নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অপরাধে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দলের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি জাহাঙ্গীরকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতিপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি (জাহাঙ্গীর) আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
‘এমতাবস্থায়, গত ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো।’
ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি আমি পেয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাঁদের কাছে আমাদের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম যদি এমন চিঠি পেয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে সেই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তাঁর একটি বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও মেয়র দাবি করেছিলেন, তাঁর আলাদা আলাদা বক্তব্যকে একসঙ্গে জুড়ে দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। পরে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার কারণ উল্লেখ করে জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এখনো সেই আদেশ প্রত্যাহার হয়নি।
দল থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে দেখা করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সমর্থনও চান।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁরা বলেন, গাজীপুর মহানগরের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটা অংশের কাছে জাহাঙ্গীরের প্রভাব রয়েছে। তাঁদের সাংগঠনিক কাজে লাগতেই দলটির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতার সমর্থনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই নেতা দলটির হাইকমান্ডকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, গাজীপুর মহানগরের রাজনীতিতে জাহাঙ্গীরের শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাব পড়ছে। ভবিষ্যতে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা করতে জাহাঙ্গীরকে প্রয়োজন আছে। এই বিবেচনা করেই তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দলীয় পদ-পদবির পাশাপাশি এই সপ্তাহের মধ্যে হয়তো মেয়রের চেয়ারও ফেরত পেতে পারেন জাহাঙ্গীর আলম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অপরাধে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দলের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি জাহাঙ্গীরকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতিপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি (জাহাঙ্গীর) আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
‘এমতাবস্থায়, গত ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো।’
ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি আমি পেয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাঁদের কাছে আমাদের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম যদি এমন চিঠি পেয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে সেই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তাঁর একটি বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও মেয়র দাবি করেছিলেন, তাঁর আলাদা আলাদা বক্তব্যকে একসঙ্গে জুড়ে দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। পরে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার কারণ উল্লেখ করে জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এখনো সেই আদেশ প্রত্যাহার হয়নি।
দল থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে দেখা করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সমর্থনও চান।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁরা বলেন, গাজীপুর মহানগরের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটা অংশের কাছে জাহাঙ্গীরের প্রভাব রয়েছে। তাঁদের সাংগঠনিক কাজে লাগতেই দলটির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতার সমর্থনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই নেতা দলটির হাইকমান্ডকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, গাজীপুর মহানগরের রাজনীতিতে জাহাঙ্গীরের শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাব পড়ছে। ভবিষ্যতে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা করতে জাহাঙ্গীরকে প্রয়োজন আছে। এই বিবেচনা করেই তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দলীয় পদ-পদবির পাশাপাশি এই সপ্তাহের মধ্যে হয়তো মেয়রের চেয়ারও ফেরত পেতে পারেন জাহাঙ্গীর আলম।
দেশের শত্রুরা পেছনে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
১৭ মিনিট আগেসাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. জয়নুল আবদীন ফারুককে দুর্নীতির একটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এসএম জিয়াউর রহমান রায়ে খালাসের এই আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবের মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যা করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
৫ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে এটি তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ।
৮ ঘণ্টা আগে