মোতাসেম এ দালৌল
গাজার সবচেয়ে সুপরিচিত ফুটবল স্টেডিয়ামটি এখন বিশৃঙ্খলায় ভরা। মাঠ ও বসার জায়গায় বাস্তুচ্যুত লোকের বন্যা। সবার পিঠে ব্যাগ আর কিছু কাপড়। কেউ অসুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করছেন বা আহত আত্মীয়দের নিয়ে চলেছেন। আবার কেউ কেউ একা হাঁটছেন, খালি পায়েই হেঁটে চলেছেন।
ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে আসা একজন বৃদ্ধ বললেন, ‘ইসরায়েলের বিমান হামলায় আমাদের নিহত শিশুদেরমৃতদেহ আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচে অথবা রাস্তায় ফেলে রেখেছি।’
আজ আর মানুষ সিটে বসে ফুটবল খেলা উপভোগ করতে আসে না। আসে না সার্কাস দেখতে। তারা শুধু ইসরায়েলের টানা বোমা হামলা থেকে পালিয়ে এসে বিশ্রামের জন্য একটি খালি জায়গা খোঁজে। স্টেডিয়াম বাস্তুচ্যুত ওই ব্যক্তিদের জন্য একটি ছাউনি।
‘আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ, আমরা নিরাপদ আছি’, বলেছিলেন ৭২ বছর বয়সী হাসান আবু ওয়ার্দেহ। তিনি তাঁর অসুস্থ স্ত্রী, ১৩ সন্তান ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। ‘আমাদের এলাকায় তৃতীয় ইসরায়েলি স্থল অভিযান শুরু করার পর, আমরা আমাদের বাড়িতে ২৫ দিন ছিলাম’—কথাগুলো তিনি আমাকে বলছিলেন। আরও বললেন, ‘ওই দিনগুলো আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন ছিল।’
এটি শুরু হয়েছিল ৬ অক্টোবর, যখন ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী জাবালিয়া আক্রমণ করে। তারা শরণার্থীশিবিরগুলোর দিকে মনোনিবেশ করে। তারপর আক্রমণটি পূর্বে বেইত হানুন এবং পশ্চিমে বেইত লাহিয়াসহ উত্তর গাজার অন্য শহরগুলোতে চালাতে থাকে।
আবু ওয়ার্দেহ সেসব দিনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন এভাবে, ‘তাদের আগ্রাসনের শুরু থেকেই ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বাড়িঘর ও শরণার্থীদের আশ্রয়স্থলকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য স্পষ্টত চাপ দিতে থাকে। তবে, বেশির ভাগ লোক জেদ ধরেছিলেন এবং তাঁদের বাড়িতেই
থেকে গিয়েছিলেন। আমরা জানি, আমাদের ভূমি থেকে জোর করে তাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরায়েলিদের।’
দিনের পর দিন ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একইভাবে বাড়িঘর ও শরণার্থীশিবির লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হতাহত করেছে। বোমা হামলার তীব্রতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে উত্তরের সব উদ্ধারকারী দলকে (যার মধ্যে সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স দলও আছে) তাদের পরিষেবা স্থগিত করতে হয়েছিল।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করার জন্য তাঁদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। আর ইসরায়েলিরা এটা করে উত্তর গাজার তিনটি বড় হাসপাতালকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। যাতে কারও কোনো চিকিৎসা সহায়তা ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কিছুর প্রয়োজন হলে গাজার দক্ষিণে যেতে হয়।
আবু ওয়ার্দেহর মতে, উত্তর গাজায় বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তারা সন্তুষ্ট নয়। দখলদার বাহিনী স্থানীয় জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার জন্য রাস্তায় ব্যারেল বোমাও ব্যবহার করেছে। দখলদার বাহিনীর চরম নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা দেখে আবু ওয়ার্দেহ তাঁর অসুস্থ স্ত্রী, সন্তান ও নাতি-নাতনিদের বাড়ি ছেড়ে গাজা শহরে চলে যেতে বলেন। তাঁর ভাইও পাশেই থাকতেন। সেই ভাই নিজের পরিবারের ১৯ সদস্যকে নিয়ে উত্তরে বেইত লাহিয়াতে চলে যান। তিনি বলছিলেন, ‘আমি আমার দুই সন্তান ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলাম। ঘরগুলো খালি করার পাঁচ ঘণ্টা পরে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সেগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। এটা একটা অলৌকিক ঘটনা যে আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম।’
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাঁকে ও তাঁর সন্তানদের বের করতে স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিবেশীদের আরও পাঁচ ঘণ্টা লেগেছিল। তাঁর বর্ণনায়, ‘আমার নাতির হালকা আঘাত লেগেছিল। আমি খুশি ছিলাম যে আমরা বেঁচে আছি। কিন্তু পরে শুনে খুব খারাপ লাগল যে আমাদের আশপাশের সাতটি বাড়িতে একই সময়ে বোমা হামলা হয়েছে এবং আমাদের ২৭ জন প্রতিবেশী নিহত হয়েছে। মাত্র সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; বাকিরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে।’
এভাবেই ইসরায়েলি দখলদার শাসকেরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বাস্তুচ্যুতিকে চিরস্থায়ী উচ্ছেদে পরিণত করতে বাধ্য করছে। এ জন্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, পাশাপাশি আহত বা অপহরণ করাও চলছে। হাসপাতাল ধ্বংস করা হয়েছে। চিকিৎসাকর্মীদের হত্যা বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ করা হয়েছে। একই সময়ে ইসরায়েলি শাসকেরা সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজা শহর থেকে উত্তর গাজাকে আলাদা করার জন্য বিশাল বালুর বাধা তৈরি করছে তারা।
আবু ওয়ার্দেহর মা-বাবাকে ১৯৪৮ সালে নাকবার সময় আল-মাজাদাল থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আজ ৭৬ বছর পরে তিনি এখনো ভয় পান যে তাঁকে আবার একটি নতুন নাকবার মুখোমুখি
হতে হচ্ছে বলে। স্থানীয় লোকজনের বাড়ি বাড়ি লিফলেট ফেলে তাঁদের অবশ্যই বাড়ি ছেড়ে যেতে বলছে ইসরায়েলি শাসকেরা। কারণ, তারা একটি ‘অভিযান এলাকা’র মাঝখানে রয়েছে।
এরপর দখলদার বাহিনী তাঁদের বাড়িঘর ধ্বংস করে এবং তাঁদের জন্য তৈরি শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রও ধ্বংস করে। চলমান আগ্রাসনের সময়, ইসরায়েলি বাহিনী শুধু উত্তর গাজাতেই ২ হাজার ২০০-র বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। আরও ৬ হাজার ৩০০ জন আহত হয়েছে। ১ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। আটক না, মূলত অপহরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে শিশুরাও আছে।
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মুখপাত্ররা বেশ কয়েকবার ঘোষণা করেছে যে তারা উত্তর গাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের তাঁদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেবে না। ইসরায়েলি দৈনিক পত্রিকা হারেৎজের মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সামরিক সহযোগীদের একজনের ‘জেনারেলস প্ল্যান’-এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলি সরকার জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। ধর্মান্ধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি গড়ে তোলার জন্য অপেক্ষা করছেন।
আবু ওয়ার্দেহ বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি যে আমরা কখনোই জাবালিয়ায় ফিরে যাব না। অথচ আমি এখনো জাবালিয়ায় নয়, আল-মাজদালে ফিরে যাওয়ার আশা করছি।’ তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের অধিকারের আশা করাটা সম্পূর্ণরূপে বৈধ। যদিও এটি ঘটা এখনো বহু দূরের বিষয় বলে মনে হচ্ছে।
(মিডল ইস্ট মনিটরে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
গাজার সবচেয়ে সুপরিচিত ফুটবল স্টেডিয়ামটি এখন বিশৃঙ্খলায় ভরা। মাঠ ও বসার জায়গায় বাস্তুচ্যুত লোকের বন্যা। সবার পিঠে ব্যাগ আর কিছু কাপড়। কেউ অসুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করছেন বা আহত আত্মীয়দের নিয়ে চলেছেন। আবার কেউ কেউ একা হাঁটছেন, খালি পায়েই হেঁটে চলেছেন।
ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে আসা একজন বৃদ্ধ বললেন, ‘ইসরায়েলের বিমান হামলায় আমাদের নিহত শিশুদেরমৃতদেহ আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচে অথবা রাস্তায় ফেলে রেখেছি।’
আজ আর মানুষ সিটে বসে ফুটবল খেলা উপভোগ করতে আসে না। আসে না সার্কাস দেখতে। তারা শুধু ইসরায়েলের টানা বোমা হামলা থেকে পালিয়ে এসে বিশ্রামের জন্য একটি খালি জায়গা খোঁজে। স্টেডিয়াম বাস্তুচ্যুত ওই ব্যক্তিদের জন্য একটি ছাউনি।
‘আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ, আমরা নিরাপদ আছি’, বলেছিলেন ৭২ বছর বয়সী হাসান আবু ওয়ার্দেহ। তিনি তাঁর অসুস্থ স্ত্রী, ১৩ সন্তান ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। ‘আমাদের এলাকায় তৃতীয় ইসরায়েলি স্থল অভিযান শুরু করার পর, আমরা আমাদের বাড়িতে ২৫ দিন ছিলাম’—কথাগুলো তিনি আমাকে বলছিলেন। আরও বললেন, ‘ওই দিনগুলো আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন ছিল।’
এটি শুরু হয়েছিল ৬ অক্টোবর, যখন ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী জাবালিয়া আক্রমণ করে। তারা শরণার্থীশিবিরগুলোর দিকে মনোনিবেশ করে। তারপর আক্রমণটি পূর্বে বেইত হানুন এবং পশ্চিমে বেইত লাহিয়াসহ উত্তর গাজার অন্য শহরগুলোতে চালাতে থাকে।
আবু ওয়ার্দেহ সেসব দিনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন এভাবে, ‘তাদের আগ্রাসনের শুরু থেকেই ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বাড়িঘর ও শরণার্থীদের আশ্রয়স্থলকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য স্পষ্টত চাপ দিতে থাকে। তবে, বেশির ভাগ লোক জেদ ধরেছিলেন এবং তাঁদের বাড়িতেই
থেকে গিয়েছিলেন। আমরা জানি, আমাদের ভূমি থেকে জোর করে তাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরায়েলিদের।’
দিনের পর দিন ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একইভাবে বাড়িঘর ও শরণার্থীশিবির লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হতাহত করেছে। বোমা হামলার তীব্রতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে উত্তরের সব উদ্ধারকারী দলকে (যার মধ্যে সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স দলও আছে) তাদের পরিষেবা স্থগিত করতে হয়েছিল।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করার জন্য তাঁদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। আর ইসরায়েলিরা এটা করে উত্তর গাজার তিনটি বড় হাসপাতালকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। যাতে কারও কোনো চিকিৎসা সহায়তা ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কিছুর প্রয়োজন হলে গাজার দক্ষিণে যেতে হয়।
আবু ওয়ার্দেহর মতে, উত্তর গাজায় বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তারা সন্তুষ্ট নয়। দখলদার বাহিনী স্থানীয় জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার জন্য রাস্তায় ব্যারেল বোমাও ব্যবহার করেছে। দখলদার বাহিনীর চরম নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা দেখে আবু ওয়ার্দেহ তাঁর অসুস্থ স্ত্রী, সন্তান ও নাতি-নাতনিদের বাড়ি ছেড়ে গাজা শহরে চলে যেতে বলেন। তাঁর ভাইও পাশেই থাকতেন। সেই ভাই নিজের পরিবারের ১৯ সদস্যকে নিয়ে উত্তরে বেইত লাহিয়াতে চলে যান। তিনি বলছিলেন, ‘আমি আমার দুই সন্তান ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলাম। ঘরগুলো খালি করার পাঁচ ঘণ্টা পরে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সেগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। এটা একটা অলৌকিক ঘটনা যে আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম।’
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাঁকে ও তাঁর সন্তানদের বের করতে স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিবেশীদের আরও পাঁচ ঘণ্টা লেগেছিল। তাঁর বর্ণনায়, ‘আমার নাতির হালকা আঘাত লেগেছিল। আমি খুশি ছিলাম যে আমরা বেঁচে আছি। কিন্তু পরে শুনে খুব খারাপ লাগল যে আমাদের আশপাশের সাতটি বাড়িতে একই সময়ে বোমা হামলা হয়েছে এবং আমাদের ২৭ জন প্রতিবেশী নিহত হয়েছে। মাত্র সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; বাকিরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে।’
এভাবেই ইসরায়েলি দখলদার শাসকেরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বাস্তুচ্যুতিকে চিরস্থায়ী উচ্ছেদে পরিণত করতে বাধ্য করছে। এ জন্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, পাশাপাশি আহত বা অপহরণ করাও চলছে। হাসপাতাল ধ্বংস করা হয়েছে। চিকিৎসাকর্মীদের হত্যা বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ করা হয়েছে। একই সময়ে ইসরায়েলি শাসকেরা সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজা শহর থেকে উত্তর গাজাকে আলাদা করার জন্য বিশাল বালুর বাধা তৈরি করছে তারা।
আবু ওয়ার্দেহর মা-বাবাকে ১৯৪৮ সালে নাকবার সময় আল-মাজাদাল থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আজ ৭৬ বছর পরে তিনি এখনো ভয় পান যে তাঁকে আবার একটি নতুন নাকবার মুখোমুখি
হতে হচ্ছে বলে। স্থানীয় লোকজনের বাড়ি বাড়ি লিফলেট ফেলে তাঁদের অবশ্যই বাড়ি ছেড়ে যেতে বলছে ইসরায়েলি শাসকেরা। কারণ, তারা একটি ‘অভিযান এলাকা’র মাঝখানে রয়েছে।
এরপর দখলদার বাহিনী তাঁদের বাড়িঘর ধ্বংস করে এবং তাঁদের জন্য তৈরি শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রও ধ্বংস করে। চলমান আগ্রাসনের সময়, ইসরায়েলি বাহিনী শুধু উত্তর গাজাতেই ২ হাজার ২০০-র বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। আরও ৬ হাজার ৩০০ জন আহত হয়েছে। ১ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। আটক না, মূলত অপহরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে শিশুরাও আছে।
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মুখপাত্ররা বেশ কয়েকবার ঘোষণা করেছে যে তারা উত্তর গাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের তাঁদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেবে না। ইসরায়েলি দৈনিক পত্রিকা হারেৎজের মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সামরিক সহযোগীদের একজনের ‘জেনারেলস প্ল্যান’-এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলি সরকার জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। ধর্মান্ধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি গড়ে তোলার জন্য অপেক্ষা করছেন।
আবু ওয়ার্দেহ বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি যে আমরা কখনোই জাবালিয়ায় ফিরে যাব না। অথচ আমি এখনো জাবালিয়ায় নয়, আল-মাজদালে ফিরে যাওয়ার আশা করছি।’ তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের অধিকারের আশা করাটা সম্পূর্ণরূপে বৈধ। যদিও এটি ঘটা এখনো বহু দূরের বিষয় বলে মনে হচ্ছে।
(মিডল ইস্ট মনিটরে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
যেকোনো সামাজিক বিষয় বা সামাজিক সমস্যা নিয়ে আমরা যখন আলোচনা করি, তখন কখনো কখনো তত্ত্ব দিয়ে তার ব্যাখ্যা করি, আবার কখনো কখনো বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয় বা সমস্যার বিশ্লেষণ করি। তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা...
৬ ঘণ্টা আগেসিসা একটি নরম ধাতু। এটি ঈষৎ নীলাভ ধূসর বর্ণের। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮২। ধাতুটি এতটাই নরম যে একটি ছুরির সাহায্যে একে কাটা যায়। সিসা কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর বিষ। এই বিষের ভেতরেই বাস করছে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ। বাংলাদেশের বাতাসে যেমন সিসার উপস্থিতি দেখা গেছে, তেমনি মাটিতে-পানিতেও পাওয়া গেছে...
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার কথা বলে পাপিয়া আক্তার রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি যে ‘ভুয়া’ ছাত্রী, সেটি বুঝতে পেরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। হয়তো তাঁর শাস্তিও হবে। পাপিয়া শুধু অচেনা রোগী ও তাদের স্বজনদের নয়, তাঁর স্বামীকেও ধোঁকা...
৭ ঘণ্টা আগেএখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১ দিন আগে