নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছে খেলাফত মজলিস। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত প্রত্যাহারসহ আরও ৬টি বিষয়েও একমত হয়েছে দলটি।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে খেলাফত মজলিস এই একমত প্রকাশ করে।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে খেলাফত মজলিসের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ এবং মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের।
বৈঠক শেষে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে আমরা যারা আন্দোলন করেছি, সেইসব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করাসহ ৭টি পয়েন্টে একমত হয়েছি। এগুলো হলো জাতীয় ঐক্য সুসংহত করার জন্য আন্তদলীয় সংলাপ অব্যাহত রাখা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা; দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে উদ্যোগ নিতে হবে; ইসলামি মূল্যবোধ সমুন্নত ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে; পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে জন্য জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে; খুন, গুম, হত্যা, নির্যাতনে জড়িতদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা; আওয়ামী সরকারের সময় আলেম-ওলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।’
মহাসচিব আবদুল কাদের আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ের আলোকে আমরা কাজ করব। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সাধন করা এবং সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন করা, ৫ আগস্ট যে কারণে বিপ্লব হয়েছিল, এটাকে অটুট রাখা।’
এরই মধ্যে কিছু কিছু ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে—মন্তব্য করে আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে বিভেদ নয়, ঐক্য। জাতির স্বার্থে আজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। এ জন্য আমরা বিএনপির সঙ্গে আলাপ করতে এসেছি, আলাপ করে আমরা একমত হয়েছি।’
এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে ঐক্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিষয়টিকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এই দুই দলের ঐক্যে বিএনপি চিন্তিত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে চিন্তার কিছু নাই। বাংলাদেশে যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা রাজনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সমমনাদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে চিন্তা করতে পারেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটা নিয়ে কারও কোনো দুশ্চিন্তা থাকার তো কোনো কারণ নাই।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা তো ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, যাঁরাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত আছি, আগামী দিনে যদি জনগণের সেবা করার সুযোগ আমরা পাই, তাহলে যারাই আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে এ দেশের জনগণের কল্যাণ করার চেষ্টা করব। কাজেই একধরনের জোট তো হয়েই আছে আমাদের মধ্যে। যাঁরাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, যাঁরাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, তাঁরা সবাই আমাদের আন্দোলনের আমাদের সাথি ছিলেন। আগামী দিনগুলোতেও আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’
বৈঠকে খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল এবং আবদুল জলিল।
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছে খেলাফত মজলিস। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত প্রত্যাহারসহ আরও ৬টি বিষয়েও একমত হয়েছে দলটি।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে খেলাফত মজলিস এই একমত প্রকাশ করে।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে খেলাফত মজলিসের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ এবং মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের।
বৈঠক শেষে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে আমরা যারা আন্দোলন করেছি, সেইসব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করাসহ ৭টি পয়েন্টে একমত হয়েছি। এগুলো হলো জাতীয় ঐক্য সুসংহত করার জন্য আন্তদলীয় সংলাপ অব্যাহত রাখা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা; দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে উদ্যোগ নিতে হবে; ইসলামি মূল্যবোধ সমুন্নত ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে; পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে জন্য জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে; খুন, গুম, হত্যা, নির্যাতনে জড়িতদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা; আওয়ামী সরকারের সময় আলেম-ওলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।’
মহাসচিব আবদুল কাদের আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ের আলোকে আমরা কাজ করব। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সাধন করা এবং সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন করা, ৫ আগস্ট যে কারণে বিপ্লব হয়েছিল, এটাকে অটুট রাখা।’
এরই মধ্যে কিছু কিছু ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে—মন্তব্য করে আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে বিভেদ নয়, ঐক্য। জাতির স্বার্থে আজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। এ জন্য আমরা বিএনপির সঙ্গে আলাপ করতে এসেছি, আলাপ করে আমরা একমত হয়েছি।’
এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে ঐক্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিষয়টিকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এই দুই দলের ঐক্যে বিএনপি চিন্তিত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে চিন্তার কিছু নাই। বাংলাদেশে যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা রাজনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সমমনাদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে চিন্তা করতে পারেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটা নিয়ে কারও কোনো দুশ্চিন্তা থাকার তো কোনো কারণ নাই।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা তো ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, যাঁরাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত আছি, আগামী দিনে যদি জনগণের সেবা করার সুযোগ আমরা পাই, তাহলে যারাই আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে এ দেশের জনগণের কল্যাণ করার চেষ্টা করব। কাজেই একধরনের জোট তো হয়েই আছে আমাদের মধ্যে। যাঁরাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, যাঁরাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, তাঁরা সবাই আমাদের আন্দোলনের আমাদের সাথি ছিলেন। আগামী দিনগুলোতেও আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’
বৈঠকে খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল এবং আবদুল জলিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু চৌধুরী বলেছেন, ‘আজকে অনেকেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনের ক্রেডিট নিতে চায়। অথচ তারা আন্দোলন শুরুর অনেক পরে এসেছে। তারা জানে না বিদেশে কীভাবে আন্দোলন হয়েছে। লন্ডন, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে কীভাবে আন্দোলন হয়েছে, তারা জানে না। এই আন্দোলন ড্রাইভ করেছে ব
১ ঘণ্টা আগেগত ৮ জানুয়ারি থেকে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি আছেন। তাঁর সর্বশেষ যে রিপোর্টগুলো প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনা করেছেন এবং পরবর্তীতে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে লন্ডনের আরও দুজন চিকিৎসক তাঁকে দেখবেন। পরবর্
১১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়াও চলছে ধীর গতিতে। অন্যদিকে অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিতে বিভিন্ন দল সংগঠনের নেতারা ক্ষমতার দাপট দেখাতে নেমে পড়েছে। ফলে গণ-অভ্যুত্থান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগেরুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বহুদিন পর আজ মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঘাঁটি বরিশালের চরমোনাই সফর করলেন জামায়াতের আমির। আজ দুপুরে তিনি চরমোনাইর পীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দুই নেতা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
১ দিন আগে