নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তিন মন্ত্রী ও তাঁদের স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার প্রথম কর্মদিবসে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৃথকভাবে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক ও তাঁর স্ত্রী শাবানা মালেক, ছেলে রাহাত মালেক, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ হোসেন পলক ও তাঁর স্ত্রী আরিফা জেসমিন এবং সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মামলাগুলো দায়ের করেন।’
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে জাহিদ মালেক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬১ কোটি ৪২ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৬ টাকার সম্পদ নিজ ভোগ দখলে রাখেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তাঁর এই সম্পদ অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে এবং ৩৪টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে শত কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন করেছেন। এছাড়া, তার ছেলে রাহাত মালেকের নামে ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৬১ টাকার সম্পদ বৈধ করেছেন। এই সমস্ত লেনদেন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসব মামলার বাদি হয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ফজলুল হক।
সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ পলকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ২৫টি ব্যাংক হিসাব খুলে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা করেছেন এবং সেখান থেকে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া, তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের নামে ২২ কোটি ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৮৯ টাকা জমা এবং অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন।
সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি জামালপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, তার মেয়ে মির্জা আফিয়া আজম অপির নামে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। মির্জা আজম তার পরিবারের সদস্যদের নামে শত কোটি টাকা হেবা, দান বা বিনিময়ের মাধ্যমে হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছেন এবং একাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তিন মন্ত্রী ও তাঁদের স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার প্রথম কর্মদিবসে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৃথকভাবে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক ও তাঁর স্ত্রী শাবানা মালেক, ছেলে রাহাত মালেক, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ হোসেন পলক ও তাঁর স্ত্রী আরিফা জেসমিন এবং সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মামলাগুলো দায়ের করেন।’
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে জাহিদ মালেক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬১ কোটি ৪২ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৬ টাকার সম্পদ নিজ ভোগ দখলে রাখেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তাঁর এই সম্পদ অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে এবং ৩৪টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে শত কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন করেছেন। এছাড়া, তার ছেলে রাহাত মালেকের নামে ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৬১ টাকার সম্পদ বৈধ করেছেন। এই সমস্ত লেনদেন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসব মামলার বাদি হয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ফজলুল হক।
সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ পলকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ২৫টি ব্যাংক হিসাব খুলে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা করেছেন এবং সেখান থেকে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া, তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের নামে ২২ কোটি ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৮৯ টাকা জমা এবং অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন।
সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি জামালপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, তার মেয়ে মির্জা আফিয়া আজম অপির নামে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। মির্জা আজম তার পরিবারের সদস্যদের নামে শত কোটি টাকা হেবা, দান বা বিনিময়ের মাধ্যমে হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছেন এবং একাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
সমমনা ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। শুরুতেই ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করে।
১২ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রবল আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। গুঞ্জন রয়েছে, নতুন বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। বিএনপির সূত্রগুলো বলেছে, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি তারেক রহমানের জন্য বাড়িও খোঁজা হচ
১ দিন আগেবিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে রোডম্যাপ দিয়েছে, তা প্রলম্বিত রোডম্যাপ। জনগণ তা প্রত্যাশা করেনি
১ দিন আগেজিন-ভূতেরা ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নেতা বানিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
২ দিন আগে