটকে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
করোল বাগের অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী অজয় গুপ্ত জানান, কিছু কনসাইনমেন্ট পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে আটকে আছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে এবং তাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।
ব্যবসায়ীরা অন্যান্য শহরের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধানের পথ খুঁজছেন। পরিস্থিতি যদি উন্নত না হয়, তবে তাঁরা বিকল্প উপায় খুঁজবেন। দিল্লির চাঁদনী চকের এমপি প্রভীন খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সৃষ্ট এই সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে হত্যাসহ নানা অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভারত এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই বিষয়টি নয়াদিল্লির জন্য একটি বড় কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি করেছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ যেমনভাবে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ বিভিন্ন শর্তে প্রত্যাখ্যান করেছিল, হাসিনাও তেমনি বলতে পারেন—তিনি তাঁর দেশের সরকারকে বিশ্বাস করেন না এবং তাঁর প্রতি অবিচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাচদেব আরও বলেন, ‘প্রত্যর্পণ চুক্তি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়।’
হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে শায়েস্তা করতে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দিল্লির কাশ্মীরি গেট মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দিল্লির অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনয় নারাং বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে ও আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। তাই কাশ্মীরি গেট মার্কেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরি গেট মার্কেটে ২০ হাজার দোকান আছে। এর মধ্যে ২ হাজার দোকান বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি করত। তবে এই সিদ্ধান্তের পর তাঁরা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ রাখবে।
নারাং বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। গাড়ির যন্ত্রাংশ না পেলে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যাবে। তখন তাঁরা তাদের ভুল বুঝতে পারবে। আমাদের অনেকের টাকা বাংলাদেশে আটকে আছে। তবে আমরা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন নই। প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত আরও দীর্ঘায়িত করা হবে।’
গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু এরপর দুই দেশের মধ্যে চলছে সম্পর্কের টানাপড়েন। এর মধ্যে ব্যবসা ব্যাহত হলেও একেবারে বন্ধ হয়নি।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দিল্লির গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসা সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে যন্ত্রাংশ রপ্তানির সঙ্গে জড়িত কাশ্মীরি গেট ও করোল বাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট মারাত্মক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
ভারতের ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি চেম্বারের (সিটিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার কোটি মূল্যের গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি করে। বাংলাদেশে ভারতীয় ব্র্যান্ডের গাড়ির চাহিদার কারণে এই বাণিজ্য দ্রুত বিকশিত হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বিষ্ণু ভার্গব জানিয়েছেন, এর আগে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতা এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। রপ্তানি করা পণ্যের দাম আটকে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
করোল বাগের অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী অজয় গুপ্ত জানান, কিছু কনসাইনমেন্ট পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে আটকে আছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে এবং তাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।
ব্যবসায়ীরা অন্যান্য শহরের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধানের পথ খুঁজছেন। পরিস্থিতি যদি উন্নত না হয়, তবে তাঁরা বিকল্প উপায় খুঁজবেন। দিল্লির চাঁদনী চকের এমপি প্রভীন খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সৃষ্ট এই সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে হত্যাসহ নানা অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভারত এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই বিষয়টি নয়াদিল্লির জন্য একটি বড় কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি করেছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ যেমনভাবে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ বিভিন্ন শর্তে প্রত্যাখ্যান করেছিল, হাসিনাও তেমনি বলতে পারেন—তিনি তাঁর দেশের সরকারকে বিশ্বাস করেন না এবং তাঁর প্রতি অবিচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাচদেব আরও বলেন, ‘প্রত্যর্পণ চুক্তি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চার মাসের মধ্যেই সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোই দায়ী। এটি জাতির জন্য ব্যর্থতা ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের জন্য অপমানজনক।
৬ মিনিট আগেসচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বৈঠকে বসেছে। আজ শুক্রবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে এই বৈঠক শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেআজ শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। এ সংলাপের স্লোগান ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন।’
২ ঘণ্টা আগেঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে