লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, নির্বাচন, সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে মতবিরোধ নেই। সবাই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করবে।
আজ শনিবার লক্ষ্মীপুর শহরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ্যানি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকালে আওয়ামী লীগের গুম ও খুনের শিকার হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবার ও পঙ্গুত্ববরণকারী নেতা-কর্মীদের এই উপহার দেওয়া হয়।
এ্যানি বলেন, স্বৈরাচার পতনে যেসব দল একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু হাসিনার বিচার নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। হাসিনার বিচার সবার আগে বিএনপি চায়, এখনো চাচ্ছে। গত ১৬ বছর হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে বিএনপি সংগ্রাম করেছে। এতে দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছে।
এত কিছুর পর এখনো শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়নি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিচারের কথা বারবার বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি তোলা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এত দিনে যদি হাসিনার বিচার শুরু করা হতো, তাহলে গুম ও খুনের জন্য; জুলাই আন্দোলনে মানুষ হত্যা করার জন্য, হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হতো। কিন্তু হাসিনার বিচার এখনো শুরু হয়নি। তাই নিষিদ্ধের কথা না বলে, আগে হাসিনার বিচার শুরু করতে হবে। হাসিনার বিচার যত দ্রুত হবে, তত দ্রুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।’
এ্যানি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদকে আর বাংলাদেশের মাটিতে সুযোগ দেওয়া যাবে না। হাসিনা গত ১৬ বছরে যেসব অন্যায় করেছে, তার বিচার হতেই হবে। হাসিনার অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত তার সব নেতা-কর্মীকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। হাসিনার অন্যায়ের সঙ্গে যেসব সরকারি কর্মকর্তা জড়িত, তাদেরও বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের চাওয়া বেশি জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘কারণ আমাদের আন্দোলনের ফসল হচ্ছে এই সরকার। তাই এই সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া হচ্ছে হাসিনার বিচার ও দ্রুত একটি নির্বাচন। একদিকে হাসিনার বিচার চলবে, অন্য দিকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। হাসিনার বিচার ও নির্বাচন না হলে স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে জাতির জন্য দুঃখ আছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব হাসির বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী নির্যাতন, গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে এ্যানি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের পাশে অতীতে ছিলেন, এখনো আছেন, আগামী দিনেও থাকবেন। তিনি জুলাই আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহতদের পাশে আছেন।
এ্যানি বলেন, ‘সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে গুম-খুন হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবারকে আরও বেশি সহযোগিতা করা হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদর (পূর্ব) বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবীর স্বপন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, নির্বাচন, সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে মতবিরোধ নেই। সবাই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করবে।
আজ শনিবার লক্ষ্মীপুর শহরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ্যানি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকালে আওয়ামী লীগের গুম ও খুনের শিকার হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবার ও পঙ্গুত্ববরণকারী নেতা-কর্মীদের এই উপহার দেওয়া হয়।
এ্যানি বলেন, স্বৈরাচার পতনে যেসব দল একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু হাসিনার বিচার নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। হাসিনার বিচার সবার আগে বিএনপি চায়, এখনো চাচ্ছে। গত ১৬ বছর হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে বিএনপি সংগ্রাম করেছে। এতে দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছে।
এত কিছুর পর এখনো শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়নি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিচারের কথা বারবার বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি তোলা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এত দিনে যদি হাসিনার বিচার শুরু করা হতো, তাহলে গুম ও খুনের জন্য; জুলাই আন্দোলনে মানুষ হত্যা করার জন্য, হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হতো। কিন্তু হাসিনার বিচার এখনো শুরু হয়নি। তাই নিষিদ্ধের কথা না বলে, আগে হাসিনার বিচার শুরু করতে হবে। হাসিনার বিচার যত দ্রুত হবে, তত দ্রুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।’
এ্যানি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদকে আর বাংলাদেশের মাটিতে সুযোগ দেওয়া যাবে না। হাসিনা গত ১৬ বছরে যেসব অন্যায় করেছে, তার বিচার হতেই হবে। হাসিনার অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত তার সব নেতা-কর্মীকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। হাসিনার অন্যায়ের সঙ্গে যেসব সরকারি কর্মকর্তা জড়িত, তাদেরও বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের চাওয়া বেশি জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘কারণ আমাদের আন্দোলনের ফসল হচ্ছে এই সরকার। তাই এই সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া হচ্ছে হাসিনার বিচার ও দ্রুত একটি নির্বাচন। একদিকে হাসিনার বিচার চলবে, অন্য দিকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। হাসিনার বিচার ও নির্বাচন না হলে স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে জাতির জন্য দুঃখ আছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব হাসির বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী নির্যাতন, গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে এ্যানি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের পাশে অতীতে ছিলেন, এখনো আছেন, আগামী দিনেও থাকবেন। তিনি জুলাই আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহতদের পাশে আছেন।
এ্যানি বলেন, ‘সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে গুম-খুন হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবারকে আরও বেশি সহযোগিতা করা হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদর (পূর্ব) বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবীর স্বপন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানকে দেশছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আসলাম চৌধুরী। সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে গতকাল সোমবার সকালে ঈদুল ফিতরের জামাতে মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আসলাম এ হুমকি দেন।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীন সফর বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য। কারণ, এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের কৌশল বদলেছে এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘দিল্লি ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও যুদ্ধ চলমান থাকবে। যারাই আপস করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগর এলাকায় নিহত আজাদ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিম
১ দিন আগে