‘কিশোরীকে বিয়ে করায় এত আগ্রহ কেন পুরুষদের?’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

পুরুষদের সচেতন করা এবং তাদের সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে পারলেই বাল্যবিবাহ কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। সেই সঙ্গে প্রবাসী পুরুষদের কিশোরীকে বিয়ে করার প্রবণতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

আজ সোমবার বিশ্ব কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন মেহের আফরোজ চুমকি। এ সময় বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরী ও কিশোরদের ওপর বাড়তি নজর রাখার পরামর্শ দেন তিনি। রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কিশোরী-কিশোরদের আত্ম-উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবেশের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

মেহের আফরোজ বলেন, এখন ভিন্নভাবে চিন্তার সময় এসেছে। কত শতাংশ পুরুষ কিশোরী বিয়ে করছেন এবার তাঁদের পরিচয় তুলে ধরুন। অনেকেই বিদেশ থেকে ফিরে কোন বাসায় অল্পবয়সী সুন্দরী কিশোরী রয়েছে তা খুঁজে বিয়ে করছেন। অনেকে বিয়ে করে কাবিন করেন না। যারা কিশোরীদের বিয়ে করছেন তাঁদের অপমান ও অসম্মান করুন। তাঁরা যে ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে তা তুলে ধরেন। 

ওইসব পুরুষকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে পারলে বাল্যবিয়ে কমে যাবে মন্তব্য করে মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, কিশোরীদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে পুরুষদের এত উৎসাহ কেন? 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহের আফরোজ আরও বলেন, বাল্যবিয়ে অর্থাৎ কিশোরীদের (১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী) বিয়ে বন্ধ করতে হলে তাদের জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আর্থিক বা অন্য কোনো পুরস্কার তথা প্রণোদনার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। যাতে করে কিশোরীরা আত্মউন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে এবং পরিবারগুলোও যেন আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে কিশোরী মেয়েকে বিয়ে না দেয়। 

সমাজে বাল্যবিয়ের প্রবণতা আমাদের কিশোরীদের চলার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িত পুরুষদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস। করোনার সময়ে বাল্যবিবাহের দিকে কম নজর পড়ায় হুট এর হার বেড়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

রাম চন্দ্র বলেন, কন্যাশিশুদের অগ্রগতিতে এখন বড় ধরনের অন্তরায় হিসেবে রয়েছে বাল্যবিবাহ। কন্যাশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম, এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

সভায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ (ডিএসইপি)-এর উদ্বোধন করা হয়। এই প্রজেক্ট সম্পর্কে ইউবিএলের সিইও অ্যান্ড এমডি জাভেদ আখতার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অংশীদার হিসেবে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ডগুলো সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখছে। এরই অংশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ডাভ-এর সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত