Ajker Patrika

মির্জা ফখরুল-আব্বাসসহ সাতজনের জামিন শুনানি সোমবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩: ০৭
মির্জা ফখরুল-আব্বাসসহ সাতজনের জামিন শুনানি সোমবার

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাতজনের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি হবে আগামীকাল সোমবার। আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম এই তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে সকালে আদালতে এই আবেদন দাখিল করা হয়। অন্য যাঁদের জামিনের আবেদন করা হয় তাঁরা হলেন—চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব।

আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি সকালে জামিনের আবেদন করেন। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে বেলা ১১টায় আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে তিনি আগামীকাল সর্বশ্রেষ্ঠ আদালতে জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাঁদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। গত শুক্রবার পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য পাঁচজনকে বুধবার সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বৃহস্পতিবারে আদালতে আনার পর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

একই মামলায় রিজভী আহমেদসহ ৪৩৪ জনকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নেওয়া হয় ১৪ জন নেতা-কর্মীকে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপির অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে এই সমাবেশের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

এ সময় বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায়। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন পার্টি অফিসের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত