Ajker Patrika

নতুন প্রজন্ম পোলট্রি–ভাতে বাঙালি, ওদের মাছ খাওয়াতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ১৮
ফিশারিজ অন্ট্রাপ্রেনার সামিটে প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফিশারিজ অন্ট্রাপ্রেনার সামিটে প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: আজকের পত্রিকা

তরুণ প্রজন্মকে পোলট্রি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে মাছ খেতে অভ্যস্ত করে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মাছে ভাতে বাঙালি বলি। কিন্তু আমাদের তরুণ প্রজন্ম কি মাছে ভাতে বাঙালি। ওরা কিন্তু পোলট্রি ভাতে বাঙালি হয়ে যায়। অনেক সময় ডিম আর মাংস ছাড়া খেতে চায় না। নতুন প্রজন্মকে মাছ খাওয়াতে হবে।’

আজ শনিবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ফিশারিজ অন্ট্রাপ্রেনার সামিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সামিটের আয়োজন করে বিজম্যান মিডিয়া লিমিটেড ও বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর। এতে মৎস্য উদ্যোক্তা, গবেষক, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারকেরা অংশ নেন।

শিশুদের ছোট মাছ খাওয়ানোর তাগিদ দিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাচ্চাদের ছোট মাছ খাওয়া শেখাতে হবে। মাছের একটা অপরাধ হচ্ছে, তাদের কাঁটা আছে! কাঁটার জন্য খাবে না, এটা তো হবে না। কাঁটাসহ মাছ খাওয়া শেখাতে হবে। মাছকে জনপ্রিয় করে তুলবার জন্য কাজ করতে হবে।’

মাছের স্বাদের ভিন্নতার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘মাছ পানির ধর্ম মেনে চলে। মাছের চরিত্র বুঝতে হবে। আমাদের পুকুরের মাছ, নদীর মাছ, হাওরের মাছের স্বাদ একেক রকম। আল্লাহ আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অংশ দিয়েছে, সেটা হলো জিহ্বা। সেটা বলে দেয়, কোন মাছটি কেমন স্বাদ।’

মৎস্যকে শিল্প বানালে মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে মন্তব্য করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘তরুণেরা মৎস্য খাতে কাজ করার জন্য যে আগ্রহ দেখাচ্ছে, এটা অত্যন্ত উৎসাহের বিষয়। মৎস্যকে শিল্প বানালে এর মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে দেখি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফুড প্রোডাকশনের যে ক্ষতিকারক দিক রয়েছে, সেটা অনেক ভাবে প্রভাবিত করবে। আপনারা শিল্প না লিখে অন্ট্রাপ্রেনার লিখেছেন, খুশি হয়েছি। কারণ অন্ট্রাপ্রেনার অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ করে।’

পানি দূষণ ও জলাশয় ভরাটের কারণে মাছ উৎপাদন ঝুঁকিতে রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্যময় মাছ আছে। এর সঙ্গে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ আছে। তবে দুঃখের বিষয় আমাদের নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে। কৃষিতে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে গেছে। আমাদের জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে মাছ টিকবে না। সমস্যাগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন যেন আমরা করতে পারি।’

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন—মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসাইন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী, বিজম্যান মিডিয়া লিমিটেডের প্রধান উপদেষ্টা মো. আবু বকর সিদ্দিক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত