বর্তমান মন্ত্রিসভায় যত রদবদল

শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১২
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৪

নিজের মন্ত্রিসভায় ৪৬ জন সদস্য নিয়ে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করার পরেও এখন তাঁর মন্ত্রিসভায় সদস্যসংখ্যা ৪৭। ছয় দফা পরিবর্তনের পর বর্তমান অবস্থানে এসেছে এই মন্ত্রিসভা।

২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রীকে নিয়ে মন্ত্রিসভা সাজান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের ১৯ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে মুরাদকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ওই দিন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে শুধু স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারকে শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

২০১৯ সালের ১১ জুলাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই দিন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শ ম রেজাউল করিমকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এবং সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে বদলি করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

২০২০ সালের ১৩ জুন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ মারা যান। এরপর ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর ফরিদুল হক খানকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।

সবশেষ গত ১৫ জুলাই শামসুল আলমকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন শেখ হাসিনা।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান মঙ্গলবার পদত্যাগ করায় বর্তমান সরকারে এখন ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।

সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিজের ইচ্ছেমতো মন্ত্রিসভা গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে ১০ ভাগের এক ভাগ সংসদ সদস্য নন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া যায়। তবে এমপিদের বাইরে  মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হিসেবে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাঁদের অবশ্যই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হতে হবে।

সোহেল তাজশেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় যত পদত্যাগ

টানা এক যুগ ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় প্রথম পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছিল সরকার গঠনের বছরই, ২০০৯ সালে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তানজীম আহমদ সোহেল তাজ।

ব্যক্তিগত সহকারী বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ধরা পড়ার জেরে ২০১১ সালে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন রেলপথমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করেননি। সুরঞ্জিতকে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।

হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর সমালোচনায় মুখে ২০১৫ সালে পদত্যাগ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি দলীয় পদও হারান তিনি। সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। সবশেষে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেছেন মুরাদ হাসান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত