সম্পাদকীয়
এ এক আজব মানসিকতা! গৃহকর্মীকে মানুষ মনে করেন না অনেক গৃহস্বামী অথবা গৃহকর্ত্রী। সব খবর বাইরে আসে না, কিন্তু যখন বাইরে আসে, তখন বোঝা যায়, আপাত ভদ্রতার ভান করে তারা ভেতরের পশুকে আড়াল করে রাখেন। বসুন্ধরায় গৃহকর্মী কল্পনার প্রতি যে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা ঘটমান পাশবিকতার একটি নজির মাত্র। একজন মানুষকে যিনি এভাবে নির্যাতন করতে পারেন, তিনি সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হতে পারেন না। এ রকম মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা কম নয়।
কল্পনা মুখ খুললেই দেখা যাচ্ছে, ওপরের পাটির চারটি দাঁত নেই। এগুলো এমনি পড়ে যায়নি। মারের চোটে কল্পনা দাঁতগুলো হারিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, তার শুশ্রূষা করার সুযোগও পায়নি সে। সর্বশরীরের ক্ষতগুলো তাই ভয়ানক হয়ে উঠেছে।
এভাবেই হয়তো মার খেতে খেতে একসময় মরে যেত কল্পনা। কিন্তু ওর ভাগ্য ভালো। বলা যায় একটি বিড়ালের কারণে ও বেঁচে গেছে। এই বাড়িতে একটি পোষা বিড়াল ছিল। সে বিড়ালটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। কল্পনার জন্য চিকিৎসা না থাক, বিড়াল তো আর বিনা চিকিৎসায় থাকতে পারে না। তাই বাড়িওয়ালি দিনাত জাহান আদর বিড়ালের জন্য একজন চিকিৎসককে বাড়িতে ডাকেন। এ সময় কল্পনা বাঁচার আকুতি জানায়। চিকিৎসক কল্পনার ক্ষতগুলো ভিডিও করে নিয়ে যান এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিপোর্টারকে দেন। তিনি পুলিশের সহায়তায় কল্পনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন কল্পনাকে। লোহাজাতীয় কোনো বস্তু দিয়ে কল্পনার শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করা হয়েছে। বেতের বাড়িও পড়েছে শরীরে। শারীরিক ক্ষতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মানসিক ক্ষত। এই ক্ষত সারতে দীর্ঘদিন সময় লাগবে।
মূলত গৃহকর্ত্রী দিনাত জাহান নির্যাতন চালাতেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কল্পনাকে কতটা হিংস্রভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা পত্রিকার পাতায় কিংবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে কেউ দেখে নিতে পারবেন। আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। শুধু বলতে চাইছি, এই ধরনের নির্যাতন একেবারেই বরদাশত করার মতো নয়। কেউ স্বেচ্ছায় গৃহকর্মী হয় না। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণেই অন্যের বাড়িতে কায়িক শ্রম দেয় মানুষ। সেই অর্থে চলে সংসার। আর এই সুযোগে কেউ যদি সেই গৃহকর্মীকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে তার ওপর নির্যাতন চালান, তাহলে তিনি যে অসুস্থ একটি মন নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে না।
১৩ বছর বয়সী দরিদ্র মেয়েটির পক্ষে মামলা চালাতে এগিয়ে আসতে হবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে। এই অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে এবং সেই শাস্তির কথা প্রচারিত হলে মনের মধ্যে পশুকে লুকিয়ে রাখা অনেকেই হয়তো গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা থেকে বিরত থাকবেন।
দয়ামায়াহীন মানুষকে আমরা হিংস্র পশুর সঙ্গে তুলনা করি, মানুষের সীমাহীন বর্বরতার কারণে তাতে পশুরা প্রতিবাদ করে উঠবে না তো?
এ এক আজব মানসিকতা! গৃহকর্মীকে মানুষ মনে করেন না অনেক গৃহস্বামী অথবা গৃহকর্ত্রী। সব খবর বাইরে আসে না, কিন্তু যখন বাইরে আসে, তখন বোঝা যায়, আপাত ভদ্রতার ভান করে তারা ভেতরের পশুকে আড়াল করে রাখেন। বসুন্ধরায় গৃহকর্মী কল্পনার প্রতি যে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা ঘটমান পাশবিকতার একটি নজির মাত্র। একজন মানুষকে যিনি এভাবে নির্যাতন করতে পারেন, তিনি সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হতে পারেন না। এ রকম মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা কম নয়।
কল্পনা মুখ খুললেই দেখা যাচ্ছে, ওপরের পাটির চারটি দাঁত নেই। এগুলো এমনি পড়ে যায়নি। মারের চোটে কল্পনা দাঁতগুলো হারিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, তার শুশ্রূষা করার সুযোগও পায়নি সে। সর্বশরীরের ক্ষতগুলো তাই ভয়ানক হয়ে উঠেছে।
এভাবেই হয়তো মার খেতে খেতে একসময় মরে যেত কল্পনা। কিন্তু ওর ভাগ্য ভালো। বলা যায় একটি বিড়ালের কারণে ও বেঁচে গেছে। এই বাড়িতে একটি পোষা বিড়াল ছিল। সে বিড়ালটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। কল্পনার জন্য চিকিৎসা না থাক, বিড়াল তো আর বিনা চিকিৎসায় থাকতে পারে না। তাই বাড়িওয়ালি দিনাত জাহান আদর বিড়ালের জন্য একজন চিকিৎসককে বাড়িতে ডাকেন। এ সময় কল্পনা বাঁচার আকুতি জানায়। চিকিৎসক কল্পনার ক্ষতগুলো ভিডিও করে নিয়ে যান এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিপোর্টারকে দেন। তিনি পুলিশের সহায়তায় কল্পনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন কল্পনাকে। লোহাজাতীয় কোনো বস্তু দিয়ে কল্পনার শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করা হয়েছে। বেতের বাড়িও পড়েছে শরীরে। শারীরিক ক্ষতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মানসিক ক্ষত। এই ক্ষত সারতে দীর্ঘদিন সময় লাগবে।
মূলত গৃহকর্ত্রী দিনাত জাহান নির্যাতন চালাতেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কল্পনাকে কতটা হিংস্রভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা পত্রিকার পাতায় কিংবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে কেউ দেখে নিতে পারবেন। আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। শুধু বলতে চাইছি, এই ধরনের নির্যাতন একেবারেই বরদাশত করার মতো নয়। কেউ স্বেচ্ছায় গৃহকর্মী হয় না। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণেই অন্যের বাড়িতে কায়িক শ্রম দেয় মানুষ। সেই অর্থে চলে সংসার। আর এই সুযোগে কেউ যদি সেই গৃহকর্মীকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে তার ওপর নির্যাতন চালান, তাহলে তিনি যে অসুস্থ একটি মন নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে না।
১৩ বছর বয়সী দরিদ্র মেয়েটির পক্ষে মামলা চালাতে এগিয়ে আসতে হবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে। এই অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে এবং সেই শাস্তির কথা প্রচারিত হলে মনের মধ্যে পশুকে লুকিয়ে রাখা অনেকেই হয়তো গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা থেকে বিরত থাকবেন।
দয়ামায়াহীন মানুষকে আমরা হিংস্র পশুর সঙ্গে তুলনা করি, মানুষের সীমাহীন বর্বরতার কারণে তাতে পশুরা প্রতিবাদ করে উঠবে না তো?
বিএনপির একসময়ের ডাকসাইটে নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটি বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তারেক রহমানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে খালেদা জিয়া নীরব থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সা কা চৌ বলেছিলেন, আগে কুকুর লেজ নাড়ত, এখন লেজ...
৬ ঘণ্টা আগেএকেই বোধ হয় বলে কপাল। ছিলেন জিরো, হয়ে গেলেন হিরো। বলছি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ছিল...
৬ ঘণ্টা আগে১৯৯২ সালে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি পাবলিক কলেজিয়েট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরুর পর বর্তমানে ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২ হাজার ২৫৭টি অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর কার্যক্রম চলছে।
৬ ঘণ্টা আগেধর্মবিশ্বাস মানুষকে সৎ ও মানবিক হতে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু প্রতারক চক্র মানুষের এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে নির্মমভাবে প্রতারণা করছে। সৎ ও মানবিক হওয়ার পথ দেখিয়ে তারাই করছে অসততা ও অমানবিক কাজ। সম্প্রতি ‘বার্ডস আই হেলিকপ্টার অ্যান্ড হজ কাফেলা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে...
৬ ঘণ্টা আগে