নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের নিরাপত্তার ও অখণ্ডতার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আজ বুধবার রাজধানীর প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন মেনন।
মেনন বলেন, দেশের এক দশমাংশ অংশ জুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। নানা সম্পদের শক্তিশালী উৎস এ অঞ্চল। পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তর পূর্বে ভারত, মিয়ানমার। অন্যদিকে মিজোরাম, মণিপুর। এই এলাকাগুলো অসহিষ্ণু অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। একে ঘিরে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুরোনো পরিকল্পনা করছে। সুতরাং বাংলাদেশকে তার নিরাপত্তার জন্য, ভূখণ্ডের অখণ্ডতা জন্য, দেশের জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্যই এ শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন জরুরি।
শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে যে বিরোধী পক্ষ রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের এক দীর্ঘ প্রেক্ষাপট রয়েছে। কিন্তু এই চুক্তি বাস্তবায়নে প্রথম বাধা আসে বিএনপির আমলে। চুক্তিবিরোধী শক্তি আগের চাইতে আরও সক্রিয় হয়েছে, ফলে পুরো পরিস্থিতি এক জটিল রূপ ধারণ করেছে। যার সমাধান অনেক জরুরি। এ চুক্তির বড় বিষয় ছিল বেসামরিকীকরন। এখন উল্টো ঘটনা ঘটনা ঘটছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা বলে সামরিকীকরণ আরও বেশি হচ্ছে বলে আমার নিজের ধারণা।’
বাংলাদেশকে এক জাতির রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টাকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারিতা উল্লেখ করে মেসবাহ কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ যে বহু জাতির দেশ, বহু সংস্কৃতির দেশ এটা অন্তত ফুটে উঠছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ৪১টি ভাষার খোঁজ পেয়েছে। আমরা আরডিসি থেকে ৪৩টা ভাষা পেয়েছি। ২০৩০–এর মধ্যে ভাষা সংখ্যা কমে যাবে। আর ৫০ সালের মধ্যে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেখানে এত ভাষা আছে, এত বৈচিত্র্য আছে সেটাকে আমরা এক জাতির রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছি। এটা চরম স্বৈরাচারিতা, অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দিক।’
সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, সব বাম-প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক দলসমূহকে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আদিবাসী সম্পর্কিত নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের নির্বাচনী ইশতেহারে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উত্থাপিত ৫ দফা দাবিসহ সমতলের আদিবাসীদের দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠন সমূহে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আদিবাসী জনগণের বিষয়ে একজন মুখপাত্র ও সাংগঠনিকভাবে সম্পাদকীয় পদ তৈরি করতে হবে। জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকার পরিষদসমূহে সকলরে আদিবাসী মনোনয়ন প্রদান করতে হবে।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন-এর যুগ্ম সমন্বয়ক জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা দীপায়ন খীসা, ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম এ সবুর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজসহ আরও অনেকে।
দেশের নিরাপত্তার ও অখণ্ডতার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আজ বুধবার রাজধানীর প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন মেনন।
মেনন বলেন, দেশের এক দশমাংশ অংশ জুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। নানা সম্পদের শক্তিশালী উৎস এ অঞ্চল। পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তর পূর্বে ভারত, মিয়ানমার। অন্যদিকে মিজোরাম, মণিপুর। এই এলাকাগুলো অসহিষ্ণু অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। একে ঘিরে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পুরোনো পরিকল্পনা করছে। সুতরাং বাংলাদেশকে তার নিরাপত্তার জন্য, ভূখণ্ডের অখণ্ডতা জন্য, দেশের জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্যই এ শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন জরুরি।
শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে যে বিরোধী পক্ষ রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের এক দীর্ঘ প্রেক্ষাপট রয়েছে। কিন্তু এই চুক্তি বাস্তবায়নে প্রথম বাধা আসে বিএনপির আমলে। চুক্তিবিরোধী শক্তি আগের চাইতে আরও সক্রিয় হয়েছে, ফলে পুরো পরিস্থিতি এক জটিল রূপ ধারণ করেছে। যার সমাধান অনেক জরুরি। এ চুক্তির বড় বিষয় ছিল বেসামরিকীকরন। এখন উল্টো ঘটনা ঘটনা ঘটছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা বলে সামরিকীকরণ আরও বেশি হচ্ছে বলে আমার নিজের ধারণা।’
বাংলাদেশকে এক জাতির রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টাকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারিতা উল্লেখ করে মেসবাহ কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ যে বহু জাতির দেশ, বহু সংস্কৃতির দেশ এটা অন্তত ফুটে উঠছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ৪১টি ভাষার খোঁজ পেয়েছে। আমরা আরডিসি থেকে ৪৩টা ভাষা পেয়েছি। ২০৩০–এর মধ্যে ভাষা সংখ্যা কমে যাবে। আর ৫০ সালের মধ্যে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেখানে এত ভাষা আছে, এত বৈচিত্র্য আছে সেটাকে আমরা এক জাতির রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছি। এটা চরম স্বৈরাচারিতা, অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দিক।’
সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, সব বাম-প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক দলসমূহকে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আদিবাসী সম্পর্কিত নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের নির্বাচনী ইশতেহারে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উত্থাপিত ৫ দফা দাবিসহ সমতলের আদিবাসীদের দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠন সমূহে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আদিবাসী জনগণের বিষয়ে একজন মুখপাত্র ও সাংগঠনিকভাবে সম্পাদকীয় পদ তৈরি করতে হবে। জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকার পরিষদসমূহে সকলরে আদিবাসী মনোনয়ন প্রদান করতে হবে।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন-এর যুগ্ম সমন্বয়ক জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা দীপায়ন খীসা, ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম এ সবুর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজসহ আরও অনেকে।
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১৫ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলে চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...
১৭ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি। পরে বিকেল ৪টার আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি...
১৯ ঘণ্টা আগে