নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার ধুয়া তুলে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের উসকে দিয়ে উপমহাদেশে ভারত তাদের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে।’ আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনাদের এই বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব, হিংসাশ্রয়ীমূলক মনোভাবের কারণে, অপরকে ঘৃণা করার মনোভাবের কারণে, আজকে নেপাল আপনাদের সঙ্গে নেই, ভুটান আপনাদের সঙ্গে নেই, শ্রীলঙ্কা আপনাদের সঙ্গে নেই, মালদ্বীপ আপনাদের সঙ্গে নেই, পাকিস্তান তো নেই-ই, বাংলাদেশও আপনাদের সঙ্গে নেই। শুধু আপনাদের অহংকার এবং একের পর এক শোষণের যে মনোভাব, সে কারণে।’
দেশটির সরকারের ওপর প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি। এই জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে ৩০ লাখ মানুষের আত্মদানের মধ্য দিয়ে, ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে। ১৮ কোটি ১৯ কোটি মানুষের এই দেশ। এই দেশকে আপনারা চোখ রাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে দাবিয়ে রাখতে পারবেন? হঠাৎ করে আপনাদের কী হলো যে, পার্শ্ববর্তী দেশের ওপর, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে উঠে পড়ে লেগেছেন?’
রিজভী বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে এ দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল ঘৃণিত একটি সরকার। এরা ক্ষমতায় থাকার জন্য নিজ দেশের সন্তানদের হত্যা করতে দ্বিধা করত না। এরা নিজ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষদের চিরদিনের জন্য নিরুদ্দেশ করতে দ্বিধা করত না। এরা ক্রসফায়ার দিয়ে নদীর ধারে, খালের ধারে মানুষদের নির্দ্বিধায় হত্যা করত। সেই হাসিনা সরকার আপনাদের এত প্রিয় ছিল কেন? আপনাদের সাহসে, আপনাদের উসকানিতে শেখ হাসিনা যা ইচ্ছা তাই করে গেছে এই দেশে। তাঁর ভোটের দরকার হতো না।’
ভারতের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আপনারা মনে করছেন পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ তরকারিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবে না। আপনারা রসুন, আদা, সয়াবিন তেল বন্ধ করে দিলে আমরা এগুলো আর রান্নায় ব্যবহার করতে পারব না। এটা তো আপনারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আপনারা গরু রপ্তানি পাঁচ-ছয় বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গরুর খামার, ছাগলের খামার গড়ে তুলেছে। এক কোরবানি ঈদেই ১ কোটি ২০ লাখ গবাদিপশু জবাই হয়।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, ‘আপনারা ভুলে যাবেন না, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত শ্রমপ্রিয়, কষ্টপ্রিয়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা তারা নিজেরাই উৎপাদন করতে জানে। আপনারা মনে করেন আপনাদেরই শুধু একটি দেশ আছে পৃথিবীতে। আর কি দেশ নেই পৃথিবীতে, যাদের কাছ থেকে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারব; রসুন, তেল আমদানি করতে পারব? আপনারা মনে করেছেন এগুলো বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা কাহিল হবে!’
তিনি বলেন, ‘অবস্থা কাহিল হয়েছে আপনাদের! আপনাদের নিউমার্কেটের কোনো দোকান চলে না, আপনাদের মার্কেটগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বাংলাদেশের মানুষ ওই কলকাতায় গিয়ে ডলার খরচ করে সেখানে কেনাকাটা করে, চিকিৎসা করতে যায় হাসপাতালে। হাসপাতাল আর চলবে না। আপনারা বন্ধ করে দিয়ে মনে করেছেন বাংলাদেশের মানুষ অস্থির হয়ে গেছে? বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত! প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ড যাবে, মালয়েশিয়া যাবে, ইন্দোনেশিয়া যাবে কিংবা অন্য দেশে যাবে। আপনাদের মতো হিংসাপরায়ণ, যারা আমাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করেন, সেই দেশে মানুষ যেতে চায় না। কারণ রক্তমূল্যে স্বাধীনতা কেনা এই জাতি। এই জাতিকে আপনি ভয় দেখিয়ে আপনাদের নতজানু করবেন, সেই জাতি বাংলাদেশ নয়।’
বিএনপির এ শীর্ষস্থানীয় নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘রিপাবলিক বাংলা বলেছে, চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। আরও কত মিথ্যা অপপ্রচার চলছে। আমরা বলছি, একটি স্বাধীন সর্বজনীন দেশে আপনারা দাবি করলে, আমরাও আমাদের নবাবের এলাকা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা দাবি করব। এটা তো আমাদের ন্যায্য পাওনা। এই কথাগুলো আমরা বলতে চাই না। অনেক সংগ্রাম-আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম এই উপমহাদেশে আমরা একসঙ্গে করেছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আওয়াল, রাজু আহমেদ প্রমুখ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার ধুয়া তুলে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের উসকে দিয়ে উপমহাদেশে ভারত তাদের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে।’ আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনাদের এই বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব, হিংসাশ্রয়ীমূলক মনোভাবের কারণে, অপরকে ঘৃণা করার মনোভাবের কারণে, আজকে নেপাল আপনাদের সঙ্গে নেই, ভুটান আপনাদের সঙ্গে নেই, শ্রীলঙ্কা আপনাদের সঙ্গে নেই, মালদ্বীপ আপনাদের সঙ্গে নেই, পাকিস্তান তো নেই-ই, বাংলাদেশও আপনাদের সঙ্গে নেই। শুধু আপনাদের অহংকার এবং একের পর এক শোষণের যে মনোভাব, সে কারণে।’
দেশটির সরকারের ওপর প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি। এই জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে ৩০ লাখ মানুষের আত্মদানের মধ্য দিয়ে, ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে। ১৮ কোটি ১৯ কোটি মানুষের এই দেশ। এই দেশকে আপনারা চোখ রাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে দাবিয়ে রাখতে পারবেন? হঠাৎ করে আপনাদের কী হলো যে, পার্শ্ববর্তী দেশের ওপর, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে উঠে পড়ে লেগেছেন?’
রিজভী বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে এ দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল ঘৃণিত একটি সরকার। এরা ক্ষমতায় থাকার জন্য নিজ দেশের সন্তানদের হত্যা করতে দ্বিধা করত না। এরা নিজ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষদের চিরদিনের জন্য নিরুদ্দেশ করতে দ্বিধা করত না। এরা ক্রসফায়ার দিয়ে নদীর ধারে, খালের ধারে মানুষদের নির্দ্বিধায় হত্যা করত। সেই হাসিনা সরকার আপনাদের এত প্রিয় ছিল কেন? আপনাদের সাহসে, আপনাদের উসকানিতে শেখ হাসিনা যা ইচ্ছা তাই করে গেছে এই দেশে। তাঁর ভোটের দরকার হতো না।’
ভারতের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আপনারা মনে করছেন পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ তরকারিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবে না। আপনারা রসুন, আদা, সয়াবিন তেল বন্ধ করে দিলে আমরা এগুলো আর রান্নায় ব্যবহার করতে পারব না। এটা তো আপনারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আপনারা গরু রপ্তানি পাঁচ-ছয় বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গরুর খামার, ছাগলের খামার গড়ে তুলেছে। এক কোরবানি ঈদেই ১ কোটি ২০ লাখ গবাদিপশু জবাই হয়।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, ‘আপনারা ভুলে যাবেন না, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত শ্রমপ্রিয়, কষ্টপ্রিয়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা তারা নিজেরাই উৎপাদন করতে জানে। আপনারা মনে করেন আপনাদেরই শুধু একটি দেশ আছে পৃথিবীতে। আর কি দেশ নেই পৃথিবীতে, যাদের কাছ থেকে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারব; রসুন, তেল আমদানি করতে পারব? আপনারা মনে করেছেন এগুলো বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা কাহিল হবে!’
তিনি বলেন, ‘অবস্থা কাহিল হয়েছে আপনাদের! আপনাদের নিউমার্কেটের কোনো দোকান চলে না, আপনাদের মার্কেটগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বাংলাদেশের মানুষ ওই কলকাতায় গিয়ে ডলার খরচ করে সেখানে কেনাকাটা করে, চিকিৎসা করতে যায় হাসপাতালে। হাসপাতাল আর চলবে না। আপনারা বন্ধ করে দিয়ে মনে করেছেন বাংলাদেশের মানুষ অস্থির হয়ে গেছে? বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত! প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ড যাবে, মালয়েশিয়া যাবে, ইন্দোনেশিয়া যাবে কিংবা অন্য দেশে যাবে। আপনাদের মতো হিংসাপরায়ণ, যারা আমাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করেন, সেই দেশে মানুষ যেতে চায় না। কারণ রক্তমূল্যে স্বাধীনতা কেনা এই জাতি। এই জাতিকে আপনি ভয় দেখিয়ে আপনাদের নতজানু করবেন, সেই জাতি বাংলাদেশ নয়।’
বিএনপির এ শীর্ষস্থানীয় নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘রিপাবলিক বাংলা বলেছে, চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। আরও কত মিথ্যা অপপ্রচার চলছে। আমরা বলছি, একটি স্বাধীন সর্বজনীন দেশে আপনারা দাবি করলে, আমরাও আমাদের নবাবের এলাকা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা দাবি করব। এটা তো আমাদের ন্যায্য পাওনা। এই কথাগুলো আমরা বলতে চাই না। অনেক সংগ্রাম-আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম এই উপমহাদেশে আমরা একসঙ্গে করেছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আওয়াল, রাজু আহমেদ প্রমুখ।
সমমনা ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। শুরুতেই ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করে।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রবল আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। গুঞ্জন রয়েছে, নতুন বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। বিএনপির সূত্রগুলো বলেছে, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি তারেক রহমানের জন্য বাড়িও খোঁজা হচ
১ দিন আগেবিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে রোডম্যাপ দিয়েছে, তা প্রলম্বিত রোডম্যাপ। জনগণ তা প্রত্যাশা করেনি
১ দিন আগেজিন-ভূতেরা ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নেতা বানিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
১ দিন আগে