অনলাইন ডেস্ক
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর চাপে বা নির্বাহী বিভাগের খেয়ালখুশিমতো বিচারকদের অপসারণ করা যাবে না। শুধু গুরুতর অসদাচরণের কারণেই তাঁদের অপসারণ করা যাবে। অন্যদিকে ‘উপযুক্ত কাঠামোর মধ্যে’ বিচারকদের জবাবদিহির আওতায়ও রাখতে হবে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গুরুতর অসদাচরণ’ বলতে এমন অসদাচরণকে বোঝাবে, যার ফলে একজন বিচারক তাঁর পদে থাকার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
প্রতিবেদনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের জবাবদিহিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর পরবর্তী কর্মে প্রবীণ দুজন বিচারকের সমন্বয়ে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠিত হবে। তবে কাউন্সিলের অন্য কোনো বিচারক-সদস্যই যদি তদন্তের বিষয়বস্তু হন, তাহলে রাষ্ট্রপতি অবসরপ্রাপ্ত কোনো প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে এটি গঠন করবেন।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং যথাযথ কার্যপদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে কয়েকটি বিষয় বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এগুলো হচ্ছে:
(ক) সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকদের পালনীয় আচরণবিধি প্রকাশ করবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর তা পর্যালোচনা ও প্রয়োজন মনে করলে হালনাগাদ করবে। অনুরূপভাবে সাবেক বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ক্ষেত্রে অনুসৃত পদ্ধতি ছাড়া অপসারণযোগ্য নন এমন পদে আসীন ব্যক্তিদের জন্য পালনীয় আলাদা আচরণবিধিও প্রণয়ন এবং প্রকাশ করবে কাউন্সিল।
(খ) কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করার বিষয়ে কাউন্সিল রাষ্ট্রপতি তথা নির্বাহী বিভাগের নির্দেশের পরিবর্তে নিজ সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগে কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে এবং রাষ্ট্রপতিকে সে বিষয়ে অবহিত করবে। তবে রাষ্ট্রপতি যদি এমন তথ্য পান, যার ভিত্তিতে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার বলে তাঁর মনে হয়, তাহলে তিনি কাউন্সিলকে তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারবেন। তদন্তের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল নিজস্ব কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে বিধি প্রণয়ন করবে এবং পরওয়ানা জারি ও নির্বাহের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের অনুরূপ কাউন্সিলের একই ক্ষমতা থাকবে।
(গ) সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিচারকদের বিচারিক দক্ষতা, আদালত ব্যবস্থাপনা, মামলা ব্যবস্থাপনা, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আচরণসহ তাঁদের সার্বিক আচরণ পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য একটি চলমান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। এর অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে সময়ে সময়ে মতবিনিময় করবে কাউন্সিল।
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর চাপে বা নির্বাহী বিভাগের খেয়ালখুশিমতো বিচারকদের অপসারণ করা যাবে না। শুধু গুরুতর অসদাচরণের কারণেই তাঁদের অপসারণ করা যাবে। অন্যদিকে ‘উপযুক্ত কাঠামোর মধ্যে’ বিচারকদের জবাবদিহির আওতায়ও রাখতে হবে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গুরুতর অসদাচরণ’ বলতে এমন অসদাচরণকে বোঝাবে, যার ফলে একজন বিচারক তাঁর পদে থাকার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
প্রতিবেদনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের জবাবদিহিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর পরবর্তী কর্মে প্রবীণ দুজন বিচারকের সমন্বয়ে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠিত হবে। তবে কাউন্সিলের অন্য কোনো বিচারক-সদস্যই যদি তদন্তের বিষয়বস্তু হন, তাহলে রাষ্ট্রপতি অবসরপ্রাপ্ত কোনো প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে এটি গঠন করবেন।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং যথাযথ কার্যপদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে কয়েকটি বিষয় বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এগুলো হচ্ছে:
(ক) সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকদের পালনীয় আচরণবিধি প্রকাশ করবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর তা পর্যালোচনা ও প্রয়োজন মনে করলে হালনাগাদ করবে। অনুরূপভাবে সাবেক বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ক্ষেত্রে অনুসৃত পদ্ধতি ছাড়া অপসারণযোগ্য নন এমন পদে আসীন ব্যক্তিদের জন্য পালনীয় আলাদা আচরণবিধিও প্রণয়ন এবং প্রকাশ করবে কাউন্সিল।
(খ) কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করার বিষয়ে কাউন্সিল রাষ্ট্রপতি তথা নির্বাহী বিভাগের নির্দেশের পরিবর্তে নিজ সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগে কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে এবং রাষ্ট্রপতিকে সে বিষয়ে অবহিত করবে। তবে রাষ্ট্রপতি যদি এমন তথ্য পান, যার ভিত্তিতে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার বলে তাঁর মনে হয়, তাহলে তিনি কাউন্সিলকে তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারবেন। তদন্তের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল নিজস্ব কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে বিধি প্রণয়ন করবে এবং পরওয়ানা জারি ও নির্বাহের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের অনুরূপ কাউন্সিলের একই ক্ষমতা থাকবে।
(গ) সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিচারকদের বিচারিক দক্ষতা, আদালত ব্যবস্থাপনা, মামলা ব্যবস্থাপনা, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আচরণসহ তাঁদের সার্বিক আচরণ পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য একটি চলমান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। এর অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে সময়ে সময়ে মতবিনিময় করবে কাউন্সিল।
আশুলিয়া ও রাজধানীর চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে খসড়া প্রতিবেদন পেয়েছি। সম্প্রতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা গণহত্যার মামলার খসড়া প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হাতে পাবো। আর হাতে পাওয়া মাত্রই তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে...
৪১ মিনিট আগেভারতকে আত্মসমালোচনা করতে হবে। কী ভুল হয়েছে, এটি তাদের বুঝতে হবে। ভারতীয় সরকার ক্ষমতাচ্যুত (হাসিনা) সরকারকে অস্বাভাবিক নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছে এবং অনেক বাংলাদেশি ভারতকেই স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য দায়ী করে। ভারত যদি সম্পর্ক পুনঃস্থাপন বা ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়, তবে
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের মতো কিছুই হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান।
৪ ঘণ্টা আগে