নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপিবিহীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতারাই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রার্থী হয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা। নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক আওয়ামী লীগও। নির্বাচনে সহিংসতা রোধে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলটির পক্ষ থেকে।
আওয়ামী লীগের সূত্র বলেছে, উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে এবং সংঘাত এড়াতে কোনো প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন ও নৌকা প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেবল আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনেরাও আছেন। ভোট ঘনিয়ে এলে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচনসংশ্লিষ্টরা। সহিংসতার আশঙ্কা দলীয় নেতারাও করছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনে কোনো সংঘাত হলে দায় পুরোটা ক্ষমতাসীন দলের ওপর পড়বে। এ কারণে সংঘাত নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ত্রাস করলে মানুষের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। আমরা কিছুতেই তা হতে দেব না। উপজেলা নির্বাচনে কোনো ধরনের সন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা করব।’
উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় সংঘাতের আশঙ্কা করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। তিনি যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দুই এমপির স্বজন ছাড়া আর কেউ সেই নির্দেশ মানেননি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হবে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২০টিতে চেয়ারম্যান পদে এমপি-মন্ত্রীদের ৩০ জন স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায়ও ভোটের মাঠে এমপিদের প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কোনো কোনো এমপি এরই মধ্যে স্বজনের পক্ষে থাকার জন্য চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগও ওঠে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো মন্ত্রী বা এমপি যেন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করেন, সে ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে এবং সরকার এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করবে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এমপিদের স্বজনেরা প্রার্থী থাকায় তাঁরা প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপ করতে পারেন। তৃণমূলে দলের মধ্যে অন্তঃকোন্দল, ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে বিত্তশালী ও পেশিশক্তি থাকা নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার কারণে প্রচারের শেষ দিকে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচনে প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটার কারণ নেই।
নির্বাচনে সিইসির সংঘাতের আশঙ্কা প্রসঙ্গে গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘাতের আশঙ্কা করতে পারেন। তবে সংঘাত যেন না হয়, সে জন্য আমাদের প্রয়াস অব্যাহত আছে।’ নির্দেশনা অমান্য করে এমপিদের স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় এখনো আছে। শেষ দিন পর্যন্ত দেখতে হবে। দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা সময়মতো নেওয়া হবে।
বিএনপিবিহীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতারাই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রার্থী হয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা। নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক আওয়ামী লীগও। নির্বাচনে সহিংসতা রোধে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলটির পক্ষ থেকে।
আওয়ামী লীগের সূত্র বলেছে, উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে এবং সংঘাত এড়াতে কোনো প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন ও নৌকা প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেবল আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনেরাও আছেন। ভোট ঘনিয়ে এলে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচনসংশ্লিষ্টরা। সহিংসতার আশঙ্কা দলীয় নেতারাও করছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনে কোনো সংঘাত হলে দায় পুরোটা ক্ষমতাসীন দলের ওপর পড়বে। এ কারণে সংঘাত নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ত্রাস করলে মানুষের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। আমরা কিছুতেই তা হতে দেব না। উপজেলা নির্বাচনে কোনো ধরনের সন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা করব।’
উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় সংঘাতের আশঙ্কা করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। তিনি যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দুই এমপির স্বজন ছাড়া আর কেউ সেই নির্দেশ মানেননি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হবে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২০টিতে চেয়ারম্যান পদে এমপি-মন্ত্রীদের ৩০ জন স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায়ও ভোটের মাঠে এমপিদের প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কোনো কোনো এমপি এরই মধ্যে স্বজনের পক্ষে থাকার জন্য চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগও ওঠে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো মন্ত্রী বা এমপি যেন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করেন, সে ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে এবং সরকার এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করবে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এমপিদের স্বজনেরা প্রার্থী থাকায় তাঁরা প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপ করতে পারেন। তৃণমূলে দলের মধ্যে অন্তঃকোন্দল, ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে বিত্তশালী ও পেশিশক্তি থাকা নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার কারণে প্রচারের শেষ দিকে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচনে প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটার কারণ নেই।
নির্বাচনে সিইসির সংঘাতের আশঙ্কা প্রসঙ্গে গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘাতের আশঙ্কা করতে পারেন। তবে সংঘাত যেন না হয়, সে জন্য আমাদের প্রয়াস অব্যাহত আছে।’ নির্দেশনা অমান্য করে এমপিদের স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় এখনো আছে। শেষ দিন পর্যন্ত দেখতে হবে। দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা সময়মতো নেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
২ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২১ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগে