বরখাস্ত ডিআইজি পার্থের জামিন: বিচারকের ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২১, ২০: ৫২

ঢাকা: ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের জামিনের বিষয়ে বিচারিক আদালতের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই ব্যাখ্যা চান।

পার্থের জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আপিলের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এই ব্যাখ্যা চান আদালত। আগামী সাত দিনের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনকে এই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গত রোববার দুদক জামিন বাতিল চেয়ে আপিল করে। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঘুষ গ্রহণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার আইনের মামলায় পার্থ গোপাল বণিককে গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন জামিন দেন। ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি শেষে জামিন দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। কারণ ইতিপূর্বে উচ্চ আদালত পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেননি। যেদিন পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেওয়া হয়, পরদিনই তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন। এরপর গত ২৩ জানুয়ারি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পার্থ গোপাল বণিকের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।

গত বছর ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন পার্থর মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার ঘোষিত আয়কর ফাইলে এ টাকার ঘোষণা নেই। এই টাকা অবৈধ আয় থেকে অর্জিত।

ডিআইজি পার্থ মামলার শুনানিতে দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকা তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা সারা জীবনের জমানো অর্থ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত