কৃষি গবেষণায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২১, ২১: ২০

ঢাকা: আসছে বাজেটে কৃষি খাতে গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কৃষি গবেষকেরা। তাদের যুক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশের কৃষির ওপর বড় রকম প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এ বছর দীর্ঘ সময় ধরে সারা দেশে যে তীব্র তাপ দাহ চলেছে তা আমাদের কৃষির জন্য সতর্ক বার্তা। কৃষি বিপ্লব ঘটাতে জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাবকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তারা। কৃষি বাজেট ২০২১–২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংলাপে কৃষি গবেষকেরা এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল টিচার্স সোসাইটি আয়োজিত সংলাপে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ শরমিন্দ নিলোর্মী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কথা বলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত দুই বছর ধারাবাহিকভাবে বোরো ধান উৎপাদনে যে রেকর্ড হয়েছে তার পেছনে কাজ করেছে উন্নত মানের বীজ আর আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার। গেল বছর আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বরাদ্দ ছিলো ২২৫ কোটি টাকা। মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, কৃষি হবে দুর্বার–এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার কাজ করছে। আগামীতে এই বিপ্লব ধরে রাখতে হলে সময়োপযোগী নতুন নতুন কৃষিজাত উদ্ভাবন করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমেই তা সম্ভব। দেশেই কৃষির উন্নত জাত ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের কৌশল রপ্ত করতে হবে।

সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক জানান, ৬০ এর দশক থেকে বাংলাদেশের কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়। এখন আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। কৃষিকে এখন লাভজনকে পরিণত করতে হবে। এ জন্য কৃষি গবেষণা বাড়ানোর বিকল্প নেই। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে ব্যাপকসংখ্যক কৃষি উদ্যোক্তাও তৈরি করতে হবে। উৎপাদন খরচ কমানো গেলে বাণিজ্যিকভাবে কৃষিকে লাভজনকে পরিণত করা সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কৃষি গবেষক সদরুল আমিনও মনে করেন শ্রম শক্তি দিয়ে কৃষিকে লাভজনক করা যাবে না। দরকার আধুনিক বীজ আবিষ্কার ও যন্ত্রপাতির অধিক ব্যবহার।

প্রাইম ব্যাংকের কৃষি সহায়তা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আসাদ বিন রশিদ বলেন, বিশ্বজুড়ে কৃষিবিমা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অথচ বাংলাদেশে শস্য বিমা চালুর দাবি উপেক্ষিত। দেশে কৃষি বিমা না থাকায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকদের বাঁচানো না গেল কৃষি লাভজনকের বিষয়টি কাগজে–কলমেই থেকে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে হলে কৃষকদেরকে সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ দিতে হবে। বীজের মূল্য কৃষকদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত