আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইন্টারপোলের ওয়েব সাইট থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। নাম প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) মতামত দিয়েছিল সিআইডি। এরপরই এনসিবি তাঁর নাম প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।
এনসিবি ও সিআইডি কর্তৃপক্ষ আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে হারিছ চৌধুরীর নামে রেড নোটিশটি দেখা যায়নি।
এর আগে হারিছ চৌধুরী ও তাঁর মেয়ের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে পরিচয় ও লাশ শনাক্ত করে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। এরপর তাঁরা পুলিশ সদর দপ্তরে রেড নোটিশ থেকে নাম প্রত্যাহারে মতামত প্রদান করে। এনসিবি রেড নোটিশ থেকে নাম প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।
এনসিবির কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি বিভাগ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত হয়ে তাঁর রেড নোটিশ প্রত্যাহারে ইন্টারপোলকে জানিয়েছিল। এরপর ওয়েবসাইট থেকে তাঁর রেড নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের ওয়ান্টেড তালিকায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে রেড নোটিশ কর্নারে বর্তমানে ৬৩ জনের নাম রয়েছে। যারা বাংলাদেশি নাগরিক। তবে সেখানে হারিছ চৌধুরীর নাম নেই। এর আগে গত রোববার এই তালিকায় হারিছ চৌধুরীসহ ৬৪ জনের নাম ছিল। হারিছ চৌধুরীর নাম ও ছবি ১৮ নম্বরে ছিল। তালিকায় তাঁর নাম ‘চৌধুরী আবুল হারিছ’ লেখা ছিল।
এনসিবি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে হারিছ চৌধুরীর রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য সিআইডির মতামত চেয়ে চিঠি দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
গত ৫ নভেম্বর হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ প্রতিবেদন পায় সিআইডি। প্রতিবেদনে হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর নমুনা মিলে যায়। সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদন নিশ্চিত করে, মাহমুদুর রহমান নামে যাকে ২০২১ সালে দাফন করা হয়েছে তিনি হারিছ চৌধুরী এবং তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। এরপর তার পরিচয় শনাক্তের জন্য গত ২১ অক্টোবর সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে নমুনা দেন মেয়ে সামিরা।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৬৮ বছর বয়সে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে মারা যান। এরপর গোপনে ঢাকার সাভারে ওই নামেই তাঁকে দাফন করা হয়। হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন গত তিন বছর ধরেই তা বলে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। চলতি বছর বাবার পরিচয় নিশ্চিত করতে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করে সিআইডি সদস্যরা।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী জানিয়েছে, হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ প্রতিবেদন গত ৫ নভেম্বর হাতে পাওয়ার পর ৬ নভেম্বর তা আদালতে জমা দেন তিনি।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখ বলেন, ‘হারিছ চৌধুরীর রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য আমরা মতামত দিয়েছি। এরপরই এনসিবি ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি মারা গেছেন, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই মামলার রায়ে তার যাবজ্জীবন শাস্তির রায় দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। ওই বছরই পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোলে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়। তবে ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাঁকে।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইন্টারপোলের ওয়েব সাইট থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। নাম প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) মতামত দিয়েছিল সিআইডি। এরপরই এনসিবি তাঁর নাম প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।
এনসিবি ও সিআইডি কর্তৃপক্ষ আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে হারিছ চৌধুরীর নামে রেড নোটিশটি দেখা যায়নি।
এর আগে হারিছ চৌধুরী ও তাঁর মেয়ের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে পরিচয় ও লাশ শনাক্ত করে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। এরপর তাঁরা পুলিশ সদর দপ্তরে রেড নোটিশ থেকে নাম প্রত্যাহারে মতামত প্রদান করে। এনসিবি রেড নোটিশ থেকে নাম প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।
এনসিবির কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি বিভাগ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত হয়ে তাঁর রেড নোটিশ প্রত্যাহারে ইন্টারপোলকে জানিয়েছিল। এরপর ওয়েবসাইট থেকে তাঁর রেড নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের ওয়ান্টেড তালিকায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে রেড নোটিশ কর্নারে বর্তমানে ৬৩ জনের নাম রয়েছে। যারা বাংলাদেশি নাগরিক। তবে সেখানে হারিছ চৌধুরীর নাম নেই। এর আগে গত রোববার এই তালিকায় হারিছ চৌধুরীসহ ৬৪ জনের নাম ছিল। হারিছ চৌধুরীর নাম ও ছবি ১৮ নম্বরে ছিল। তালিকায় তাঁর নাম ‘চৌধুরী আবুল হারিছ’ লেখা ছিল।
এনসিবি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে হারিছ চৌধুরীর রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য সিআইডির মতামত চেয়ে চিঠি দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
গত ৫ নভেম্বর হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ প্রতিবেদন পায় সিআইডি। প্রতিবেদনে হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর নমুনা মিলে যায়। সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদন নিশ্চিত করে, মাহমুদুর রহমান নামে যাকে ২০২১ সালে দাফন করা হয়েছে তিনি হারিছ চৌধুরী এবং তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। এরপর তার পরিচয় শনাক্তের জন্য গত ২১ অক্টোবর সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে নমুনা দেন মেয়ে সামিরা।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৬৮ বছর বয়সে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে মারা যান। এরপর গোপনে ঢাকার সাভারে ওই নামেই তাঁকে দাফন করা হয়। হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন গত তিন বছর ধরেই তা বলে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। চলতি বছর বাবার পরিচয় নিশ্চিত করতে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করে সিআইডি সদস্যরা।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী জানিয়েছে, হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ প্রতিবেদন গত ৫ নভেম্বর হাতে পাওয়ার পর ৬ নভেম্বর তা আদালতে জমা দেন তিনি।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখ বলেন, ‘হারিছ চৌধুরীর রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য আমরা মতামত দিয়েছি। এরপরই এনসিবি ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি মারা গেছেন, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই মামলার রায়ে তার যাবজ্জীবন শাস্তির রায় দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। ওই বছরই পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোলে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়। তবে ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাঁকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সর্বহারা পার্টির নেতা সিরাজ সিকদারের গ্ৰাফিতি মুছে ফেলেছে একদল শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের পর তাঁরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে গ্রা
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে চারটি সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনের দেওয়া কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংস্কারে সম্মতি থাকলেও কিছু প্রস্তাব নিয়ে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে বিএনপির। বি
১৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন
১৮ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার দাবিতে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ করবে ছাত্রদল। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে কাল শনিবার বেলা ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভি
২০ ঘণ্টা আগে