নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৩৩ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৫ নেতা-কর্মীকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আমানুল্লাহ আমান ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।
এর আগে বিকেলে ৪৫০ জনকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪৩৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার এবং ১৫ জনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৪৩৩ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন, দুজনকে জামিন দেন এবং ১৫ জনকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, বিএনপির সহজলবায়ু সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। বাকি সবাই বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।
যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য একেএম আমিনুর ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজিব ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ ইকবাল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফ, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সদস্যসচিব আল আমিন, রমনা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল, ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শুভ ফরাজী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদুল হাসান রনি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক মোরসালিন, সহসাধারণ সম্পাদক মাহবুব মিয়া ও ছাত্রদল নেতা সাঈদ ইকবাল টিটু।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর পুলিশের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আসামিরা তথা বিএনপির নেতা কর্মী অঙ্গ সংগঠনের নেতা–কর্মীরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সৃষ্টিসহ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁরা চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সঙ্গে বিস্ফোরক দ্রব্য মজুত করেছেন। এই বিস্ফোরক দ্রব্যের উৎস কোথায়, কোনো অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করার এবং পুলিশের ওপর হামলা করার জন্য কাদের প্ররোচনা ছিল, কারা কারা জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, ওমর ফারুক ফারুকীসহ অসংখ্য আইনজীবী। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির কারণে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমাবেশ করা বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার আগামী ১০ ডিসেম্বর এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটক রাখার জন্য এই মামলা সাজানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, ‘সমাবেশের নামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অফিসে বোমা এনে রেখেছে এই আসামিরা।’
আসামিদের আদালতে আনাকে কেন্দ্র করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ধরপাকড়ের প্রতিবাদে মিছিল করেন। এরপরই আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা পাল্টা মিছিল করেন। দুপুর ২টার দিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরের ৩টার দিকে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা মিছিল করেন। এদিকে পুলিশও সতর্ক অবস্থানে থাকে। আইনজীবীদের মিছিল থেকে একজন বিএনপি কর্মীকে আটকের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আইনজীবীরা তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। এরপরও সিএমএম আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এদিকে রমনা থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় বিএনপির তিন কর্মীকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানো ও পুলিশকে মারধর করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিন আসামি হলেন—মোহাম্মদ হানিফ, মো. সুমন ও মো. সুমন। সন্ধ্যার আগে রমনা থানা-পুলিশ এই তিনজনকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রমনা থানা এলাকার কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে এই আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেআইনি ও অবৈধ সমাবেশ করে অস্ত্রশস্ত্রসহ রাস্তায় যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং একটি সরকারি গাড়িতে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কারা কারা জড়িত এবং পেট্রল বোমার উৎস কোথায় তা জানার জন্য এই আসামিদের ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এসআই শহিদুল ওসমান মাসুম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি, মোটা লোহার রড, ইট পাটকেল ও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়, পেট্রল বোমা ছুড়ে গাড়ি পোড়ায় এবং পুলিশকে মারধর করে। রমনা থানা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এই মামলাটির রুজু করে।
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৪৩৩ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৫ নেতা-কর্মীকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আমানুল্লাহ আমান ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।
এর আগে বিকেলে ৪৫০ জনকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪৩৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার এবং ১৫ জনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৪৩৩ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন, দুজনকে জামিন দেন এবং ১৫ জনকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, বিএনপির সহজলবায়ু সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। বাকি সবাই বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।
যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য একেএম আমিনুর ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজিব ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ ইকবাল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফ, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সদস্যসচিব আল আমিন, রমনা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল, ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শুভ ফরাজী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদুল হাসান রনি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক মোরসালিন, সহসাধারণ সম্পাদক মাহবুব মিয়া ও ছাত্রদল নেতা সাঈদ ইকবাল টিটু।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর পুলিশের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আসামিরা তথা বিএনপির নেতা কর্মী অঙ্গ সংগঠনের নেতা–কর্মীরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সৃষ্টিসহ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁরা চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সঙ্গে বিস্ফোরক দ্রব্য মজুত করেছেন। এই বিস্ফোরক দ্রব্যের উৎস কোথায়, কোনো অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করার এবং পুলিশের ওপর হামলা করার জন্য কাদের প্ররোচনা ছিল, কারা কারা জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, ওমর ফারুক ফারুকীসহ অসংখ্য আইনজীবী। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির কারণে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমাবেশ করা বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার আগামী ১০ ডিসেম্বর এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটক রাখার জন্য এই মামলা সাজানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, ‘সমাবেশের নামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অফিসে বোমা এনে রেখেছে এই আসামিরা।’
আসামিদের আদালতে আনাকে কেন্দ্র করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ধরপাকড়ের প্রতিবাদে মিছিল করেন। এরপরই আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা পাল্টা মিছিল করেন। দুপুর ২টার দিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরের ৩টার দিকে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা মিছিল করেন। এদিকে পুলিশও সতর্ক অবস্থানে থাকে। আইনজীবীদের মিছিল থেকে একজন বিএনপি কর্মীকে আটকের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আইনজীবীরা তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। এরপরও সিএমএম আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এদিকে রমনা থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় বিএনপির তিন কর্মীকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানো ও পুলিশকে মারধর করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিন আসামি হলেন—মোহাম্মদ হানিফ, মো. সুমন ও মো. সুমন। সন্ধ্যার আগে রমনা থানা-পুলিশ এই তিনজনকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রমনা থানা এলাকার কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে এই আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেআইনি ও অবৈধ সমাবেশ করে অস্ত্রশস্ত্রসহ রাস্তায় যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং একটি সরকারি গাড়িতে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কারা কারা জড়িত এবং পেট্রল বোমার উৎস কোথায় তা জানার জন্য এই আসামিদের ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এসআই শহিদুল ওসমান মাসুম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি, মোটা লোহার রড, ইট পাটকেল ও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়, পেট্রল বোমা ছুড়ে গাড়ি পোড়ায় এবং পুলিশকে মারধর করে। রমনা থানা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এই মামলাটির রুজু করে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৪ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১৫ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৭ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে