Ajker Patrika

দেশে আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল, থাকছেন ডোনাল্ড লু

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩: ৩৭
দেশে আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল, থাকছেন ডোনাল্ড লু

নিরপেক্ষ, অংশীদারত্বমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দেওয়ায় শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে তাঁর দেশত্যাগের পর দায়িত্বে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়গুলো কী করে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেসব বিষয়ে আলাপ করতে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ প্রতিনিধিদলটির ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি এবারকার সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কী করে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে কথা বলবে। 

ঢাকার কূটনীতিকেরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ও সহযোগিতার গতিপ্রকৃতি কী হবে, মূলত সে বিষয়গুলোই আলোচনায় আসতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ফোর্ড ও পররাষ্ট্র বিভাগের দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু প্রতিনিধিদলে থাকছেন। 

আগামী ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁরা ঢাকায় পৌঁছাবেন। এর বাইরে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা বিভাগ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার কর্মকর্তারাও প্রতিনিধিদলে থাকছেন। 

মার্কিন প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় মূলত অর্থ, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলটির সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এর বাইরে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। 

সরকারি সূত্রগুলো বলছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় দেশের আর্থিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ঝুঁকিতে। এমন অবস্থা কাটিয়ে উঠতে যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ দেশটির প্রভাব আছে এমন সংস্থাগুলো থেকে কী সহযোগিতা মিলতে পারে, তা নিয়ে কথা হবে। 

কূটনীতিকেরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার প্রস্তাব দিতে পারে। 

ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ২৬ আগস্ট ফোনালাপে বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। 

কূটনীতিকেরা মনে করছেন, ভারতের উদ্বেগ এবং চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়গুলোও মার্কিন প্রতিনিধিদল আলোচনায় তুলতে পারে। এমন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের বিবেচনায় নিজের অবস্থান ঠিক করবে। 

মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘনের দায়ে র‍্যাবের ওপর ২০২১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে, তা প্রত্যাহারের জন্য আবারও অনুরোধ করতে পারে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত