ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের: কাদের

নিজস্ব প্রতবেদক, ঢাকা 
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৫: ৫৭
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২: ২৯

ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত আর চীন হলো উন্নয়নের বন্ধু।

আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীনের সাথে আমাদের পার্টনারশিপ আছে উন্নয়নের। ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু।’ 

এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সার্বিক সম্পর্কের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে সম্পর্কও তুলে ধরেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ফরেন পলিসি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। বঙ্গবন্ধুর এই পলিসি শেখ হাসিনা ফলো করেন। একাত্তরের পর থেকে ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতীয় সৈন্যরা তখন আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছে। তাদের জনগণ আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। ওই দুঃসময়ের সাহায্য আমরা ভুলে যেতে পারি না।’

আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডের পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরতিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৈরিতা রেখে ২১ বছর অন্যরা কী অর্জন করেছে? আমরা সীমান্ত সমস্যা সমাধান করেছি। ভালো সম্পর্ক আছে বলে, আরেকটা সমুদ্রসীমা ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো বলেই ছিটমহল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। গঙ্গা পানির চুক্তিও করেছি। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ-আলোচনা করে সব সমাধান করা যায়। আমরা কখনো খালি হাতে ফিরিনি। আগেও ফিরিনি, এখনো না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা বড় বড় কথা বলে, তারা দিল্লি থেকে এসে বলত, আমরা গঙ্গা চুক্তির কথা ভুলেই গেছি। আমাদের উন্নয়নের জন্য যেখানে সুবিধা পাব, আমরা সেটা কেন নেব না? এখন কারও গায়ে চুলকায়, কারও অন্তরে জ্বালা হচ্ছে।’

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তুলে ধরে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার উন্নয়নের জন্য  যেখানে আমি সুযোগ–সুবিধা পাব... কেন আমি সুবিধা নেব না? আমার তো সাহায্য দরকার। যেখানে সাহায্য দরকার, সেখানে আমি সাহায্য কেন নেব না? এতে কারও কারও গা জ্বলে, কেউ কেউ অন্তর জ্বালায় জ্বলছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল হয়ে গেল—এই অন্তর জ্বালায় যারা মরে, তাদের এই সব প্রশ্নের জবাব দিতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল। এটা কে করে দিয়েছে? চীনারা। ঢাকা-চট্রগ্রাম ফোর লেন মহাসড়ক এটার কাজও করেছে চায়না। গতকাল পদ্মা সেতুর যে সমাপনী অনুষ্ঠান হলো, এই পদ্মা সেতুর মেইন ব্রিজ ও রিভার চেঞ্জিং—দুটো কোম্পানিই চায়নার।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত