নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান সরকার সম্পূর্ণভাবে একটি নতজানু সরকার উল্লেখ করে বন্ধুদের সমর্থন এবং বন্দুক-পিস্তল ছাড়া এই সরকারের টিকে থাকা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার একেবারেই একটি নতজানু সরকার। বন্ধুদের সমর্থন এবং বন্দুক-পিস্তল ছাড়া এই সরকারের টিকে থাকা কঠিন। আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষের যেটা মূল চাহিদা একটি গণতান্ত্রিক সরকার এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, সে ব্যাপারে গণতান্ত্রিক সরকারগুলো তাদের ভূমিকা পালন করবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাসহ অন্য যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর সমাধানও বাংলাদেশ সরকার করতে পারেনি। কারণ, এই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন নেই। এই সমস্যা সমাধানের শক্তি এই সরকারের নেই। উনি (শেখ হাসিনা) প্রত্যেকবার আমাদের অনেক আশা দিয়ে গেছেন, তিস্তা চুক্তি সই অমুক হবে তমুক হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোটাই হয়নি। উনি ফিরে আসুক, কী কী আনছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য সেটাই হবে এই সফরের সাফল্য।’
ভারতে প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনা ও সফর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাদ পড়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগে যে বক্তব্য দিল এবং সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীদের যে বক্তব্য তাতে স্পষ্ট যে তারা যেভাবেই রিসিভ করুক তারা যাবে।’
বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র ছিল কিন্তু এই আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে। তারা প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। তারা বিরোধীপক্ষকে হত্যা করছে। এই সরকারের সমর্থনে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আসবে, তা আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের বিশ্বাস, সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই দেশের জনগণের গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম তাকে সমর্থন করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, এই সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার না। যেহেতু তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি সুতরাং বহির্বিশ্বে কোনো চুক্তি করা এবং সেখানে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে এই সরকার এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাক থ্রো করতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করে বারবার গোলা, মর্টার মারছে। কিন্তু বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে একটা প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।’
এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা মানি না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না, কারণ এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা মানি না। এই কমিশন গঠন ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে হলে একটা অবাধ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন। নির্বাচনকালীন সরকার যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে অতীতে যেসব নির্বাচন কমিশন কাজ করেছে তাদের যে হাল হয়েছে এদেরও একই হাল হবে।’
এই কমিশন কি বললেন না বললেন তাতে জাতির কিছু যায় আসে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই, এই অবৈধ, ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী জবরদখল সরকারকে সরিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, সংসদ বিলোপ করা এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করা।’
বর্তমান সরকার সম্পূর্ণভাবে একটি নতজানু সরকার উল্লেখ করে বন্ধুদের সমর্থন এবং বন্দুক-পিস্তল ছাড়া এই সরকারের টিকে থাকা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার একেবারেই একটি নতজানু সরকার। বন্ধুদের সমর্থন এবং বন্দুক-পিস্তল ছাড়া এই সরকারের টিকে থাকা কঠিন। আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষের যেটা মূল চাহিদা একটি গণতান্ত্রিক সরকার এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, সে ব্যাপারে গণতান্ত্রিক সরকারগুলো তাদের ভূমিকা পালন করবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাসহ অন্য যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর সমাধানও বাংলাদেশ সরকার করতে পারেনি। কারণ, এই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন নেই। এই সমস্যা সমাধানের শক্তি এই সরকারের নেই। উনি (শেখ হাসিনা) প্রত্যেকবার আমাদের অনেক আশা দিয়ে গেছেন, তিস্তা চুক্তি সই অমুক হবে তমুক হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোটাই হয়নি। উনি ফিরে আসুক, কী কী আনছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য সেটাই হবে এই সফরের সাফল্য।’
ভারতে প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনা ও সফর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাদ পড়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগে যে বক্তব্য দিল এবং সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীদের যে বক্তব্য তাতে স্পষ্ট যে তারা যেভাবেই রিসিভ করুক তারা যাবে।’
বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র ছিল কিন্তু এই আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে। তারা প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। তারা বিরোধীপক্ষকে হত্যা করছে। এই সরকারের সমর্থনে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আসবে, তা আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের বিশ্বাস, সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই দেশের জনগণের গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম তাকে সমর্থন করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, এই সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার না। যেহেতু তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি সুতরাং বহির্বিশ্বে কোনো চুক্তি করা এবং সেখানে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে এই সরকার এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাক থ্রো করতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করে বারবার গোলা, মর্টার মারছে। কিন্তু বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে একটা প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।’
এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা মানি না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না, কারণ এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা মানি না। এই কমিশন গঠন ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে হলে একটা অবাধ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন। নির্বাচনকালীন সরকার যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে অতীতে যেসব নির্বাচন কমিশন কাজ করেছে তাদের যে হাল হয়েছে এদেরও একই হাল হবে।’
এই কমিশন কি বললেন না বললেন তাতে জাতির কিছু যায় আসে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই, এই অবৈধ, ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী জবরদখল সরকারকে সরিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, সংসদ বিলোপ করা এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করা।’
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৯ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১২ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
১৫ ঘণ্টা আগে